ঢাকা ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ৩৪ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করলেন ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// কাজী মকবুল, গাজীপুর //

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ আগে প্রথমবারের মতো ৩৪ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

নির্বাচিত হলে নগরবাসীর জন্য স্বচ্ছতা, জবাবদিহী নিশ্চিত, বিশেষজ্ঞ কমিটি, নগর সরকার, দূষণ নিয়ন্ত্রন বোর্ড, জাকাত বোর্ড গঠন করবেন বলেও ইশতেহারে উল্লেখ করেন হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী। ৩৪ দফা ইশতেহার তুলে ধরে তিনি ঘোষণা দেন জয়ী হলে নগর ভবন ধনী-গরিব সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর এই প্রথম কোনো প্রার্থী ইশতেহার ঘোষণা করলেন।

নগরবাসী ভোটে তাকে নির্বাচিত করলে ইশতেহারে থাকা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে গাজীপুরকে একটি উন্নত ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানবিক শান্তির নগরী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন বলে তিনি ঘোষনা দেন। বুধবার (১৭ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টায় গাজীপুর প্রেস ক্লাব সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি ৩৪ দফা কর্মসূচি সংবলিত ইশতেহার নগরবাসীর উদ্দেশে তুলে ধরেন।

ইশতেহারে গাজী আতাউর রহমান বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে জিসিসি’কে দুর্নীতি মুক্ত করবেন, বিগত সকল দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। জবাবদিহিমূলক সিটি করপোরেশন করে গড়ে তোলা হবে। ওয়ান স্টপ সেবা প্রদান করা হবে। দেশি/বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি নগর বিশেষজ্ঞ টিম গঠণ করা হবে।

বিশিষ্ট নাগরিক ও আলেমদের নেতৃত্বে নাগরিক কমিটি গঠণ করা হবে। নগর সরকার গঠণ করা প্রয়োজন। নগর সরকারে মেট্টোপলিটন কাউন্সিল থাকবে। মহানগরের প্রতিটি পরিবারকে সমন্বিত সুপেয় পানি সরবরাহের আওতায় আনা হবে। সারফেস, গ্রাউন্ড এবং রেইন ওয়াটারের পরিকল্পিত বৈজ্ঞানিক ব্যবহার করা হবে। ২৬০টি খাস পুকুর দখলমুক্ত করে তাতে পানি সংরক্ষণ করা হবে। পানি দূষণ মুক্ত করা হবে।

নদ-নদী কেন্দ্রীক পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটানো হবে। নগরীর জন্য শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা প্রণয়ন করা হবে। দূষণ প্রতিরোধে দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হবে। গাজীপুরে খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণে নিজস্ব মান নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে পার্ক ও খেলার মাঠ নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি বাসা বাড়িতে গ্যাস ও পানির সংযোগ দেয়া হবে। ওয়ার্ডভিত্তিক কবরস্থান ও শ্মশান নির্মাণ করা হবে। স্বাক্ষরতার হার শতভাগ করতে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাভিত্তিক গণস্বাক্ষরতা কর্মসূচী চালু করা হবে। ইমাম-মোয়াজ্জিনদের সম্মানজনক বেতন-ভাতা ধার্য করা হবে।

গাজীপুরকে সকলের জন্য নিরাপদ ও আধুনিক সুবিধাসম্বলিত একটি নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। পুরুষ ও নারী শ্রমিকদের আলাদা আলাদা আবাসন, হাসপাতাল ও পরিবহনের ব্যবস্থা করা হবে। তাদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হবে। শ্রমিকদের অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য সার্বক্ষণিক (২৪/৭) কুইক রেসপন্স টিম গঠণ করা হবে।

বিশ্বইজতেমার মাঠ আধুনিকায়ণ করা হবে। মুসুল্লীদের চিকিৎসার জন্য ইজতেমা মাঠের পাশে ইজতেমা হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। টঙ্গী ও জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনকে আইকনিক স্টেশনে পরিণত করা হবে। গাজীপুরে যানজট নিরসনে দীর্ঘ মেয়াদী ও স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা ও কার্যক্রম করা হবে।

শহরজুড়ে আন্ত:নগর পরিবহণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা করা হবে। যানজট নিরসনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্মার্ট পার্কিং করার ব্যবস্থা করা হবে। গাজীপুরে ভিক্ষক, পাগল, লাওয়ারিশ ও পথবাসী মানুষের জন্য পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

এছাড়াও গাজীপুর নগরীকে জলাবদ্ধতা নিরসন, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিমুক্ত নগর ভবন, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ ও নদী দূষণ রোধ, পানি সমস্যা সমাধান, নাগরিকদের নিরাপত্তা, ফুটপাত দখলমুক্ত, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগর স্বাস্থ্য প্রণয়ন, ধনী-গরিব সবার জন্য উন্মুক্ত নগর ভবন, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন, বাসা ভাড়া প্রণয়ন, হকার, ছিন্নমূল ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের পুনর্বাসন, নারীবান্ধব গণপরিবহণ, সমাজ নিয়ে উন্নয়ন চিন্তা, হকার, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত নগর গড়া, সার্বিক উন্নয়ন করার পরিকল্পনাসহ ৩৪ দফা কাজ করবেন। তিনি এই ইশতেহার বাস্তবায়নে নগরবাসীর মতামত নেবেন বলেও জানান।

ইশতেহার ঘোষণাকালে লিখিত বক্তব্যে গাজী আতাউর রহমান বলেন, আপনারা সম্মিলিতভাবে গাজীপুরের সমস্যার সমাধান করতে চাইলে এবং গাজীপুরকে বাসযোগ্য টেকসই, উন্নত, আধুনিক সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে হাত পাখা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন। যদি সুস্থ পরিবেশে বাঁচার জন্য অশুভ কায়েমি স্বার্থবাদী সিন্ডিকেটকে অবশ্যই ভাঙতে হবে এবং গাজীপুর সিটিকে রক্ষা করতে হবে।

তিনি অরো বলেন, কাউকে ভোট দেওয়া কোনো আবেগ বা দলীয় বিষয় নয়। এটি একটি নৈতিক বিষয়। যাকে তাকে ভোট দেওয়া ইসলাম সম্মতও নয়। ইসলাম, দেশ ও মানবতার জন্য ক্ষতিকর ব্যাক্তিকে ভোট দেওয়া মারাতœক গুনাহের কাজ। দলীয়, আবেগ, ব্যাক্তির প্রভাব, আতœীয় বা প্রতিবেশী হওয়ায় ভোট পাওয়ার যোগ্যতা নয়। তিনিই ভোট পাওয়ার যোগ্য যার দ্বারা সমাজ, মানুষ ও সম্পদ লুন্ঠন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ক্ষতি হবে না। জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে ওপেন জনগনের মুখোমুখি হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

এ সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজীপুর মহানগর সভাপতি ফাইজ উদ্দিন আহমদ, সহ-সভাপতি মাওলানা এম এ হানিফ সরকার, যুগ্ন সম্পাদক অধ্যক্ষ মুফতি শহীদুল ইসলাম, সহকারী সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম সাইদুর রহমান, প্রচার ও দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক এস এস ওয়াহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, যুব অন্দোলনের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আব্দুল হালিম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ৩৪ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করলেন ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী

আপডেট সময় : ০৮:০১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

// কাজী মকবুল, গাজীপুর //

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ আগে প্রথমবারের মতো ৩৪ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

নির্বাচিত হলে নগরবাসীর জন্য স্বচ্ছতা, জবাবদিহী নিশ্চিত, বিশেষজ্ঞ কমিটি, নগর সরকার, দূষণ নিয়ন্ত্রন বোর্ড, জাকাত বোর্ড গঠন করবেন বলেও ইশতেহারে উল্লেখ করেন হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী। ৩৪ দফা ইশতেহার তুলে ধরে তিনি ঘোষণা দেন জয়ী হলে নগর ভবন ধনী-গরিব সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর এই প্রথম কোনো প্রার্থী ইশতেহার ঘোষণা করলেন।

নগরবাসী ভোটে তাকে নির্বাচিত করলে ইশতেহারে থাকা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে গাজীপুরকে একটি উন্নত ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানবিক শান্তির নগরী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন বলে তিনি ঘোষনা দেন। বুধবার (১৭ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টায় গাজীপুর প্রেস ক্লাব সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি ৩৪ দফা কর্মসূচি সংবলিত ইশতেহার নগরবাসীর উদ্দেশে তুলে ধরেন।

ইশতেহারে গাজী আতাউর রহমান বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে জিসিসি’কে দুর্নীতি মুক্ত করবেন, বিগত সকল দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। জবাবদিহিমূলক সিটি করপোরেশন করে গড়ে তোলা হবে। ওয়ান স্টপ সেবা প্রদান করা হবে। দেশি/বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি নগর বিশেষজ্ঞ টিম গঠণ করা হবে।

বিশিষ্ট নাগরিক ও আলেমদের নেতৃত্বে নাগরিক কমিটি গঠণ করা হবে। নগর সরকার গঠণ করা প্রয়োজন। নগর সরকারে মেট্টোপলিটন কাউন্সিল থাকবে। মহানগরের প্রতিটি পরিবারকে সমন্বিত সুপেয় পানি সরবরাহের আওতায় আনা হবে। সারফেস, গ্রাউন্ড এবং রেইন ওয়াটারের পরিকল্পিত বৈজ্ঞানিক ব্যবহার করা হবে। ২৬০টি খাস পুকুর দখলমুক্ত করে তাতে পানি সংরক্ষণ করা হবে। পানি দূষণ মুক্ত করা হবে।

নদ-নদী কেন্দ্রীক পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটানো হবে। নগরীর জন্য শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা প্রণয়ন করা হবে। দূষণ প্রতিরোধে দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হবে। গাজীপুরে খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণে নিজস্ব মান নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে পার্ক ও খেলার মাঠ নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি বাসা বাড়িতে গ্যাস ও পানির সংযোগ দেয়া হবে। ওয়ার্ডভিত্তিক কবরস্থান ও শ্মশান নির্মাণ করা হবে। স্বাক্ষরতার হার শতভাগ করতে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাভিত্তিক গণস্বাক্ষরতা কর্মসূচী চালু করা হবে। ইমাম-মোয়াজ্জিনদের সম্মানজনক বেতন-ভাতা ধার্য করা হবে।

গাজীপুরকে সকলের জন্য নিরাপদ ও আধুনিক সুবিধাসম্বলিত একটি নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। পুরুষ ও নারী শ্রমিকদের আলাদা আলাদা আবাসন, হাসপাতাল ও পরিবহনের ব্যবস্থা করা হবে। তাদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হবে। শ্রমিকদের অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য সার্বক্ষণিক (২৪/৭) কুইক রেসপন্স টিম গঠণ করা হবে।

বিশ্বইজতেমার মাঠ আধুনিকায়ণ করা হবে। মুসুল্লীদের চিকিৎসার জন্য ইজতেমা মাঠের পাশে ইজতেমা হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। টঙ্গী ও জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনকে আইকনিক স্টেশনে পরিণত করা হবে। গাজীপুরে যানজট নিরসনে দীর্ঘ মেয়াদী ও স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা ও কার্যক্রম করা হবে।

শহরজুড়ে আন্ত:নগর পরিবহণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা করা হবে। যানজট নিরসনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্মার্ট পার্কিং করার ব্যবস্থা করা হবে। গাজীপুরে ভিক্ষক, পাগল, লাওয়ারিশ ও পথবাসী মানুষের জন্য পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

এছাড়াও গাজীপুর নগরীকে জলাবদ্ধতা নিরসন, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিমুক্ত নগর ভবন, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ ও নদী দূষণ রোধ, পানি সমস্যা সমাধান, নাগরিকদের নিরাপত্তা, ফুটপাত দখলমুক্ত, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগর স্বাস্থ্য প্রণয়ন, ধনী-গরিব সবার জন্য উন্মুক্ত নগর ভবন, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন, বাসা ভাড়া প্রণয়ন, হকার, ছিন্নমূল ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের পুনর্বাসন, নারীবান্ধব গণপরিবহণ, সমাজ নিয়ে উন্নয়ন চিন্তা, হকার, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত নগর গড়া, সার্বিক উন্নয়ন করার পরিকল্পনাসহ ৩৪ দফা কাজ করবেন। তিনি এই ইশতেহার বাস্তবায়নে নগরবাসীর মতামত নেবেন বলেও জানান।

ইশতেহার ঘোষণাকালে লিখিত বক্তব্যে গাজী আতাউর রহমান বলেন, আপনারা সম্মিলিতভাবে গাজীপুরের সমস্যার সমাধান করতে চাইলে এবং গাজীপুরকে বাসযোগ্য টেকসই, উন্নত, আধুনিক সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে হাত পাখা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন। যদি সুস্থ পরিবেশে বাঁচার জন্য অশুভ কায়েমি স্বার্থবাদী সিন্ডিকেটকে অবশ্যই ভাঙতে হবে এবং গাজীপুর সিটিকে রক্ষা করতে হবে।

তিনি অরো বলেন, কাউকে ভোট দেওয়া কোনো আবেগ বা দলীয় বিষয় নয়। এটি একটি নৈতিক বিষয়। যাকে তাকে ভোট দেওয়া ইসলাম সম্মতও নয়। ইসলাম, দেশ ও মানবতার জন্য ক্ষতিকর ব্যাক্তিকে ভোট দেওয়া মারাতœক গুনাহের কাজ। দলীয়, আবেগ, ব্যাক্তির প্রভাব, আতœীয় বা প্রতিবেশী হওয়ায় ভোট পাওয়ার যোগ্যতা নয়। তিনিই ভোট পাওয়ার যোগ্য যার দ্বারা সমাজ, মানুষ ও সম্পদ লুন্ঠন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ক্ষতি হবে না। জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে ওপেন জনগনের মুখোমুখি হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

এ সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজীপুর মহানগর সভাপতি ফাইজ উদ্দিন আহমদ, সহ-সভাপতি মাওলানা এম এ হানিফ সরকার, যুগ্ন সম্পাদক অধ্যক্ষ মুফতি শহীদুল ইসলাম, সহকারী সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম সাইদুর রহমান, প্রচার ও দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক এস এস ওয়াহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, যুব অন্দোলনের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আব্দুল হালিম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।