ঢাকা ০১:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজীপুরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৫৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কাজী মকবুল, গাজীপুর প্রতিনিধি :

গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকা হতে অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেল চুরি করে বডি, কিট ও রং পরিবর্তন করে ক্রয়-বিক্রয়কারী চোরচক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। এসময় তাদের কাছ থেকে একাধিক মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেট, বডি, কিট, কাটা লক ও মোটর সাইকেল খোলার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার জিএমপি’র অতিরিক্ত উপ কমিশনার রেজওয়ান আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- কিশোরগঞ্জের নিকলী থানার টেংগুরিয়া এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে নুরু মিয়া (৩৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার গোপীনাথপুর এলাকার সাইদ মিয়ার ছেলে মুসা মিয়া (২৮), একই এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে শাহ আলম (৩৮) ও খোকন মিয়ার ছেলে আরিফ (১৮)।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার শাপলা ম্যানশনের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গত ৫ মার্চ নুরু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চোর চক্রের অপর তিনজনকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে একাধিক মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেট, বডি, কিট, কাটা লক ও মোটর সাইকেল খোলার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা গত কয়েক বছর ধরে গাজীপুর, টাঙ্গাইল, রাজধানীর উত্তরা সহ বিভিন্ন এলাকা হতে অভিনব কায়দায় একাধিক মোটরসাইকেল চুরি করে। পরে তারা চোরাই মোটরসাইকেলগুলো মুসা মিয়ার কাছে প্রতিটি মোটরসাইকেল ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করতো। মুসা মিয়া সেগুলোর বডি কিট রং পরিবর্তন করে নম্বর প্লেট ছাড়াই বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে আসছিল বলে গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

অতিরিক্ত উপ কমিশনার রেজওয়ান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চোরেরা জানায় যে তারা ১/২ মিনিটের মধ্যে একটি মোটর সাইকেল চুরি করে নিয়ে যেতে সক্ষম। তারা কয়েকজন মিলে চুরির কাজটি সম্পন্ন করে থাকে। প্রথমে তারা মোটরসাইকেল মালিক মোটরসাইকেল পার্কিং করে রেখে যাওয়ার সময় তার সঙ্গে এক চোর ফলো করতে থাকে। পরে তার অবস্থান জানিয়ে পার্কিং করা মোটরসাইকেলের পাশে থাকা চোরদের কাউকে টেলিফোনে অবগত করে। পরিবেশ তাদের অনুকূলে থাকলে প্রথমে তারা বাইকের ঘাড়ের লকটি ভেঙ্গে ফেলে এবং পাওয়ার কেবলটি কেটে নতুন করে তা জুড়িয়ে (সংযোগ করে) কিংবা মাস্টার কি ব্যবহার করে মোটরসাইকেলটি চালু করে তা চালিয়ে পালিয়ে যায়। এ কাজটি করতে তাদের এক/দুই মিনিট সময় লাগে।

বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজীপুরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ১১:২৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩

কাজী মকবুল, গাজীপুর প্রতিনিধি :

গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকা হতে অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেল চুরি করে বডি, কিট ও রং পরিবর্তন করে ক্রয়-বিক্রয়কারী চোরচক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। এসময় তাদের কাছ থেকে একাধিক মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেট, বডি, কিট, কাটা লক ও মোটর সাইকেল খোলার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার জিএমপি’র অতিরিক্ত উপ কমিশনার রেজওয়ান আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- কিশোরগঞ্জের নিকলী থানার টেংগুরিয়া এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে নুরু মিয়া (৩৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার গোপীনাথপুর এলাকার সাইদ মিয়ার ছেলে মুসা মিয়া (২৮), একই এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে শাহ আলম (৩৮) ও খোকন মিয়ার ছেলে আরিফ (১৮)।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার শাপলা ম্যানশনের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গত ৫ মার্চ নুরু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চোর চক্রের অপর তিনজনকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে একাধিক মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেট, বডি, কিট, কাটা লক ও মোটর সাইকেল খোলার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা গত কয়েক বছর ধরে গাজীপুর, টাঙ্গাইল, রাজধানীর উত্তরা সহ বিভিন্ন এলাকা হতে অভিনব কায়দায় একাধিক মোটরসাইকেল চুরি করে। পরে তারা চোরাই মোটরসাইকেলগুলো মুসা মিয়ার কাছে প্রতিটি মোটরসাইকেল ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করতো। মুসা মিয়া সেগুলোর বডি কিট রং পরিবর্তন করে নম্বর প্লেট ছাড়াই বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে আসছিল বলে গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

অতিরিক্ত উপ কমিশনার রেজওয়ান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চোরেরা জানায় যে তারা ১/২ মিনিটের মধ্যে একটি মোটর সাইকেল চুরি করে নিয়ে যেতে সক্ষম। তারা কয়েকজন মিলে চুরির কাজটি সম্পন্ন করে থাকে। প্রথমে তারা মোটরসাইকেল মালিক মোটরসাইকেল পার্কিং করে রেখে যাওয়ার সময় তার সঙ্গে এক চোর ফলো করতে থাকে। পরে তার অবস্থান জানিয়ে পার্কিং করা মোটরসাইকেলের পাশে থাকা চোরদের কাউকে টেলিফোনে অবগত করে। পরিবেশ তাদের অনুকূলে থাকলে প্রথমে তারা বাইকের ঘাড়ের লকটি ভেঙ্গে ফেলে এবং পাওয়ার কেবলটি কেটে নতুন করে তা জুড়িয়ে (সংযোগ করে) কিংবা মাস্টার কি ব্যবহার করে মোটরসাইকেলটি চালু করে তা চালিয়ে পালিয়ে যায়। এ কাজটি করতে তাদের এক/দুই মিনিট সময় লাগে।

বা/খ: জই