ঢাকা ০৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গণসমাবেশ থেকে বিএনপির ১০ দফা ঘোষণা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:১৯:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির আগামী দিনের কর্মসূচি তুলে ধরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আগামী ১৩ ডিসেম্বর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসসহ সব নেতাকর্মীর গ্রেফতার ও হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব মহানগরীতে গণবিক্ষোভ ও সমাবেশ করা হবে। এছাড়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবি আদায়ে ২৪ ডিসেম্বর গণমিছিল শুরু হবে।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে তিনি এসব কর্মসূচির ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, সরকার আজকের গণসমাবেশে বাধা দেওয়ার জন্য নানান ষড়যন্ত্র করেছে। আমাদের সাড়ে চারশোর বেশি নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে সব বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে আজকের ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল হয়েছে।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সমাবেশ এই বার্তা দিচ্ছে— দেশের জনগণ আর প্রতারিত হতে রাজি নয়। তারা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায়, যেখানে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।

একইসঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য বিরোধীদলগুলো তাদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে একই দাবি ঘোষণা করবে।

বিএনপির ১০ দফা হলো-

১. বর্তমান জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে ক্ষমতাসীন সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।

২. ১৯৯৬ সালে সংবিধানে সংযোজিত ধারা ৫৮-খ, গ ও ঘ’-এর আলোকে একটি দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার/অন্তর্র্বতীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন।

৩. নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ সরকার/অন্তর্র্বতীকালীন তত্ত্ববধায়ক সরকার বর্তমান অবৈধ নির্বাচন কমিশন বাতিল করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, উক্ত নির্বাচন কমিশন অবাধ নির্বাচনের অনিবার্য পূর্বশর্ত হিসাবে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করতে আরপিও সংশোধন, ইভিএম পদ্ধতি বাতিল ও পেপার ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করা।

৪. খালেদা জিয়াসহ সব বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী, সাংবাদিক এবং আলেমদের সাজা বাতিল, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও রাজনৈতিক কারাবন্দীদের অনতিবিলম্বে মুক্তি, দেশে সভা, সমাবেশ ও মত প্রকাশে কোনো বাধা সৃষ্টি না করা, সব দলকে স্বাধীনভাবে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে প্রশাসন ও সরকারি দলের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা বাধা সৃষ্টি না করা, স্বৈরাচারী কায়দায় বিরোধী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে নতুন কোনো মামলা ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার না করা।

৫. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সব কালা-কানুন বাতিল করা।

৬. বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস ও পানিসহ জনসেবা খাতের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল।

৭. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনা, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারকে সিন্ডিকেট মুক্ত করা।

৮. গত ১৫ বছর ধরে বিদেশে অর্থ পাচার, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত ও শেয়ার বাজারসহ রাষ্ট্রীয় সব ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠন/দুর্নীতি চিহ্নিত করে অতি দ্রুত যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।

৯. গত ১৫ বছরে গুমের শিকার সব নাগরিককে উদ্ধার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, উপাসনালয় ভাঙচুর এবং সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করা।

১০. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে সরকারি হস্তক্ষেপ পরিহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া।

বিকেল ৪টার দিকে গণসমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব ১০ দফা ঘোষণা করে বলেন, আমাদের মিত্র রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট সব গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করে এ দফা ঠিক করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সরকার আজকের গণসমাবেশে বাধা দেয়ার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করেছে। আমাদের সাড়ে ৪০০এর বেশি নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে সব বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে আজকের ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল হয়েছে। আজ গণসমাবেশ জনসমুদ্রে রূপান্তরিত হয়েছে।

সরকার ষড়যন্ত্র করে সমাবেশ বন্ধ করতে পারেনি এ কথা জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, এটি ব্যর্থ করতে দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা (পুলিশ) বিনা উসকানিতে আমাদের অফিসে হামলা করে একজন নেতাকে হত্যা করেছে।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীও এ রকম হামলা চালায়নি। সব হামলা ও গ্রেফতারের নিন্দা জানাচ্ছি। তারা (সরকার) বিএনপিকে ভয় পাচ্ছে। সমাবেশ আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। এ সরকার গণতন্ত্র বোঝে না। যে কারণে যারা ভোটের অধিকারের কথা বলে তাদের ভয় পায়। আজকের এ সমাবেশ বার্তা দিচ্ছে, দেশ শাসন করছে একটি ফ্যাসিবাদী সরকার। দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরকারকে কেউ বিশ্বাস করে না। অর্থনৈতিকভাবে দেশ খাদের কিনারে চলে গেছে। দেশে আজ লুটতরাজ চলছে। দেশে আইনের শাসন থাকলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সাজা হতো না। তাদের বিরুদ্ধে দেয়া রায় ছিল ফরমায়েশি। সরকার বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। পুলিশ বাহিনাকে বিরোধীদলের ওপর লেলিয়ে দেয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গণসমাবেশ থেকে বিএনপির ১০ দফা ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৫:১৯:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির আগামী দিনের কর্মসূচি তুলে ধরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আগামী ১৩ ডিসেম্বর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসসহ সব নেতাকর্মীর গ্রেফতার ও হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব মহানগরীতে গণবিক্ষোভ ও সমাবেশ করা হবে। এছাড়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবি আদায়ে ২৪ ডিসেম্বর গণমিছিল শুরু হবে।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে তিনি এসব কর্মসূচির ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, সরকার আজকের গণসমাবেশে বাধা দেওয়ার জন্য নানান ষড়যন্ত্র করেছে। আমাদের সাড়ে চারশোর বেশি নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে সব বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে আজকের ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল হয়েছে।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সমাবেশ এই বার্তা দিচ্ছে— দেশের জনগণ আর প্রতারিত হতে রাজি নয়। তারা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায়, যেখানে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।

একইসঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য বিরোধীদলগুলো তাদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে একই দাবি ঘোষণা করবে।

বিএনপির ১০ দফা হলো-

১. বর্তমান জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে ক্ষমতাসীন সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।

২. ১৯৯৬ সালে সংবিধানে সংযোজিত ধারা ৫৮-খ, গ ও ঘ’-এর আলোকে একটি দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার/অন্তর্র্বতীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন।

৩. নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ সরকার/অন্তর্র্বতীকালীন তত্ত্ববধায়ক সরকার বর্তমান অবৈধ নির্বাচন কমিশন বাতিল করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, উক্ত নির্বাচন কমিশন অবাধ নির্বাচনের অনিবার্য পূর্বশর্ত হিসাবে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করতে আরপিও সংশোধন, ইভিএম পদ্ধতি বাতিল ও পেপার ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করা।

৪. খালেদা জিয়াসহ সব বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী, সাংবাদিক এবং আলেমদের সাজা বাতিল, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও রাজনৈতিক কারাবন্দীদের অনতিবিলম্বে মুক্তি, দেশে সভা, সমাবেশ ও মত প্রকাশে কোনো বাধা সৃষ্টি না করা, সব দলকে স্বাধীনভাবে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে প্রশাসন ও সরকারি দলের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা বাধা সৃষ্টি না করা, স্বৈরাচারী কায়দায় বিরোধী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে নতুন কোনো মামলা ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার না করা।

৫. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সব কালা-কানুন বাতিল করা।

৬. বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস ও পানিসহ জনসেবা খাতের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল।

৭. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনা, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারকে সিন্ডিকেট মুক্ত করা।

৮. গত ১৫ বছর ধরে বিদেশে অর্থ পাচার, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত ও শেয়ার বাজারসহ রাষ্ট্রীয় সব ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠন/দুর্নীতি চিহ্নিত করে অতি দ্রুত যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।

৯. গত ১৫ বছরে গুমের শিকার সব নাগরিককে উদ্ধার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, উপাসনালয় ভাঙচুর এবং সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করা।

১০. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে সরকারি হস্তক্ষেপ পরিহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া।

বিকেল ৪টার দিকে গণসমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব ১০ দফা ঘোষণা করে বলেন, আমাদের মিত্র রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট সব গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করে এ দফা ঠিক করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সরকার আজকের গণসমাবেশে বাধা দেয়ার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করেছে। আমাদের সাড়ে ৪০০এর বেশি নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে সব বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে আজকের ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল হয়েছে। আজ গণসমাবেশ জনসমুদ্রে রূপান্তরিত হয়েছে।

সরকার ষড়যন্ত্র করে সমাবেশ বন্ধ করতে পারেনি এ কথা জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, এটি ব্যর্থ করতে দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা (পুলিশ) বিনা উসকানিতে আমাদের অফিসে হামলা করে একজন নেতাকে হত্যা করেছে।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীও এ রকম হামলা চালায়নি। সব হামলা ও গ্রেফতারের নিন্দা জানাচ্ছি। তারা (সরকার) বিএনপিকে ভয় পাচ্ছে। সমাবেশ আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। এ সরকার গণতন্ত্র বোঝে না। যে কারণে যারা ভোটের অধিকারের কথা বলে তাদের ভয় পায়। আজকের এ সমাবেশ বার্তা দিচ্ছে, দেশ শাসন করছে একটি ফ্যাসিবাদী সরকার। দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরকারকে কেউ বিশ্বাস করে না। অর্থনৈতিকভাবে দেশ খাদের কিনারে চলে গেছে। দেশে আজ লুটতরাজ চলছে। দেশে আইনের শাসন থাকলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সাজা হতো না। তাদের বিরুদ্ধে দেয়া রায় ছিল ফরমায়েশি। সরকার বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। পুলিশ বাহিনাকে বিরোধীদলের ওপর লেলিয়ে দেয়া হয়েছে।