ঢাকা ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

খেরসনে ৪০০’র বেশি যুদ্ধাপরাধ করেছে রাশিয়া : জেলেনস্কি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের পর সেখানে তদন্ত চালাচ্ছে ইউক্রেনীয় প্রশাসন। তদন্তে ইতোমধ্যে ৪০০’র বেশি যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া তাদের সেনা প্রত্যাহারের পর ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ খেরসনের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং এরপর থেকে তদন্তকারীরা খেরসন অঞ্চলে ৪০০টিরও বেশি যুদ্ধাপরাধ উন্মোচন করেছে।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি, এই অঞ্চলে বেসামরিক ও সৈন্যদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।তার এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।

তবে রুশ সৈন্যদের ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের হামলার টার্গেট করার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে মস্কো।

এদিকে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ সেখানে কারফিউ জারি করেছে এবং খেরসনের ভেতরে ও বাইরে যাতায়াত সীমিত করেছে। রোববার (১৩ নভেম্বর) রাতে দেওয়া এক ভিডিও ভাষণে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ান সেনাবাহিনী আমাদের দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো খেরসন অঞ্চলেও একই নৃশংসতা রেখে গেছে। আমরা প্রত্যেক খুনিকে খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনব। কোনো সন্দেহ নেই।

অবশ্য চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের বুচা, ইজিয়ুম এবং মরিপোলসহ বিভিন্ন এলাকায় গণকবর পাওয়া গেছে। ইউক্রেন এই নৃশংসতার পেছনে রুশ সেনাদের দায়ী করেছে।

জাতিসংঘের একটি কমিশন গত মাসে জানায়, ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং আক্রমণের শুরুতে ইউক্রেনে যে ‘ব্যাপক মাত্রার’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে তার জন্য রাশিয়ার বাহিনী দায়ী।

অবশ্য কিছু রাশিয়ান সৈন্য ছদ্মবেশে এখনো খেরসনে থেকে থাকতে পারে এমন আশঙ্কাও রয়েছে। আর তাই প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, এই অঞ্চলে রেখে যাওয়া রাশিয়ান সৈন্য এবং ভাড়াটে সৈন্যদের আটক অভিযান এবং নাশকতাকারীদের দমনের কাজ চলছে।

ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর থেকে খেরসনই ছিল একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী যা রাশিয়ার দখলে ছিল। সেপ্টেম্বরে ক্রেমলিনে এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই অঞ্চলটিকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু গত শুক্রবার ইউক্রেনের সেনারা খেরসন শহর মুক্ত করে।

বিবিসি জানিয়েছে, প্রায় ৩০ হাজার রাশিয়ান সৈন্যদের পশ্চাদপসরণ করার পর খেরসন ফিরে পান ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। ইউক্রেনীয়রা এটিকে ক্রেমলিনের জন্য একটি বড় বিজয় হিসেবে দেখছে।শুক্রবার রুশ সেনারা খেরসন পরিত্যাগ করার পর শহরের বাসিন্দারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং শহরের কেন্দ্রে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের স্বাগত জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

খেরসনে ৪০০’র বেশি যুদ্ধাপরাধ করেছে রাশিয়া : জেলেনস্কি

আপডেট সময় : ১২:৪৮:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের পর সেখানে তদন্ত চালাচ্ছে ইউক্রেনীয় প্রশাসন। তদন্তে ইতোমধ্যে ৪০০’র বেশি যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া তাদের সেনা প্রত্যাহারের পর ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ খেরসনের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং এরপর থেকে তদন্তকারীরা খেরসন অঞ্চলে ৪০০টিরও বেশি যুদ্ধাপরাধ উন্মোচন করেছে।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি, এই অঞ্চলে বেসামরিক ও সৈন্যদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।তার এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।

তবে রুশ সৈন্যদের ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের হামলার টার্গেট করার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে মস্কো।

এদিকে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ সেখানে কারফিউ জারি করেছে এবং খেরসনের ভেতরে ও বাইরে যাতায়াত সীমিত করেছে। রোববার (১৩ নভেম্বর) রাতে দেওয়া এক ভিডিও ভাষণে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ান সেনাবাহিনী আমাদের দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো খেরসন অঞ্চলেও একই নৃশংসতা রেখে গেছে। আমরা প্রত্যেক খুনিকে খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনব। কোনো সন্দেহ নেই।

অবশ্য চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের বুচা, ইজিয়ুম এবং মরিপোলসহ বিভিন্ন এলাকায় গণকবর পাওয়া গেছে। ইউক্রেন এই নৃশংসতার পেছনে রুশ সেনাদের দায়ী করেছে।

জাতিসংঘের একটি কমিশন গত মাসে জানায়, ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং আক্রমণের শুরুতে ইউক্রেনে যে ‘ব্যাপক মাত্রার’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে তার জন্য রাশিয়ার বাহিনী দায়ী।

অবশ্য কিছু রাশিয়ান সৈন্য ছদ্মবেশে এখনো খেরসনে থেকে থাকতে পারে এমন আশঙ্কাও রয়েছে। আর তাই প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, এই অঞ্চলে রেখে যাওয়া রাশিয়ান সৈন্য এবং ভাড়াটে সৈন্যদের আটক অভিযান এবং নাশকতাকারীদের দমনের কাজ চলছে।

ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর থেকে খেরসনই ছিল একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী যা রাশিয়ার দখলে ছিল। সেপ্টেম্বরে ক্রেমলিনে এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই অঞ্চলটিকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু গত শুক্রবার ইউক্রেনের সেনারা খেরসন শহর মুক্ত করে।

বিবিসি জানিয়েছে, প্রায় ৩০ হাজার রাশিয়ান সৈন্যদের পশ্চাদপসরণ করার পর খেরসন ফিরে পান ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। ইউক্রেনীয়রা এটিকে ক্রেমলিনের জন্য একটি বড় বিজয় হিসেবে দেখছে।শুক্রবার রুশ সেনারা খেরসন পরিত্যাগ করার পর শহরের বাসিন্দারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং শহরের কেন্দ্রে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের স্বাগত জানান।