ঢাকা ১২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কৃষি জমি ঠিক রেখে শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সারা দেশে শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হবে। তবে এর জন্য কৃষি জমি নষ্ট করা যাবে না। কৃষি জমি ঠিক রেখে শিল্পায়নকে এগিয়ে নিতে হবে।
রোববার (২০ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ৫০টি শিল্প ও অবকাঠামোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বলেন, আপনারা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন। মানুষের কল্যাণে যত বেশি কাজ করবেন, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে আপনাদের সহযোগিতা করবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে যারা শিল্পপতি আছেন, তাদের অনুরোধ করবো ইন্ডাস্ট্রি চালিয়ে অন্তত নিজের দেশের মানুষের চাহিদা পূরণের প্রচেষ্টা আপনারা নেবেন। কারণ, আপনাদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। এখন হাওয়া ভবন নেই যে আপনাদের কোনো কাজ পেতে হলে হাওয়া ভবনে পাওনা বুঝাতে হয় বা ছোটাছুটি করতে হয়। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবেন। ব্যবসার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা, সেটা কিন্তু আমরা করে দিচ্ছি।

যত্রতত্র শিল্পায়ন করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ফসলি জমিতে ফসল হবে। ফসলি জমি যেন নষ্ট না হয়। যেসব জায়গা কাজে আসে না, সেগুলোতে আবাসন ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজেরা শিল্প গড়ে তুলুন। অন্যকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিন। আমাদের উদ্দেশ্য রফতানি বৃদ্ধি ও দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়া।

তিনি বলেন, ধ্বংসপ্রাপ্ত রাস্তাঘাট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে উন্নয়ন করেছে। গবেষণার মাধ্যমে ফসল উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছি। দেশের চরাঞ্চল পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছি, শিল্পায়নের ব্যবস্থা করেছি। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে কিছুটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মান মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে রপ্তানি বৃদ্ধি করা ও দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়া। পরিকল্পনা রয়েছে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা।

এদিকে, চট্টগ্রামে বিএসএমএসএন প্রান্ত থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন। বেজা জানিয়েছে, শিল্প, কর্মসংস্থান, উৎপাদন ও রফতানি বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণের মাধ্যমে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পশ্চাৎপদ ও অনুন্নত অঞ্চলসহ বাংলাদেশের সকল সম্ভাব্য এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিকল্পিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সরকার ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন করেছে, যার মধ্যে ২৮টি বর্তমানে উন্নয়নাধীন রয়েছে।

অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো জাপান, চীন, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া এবং নরওয়েসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছে।

বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী কর্ণফুলী ড্রাইডক স্পেশাল ইকোনমিক জোনসহ ৫০টি শিল্প এবং অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

আরো বক্তব্য রাখেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুর রহমান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

কৃষি জমি ঠিক রেখে শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সারা দেশে শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হবে। তবে এর জন্য কৃষি জমি নষ্ট করা যাবে না। কৃষি জমি ঠিক রেখে শিল্পায়নকে এগিয়ে নিতে হবে।
রোববার (২০ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ৫০টি শিল্প ও অবকাঠামোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বলেন, আপনারা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন। মানুষের কল্যাণে যত বেশি কাজ করবেন, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে আপনাদের সহযোগিতা করবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে যারা শিল্পপতি আছেন, তাদের অনুরোধ করবো ইন্ডাস্ট্রি চালিয়ে অন্তত নিজের দেশের মানুষের চাহিদা পূরণের প্রচেষ্টা আপনারা নেবেন। কারণ, আপনাদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। এখন হাওয়া ভবন নেই যে আপনাদের কোনো কাজ পেতে হলে হাওয়া ভবনে পাওনা বুঝাতে হয় বা ছোটাছুটি করতে হয়। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবেন। ব্যবসার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা, সেটা কিন্তু আমরা করে দিচ্ছি।

যত্রতত্র শিল্পায়ন করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ফসলি জমিতে ফসল হবে। ফসলি জমি যেন নষ্ট না হয়। যেসব জায়গা কাজে আসে না, সেগুলোতে আবাসন ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজেরা শিল্প গড়ে তুলুন। অন্যকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিন। আমাদের উদ্দেশ্য রফতানি বৃদ্ধি ও দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়া।

তিনি বলেন, ধ্বংসপ্রাপ্ত রাস্তাঘাট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে উন্নয়ন করেছে। গবেষণার মাধ্যমে ফসল উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছি। দেশের চরাঞ্চল পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছি, শিল্পায়নের ব্যবস্থা করেছি। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে কিছুটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মান মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে রপ্তানি বৃদ্ধি করা ও দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়া। পরিকল্পনা রয়েছে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা।

এদিকে, চট্টগ্রামে বিএসএমএসএন প্রান্ত থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন। বেজা জানিয়েছে, শিল্প, কর্মসংস্থান, উৎপাদন ও রফতানি বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণের মাধ্যমে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পশ্চাৎপদ ও অনুন্নত অঞ্চলসহ বাংলাদেশের সকল সম্ভাব্য এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিকল্পিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সরকার ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন করেছে, যার মধ্যে ২৮টি বর্তমানে উন্নয়নাধীন রয়েছে।

অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো জাপান, চীন, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া এবং নরওয়েসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছে।

বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী কর্ণফুলী ড্রাইডক স্পেশাল ইকোনমিক জোনসহ ৫০টি শিল্প এবং অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

আরো বক্তব্য রাখেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুর রহমান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।