ঢাকা ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে মৃত্যু ৭ ফুট লম্বা ইরাবতী ডলফিন

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:৪৭:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
  • / ৪২৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে একটি ৭ফুট লম্বা ইরাবতী প্রজাতির মৃত্যু মা ডলফিন ভেসে এসেছে। এর মাথায় ছেড়া জালের টুকরা পেচানো রয়েছে। পুরো শরীরে চামড়া উঠানো। শনিবার সকালে কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে সৈকতে পূর্ব দিকে ডলফিনটি দেখতে পায় ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্যরা। এর আগে গত ২মে সৈকতে আরো একটি মৃত ইরাবতী ডলফিনের বাচ্চা এসেছিল।
ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য আবুল হোসেন রাজু  জানান, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ফলে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। এর মধ্যে ডেউয়ের সাথে তীরে আসতে দেখি ডলফিনটিকে। অতিরিক্ত ডেউ হওয়ার কারনে এটির কাছে যাওয়া যায়নি প্রথমে। ওর শরীরের উপরের সম্পূর্ণ চামড়া উঠানো। পরে আমি ডলফিন রক্ষা কমিটিকে খবর দেই।
সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, এই ডলফিনটির মুখে যেহেতু জাল আটকানো তার মানে ছেঁড়া জালে আঁটকে ওর মৃত্যু হয়েছে। আর শরীরের যে অবস্থা তাতে মনে হয় আরো দুই-তিন আগে ও মারা গেছে। আমরা এগুলো নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছি, কেন প্রতিবছর এমন পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে বনবিভাগ ও ব্লু-গার্ডের সহায়তায় আমাদের সদস্যরা নিরাপদ স্থানে ডলফিনটিকে মাটি চাপা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে। এই উপকূলীয় এলাকাজুড়ে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি ডলফিন নিয়ে। আমরা উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে এই মৃত্যুর সঠিক কারনগুলো বের করা হয়।
বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, আমি ডলফিন রক্ষা কমিটির মাধ্যমে শুনেছি। আমাদের সদস্যদের পাঠিয়ে দ্রুত মাটিচাপা দেয়ার ব্যবস্থা করছি যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায়।
বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে মৃত্যু ৭ ফুট লম্বা ইরাবতী ডলফিন

আপডেট সময় : ০২:৪৭:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে একটি ৭ফুট লম্বা ইরাবতী প্রজাতির মৃত্যু মা ডলফিন ভেসে এসেছে। এর মাথায় ছেড়া জালের টুকরা পেচানো রয়েছে। পুরো শরীরে চামড়া উঠানো। শনিবার সকালে কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে সৈকতে পূর্ব দিকে ডলফিনটি দেখতে পায় ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্যরা। এর আগে গত ২মে সৈকতে আরো একটি মৃত ইরাবতী ডলফিনের বাচ্চা এসেছিল।
ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য আবুল হোসেন রাজু  জানান, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ফলে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। এর মধ্যে ডেউয়ের সাথে তীরে আসতে দেখি ডলফিনটিকে। অতিরিক্ত ডেউ হওয়ার কারনে এটির কাছে যাওয়া যায়নি প্রথমে। ওর শরীরের উপরের সম্পূর্ণ চামড়া উঠানো। পরে আমি ডলফিন রক্ষা কমিটিকে খবর দেই।
সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, এই ডলফিনটির মুখে যেহেতু জাল আটকানো তার মানে ছেঁড়া জালে আঁটকে ওর মৃত্যু হয়েছে। আর শরীরের যে অবস্থা তাতে মনে হয় আরো দুই-তিন আগে ও মারা গেছে। আমরা এগুলো নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছি, কেন প্রতিবছর এমন পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে বনবিভাগ ও ব্লু-গার্ডের সহায়তায় আমাদের সদস্যরা নিরাপদ স্থানে ডলফিনটিকে মাটি চাপা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে। এই উপকূলীয় এলাকাজুড়ে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি ডলফিন নিয়ে। আমরা উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে এই মৃত্যুর সঠিক কারনগুলো বের করা হয়।
বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, আমি ডলফিন রক্ষা কমিটির মাধ্যমে শুনেছি। আমাদের সদস্যদের পাঠিয়ে দ্রুত মাটিচাপা দেয়ার ব্যবস্থা করছি যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায়।
বাখ//আর