ঢাকা ১১:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি :
পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে পৌর পরিষদ। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পৌর পরিষদের উদ্যোগে পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবুল হাশেম বলেন, ‘কড়ইতলা এলাকায় নছিমন চালকের সঙ্গে এক লেগুনা চালকের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচলের বিষয়ে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্খিত ও অপ্রত্যাশিত ভাবে মামুন হোসেন নামের একজন ব্যক্তি খুন হয়। পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে সেই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
এ সময় লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, হত্যাকান্ডের পর রাতেই কড়ইতলা এলাকা এবং ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ক্ষতিগ্রস্থদের কেউ কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের নাম বলেনি। অথচ হত্যাকান্ডের রাতেই নিজের বাড়িতে অবস্থান করা কামাল উদ্দিনসহ তার ভাতিজাকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনী। পরবর্তীতে ঈশ্বরদী থানায় দায়েরকৃত মামলায় কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, হত্যাকান্ডের সময় কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে ছিলেন না। হত্যাকান্ডের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন বলেও আমাদের মনে হয় না। অথচ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যেমূলক ভাবে ঈশ্বরদী পৌরসভার একজন জনপ্রিয় কাউন্সিলরকে হত্যা মামলায় জড়িয়ে ফাঁসানো হচ্ছে। পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে কাউন্সিলর কামালের মুক্তি, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মামলার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম সাবু, জাহাঙ্গীর আলম, আমিনুর রহমান, ওয়াকিল আলম, আব্দুল লতিফ মিন্টু, আবু জাহীদ, ইউসুফ আলী, নারী কাউন্সিলর ফরিদা ইয়াসমিন, রহিমা খাতুন, ফিরোজা বেগম, পৌর সচিব জহুরুল হক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় নছিমনচালকের সঙ্গে এক লেগুনাচালকের বিরোধ তৈরি হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে কয়েকজন যুবক সেখানে এসে বিরোধে জড়ান। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ধস্তাধস্তি চলাকালে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের ভাই আনোয়ার হোসেন কোমরে রাখা পিস্তল বের করে গুলি চালান। এতে রিকশাচালক মামুন হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মামুনের মা লিপি খাতুন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দিনকে প্রধান আসামি ও তাঁর ভাই আনোয়ার হোসেনকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে। এরপর শুক্রবার দুপুরে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন ও তৃতীয় আসামি ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি হৃদয় হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
বা/খ:জই

নিউজটি শেয়ার করুন

কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ

আপডেট সময় : ০৫:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি :
পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে পৌর পরিষদ। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পৌর পরিষদের উদ্যোগে পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবুল হাশেম বলেন, ‘কড়ইতলা এলাকায় নছিমন চালকের সঙ্গে এক লেগুনা চালকের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচলের বিষয়ে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্খিত ও অপ্রত্যাশিত ভাবে মামুন হোসেন নামের একজন ব্যক্তি খুন হয়। পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে সেই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
এ সময় লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, হত্যাকান্ডের পর রাতেই কড়ইতলা এলাকা এবং ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ক্ষতিগ্রস্থদের কেউ কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের নাম বলেনি। অথচ হত্যাকান্ডের রাতেই নিজের বাড়িতে অবস্থান করা কামাল উদ্দিনসহ তার ভাতিজাকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনী। পরবর্তীতে ঈশ্বরদী থানায় দায়েরকৃত মামলায় কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, হত্যাকান্ডের সময় কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে ছিলেন না। হত্যাকান্ডের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন বলেও আমাদের মনে হয় না। অথচ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যেমূলক ভাবে ঈশ্বরদী পৌরসভার একজন জনপ্রিয় কাউন্সিলরকে হত্যা মামলায় জড়িয়ে ফাঁসানো হচ্ছে। পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে কাউন্সিলর কামালের মুক্তি, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মামলার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম সাবু, জাহাঙ্গীর আলম, আমিনুর রহমান, ওয়াকিল আলম, আব্দুল লতিফ মিন্টু, আবু জাহীদ, ইউসুফ আলী, নারী কাউন্সিলর ফরিদা ইয়াসমিন, রহিমা খাতুন, ফিরোজা বেগম, পৌর সচিব জহুরুল হক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় নছিমনচালকের সঙ্গে এক লেগুনাচালকের বিরোধ তৈরি হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে কয়েকজন যুবক সেখানে এসে বিরোধে জড়ান। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ধস্তাধস্তি চলাকালে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের ভাই আনোয়ার হোসেন কোমরে রাখা পিস্তল বের করে গুলি চালান। এতে রিকশাচালক মামুন হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মামুনের মা লিপি খাতুন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দিনকে প্রধান আসামি ও তাঁর ভাই আনোয়ার হোসেনকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে। এরপর শুক্রবার দুপুরে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন ও তৃতীয় আসামি ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি হৃদয় হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
বা/খ:জই