ঢাকা ০১:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কলাপাড়ার অলোচিত এসিল্যান্ড আবুবক্করের প্রত্যাহারে জনমনে স্বস্তি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০১:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

//  কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি //

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা ভূমি অফিসে ঘুষ ছাড়া সেবা না পাওয়ার অভিযোগে আলোচিত সেই এসিল্যান্ড মো: আবুবক্কর সিদ্দিকী’র প্রত্যাহার আদেশ কার্যকর হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। নতুন এসিল্যান্ড হিসেবে কৌশিক আহমেদ’র পদায়নে ভূমি অফিসের সেবা প্রত্যাশীদের মধ্যে আনন্দের সঞ্চার হয়েছে।

এর আগে জনৈক জাহাঙ্গীর শেখ নামে এক ভুক্তভোগী জন প্রশাসন মন্ত্রনালয়ে ভূমি অফিসে ঘুষ ছাড়া সেবা না পাওয়ার লিখিত অভিযোগ করেন। যাতে বলা হয় উপজেলার আলীপুর মৌজায় তার ১.২২ একর ভোগদখলীয় জমি ই-নামজারীর জন্য আবেদন করেন ঢাকার উত্তরা এলাকার আবদুস সত্তার, ই-নামজারী কেস নং-৮৮৩/২০২১। যে জমির ই-নামজারীর বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের দে.মো. ৫৭৯/১৪ মামলার রায়, ডিক্রির কপি, যুগ্ম জেলা জজ আদালতের দে.মো. ৩৭২/১৭, কলাপাড়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের দে.মো. ৮৪/২০০৬, পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সি.আর ৮৩৪/২০১৮ মামলার কপি সংযুক্ত করে লিখিত আপত্তি দাখিল করে শুনানীর পরও উক্ত ই-নামজারী কেসটি মঞ্জুর করেন এসিল্যান্ড। এতে সংক্ষুব্ধ জাহাঙ্গীর শেখ আপীলের প্রস্তুতিসহ বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব, ভূমি মন্ত্রনালয়ের সচিবসহ উর্ধ্বতনদের কাছে এসিল্যান্ড, সার্ভেয়ার ও নাজির উবাসো’র বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। এছাড়া কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টের পূর্ব পার্শ্বে কুয়াকাটা মৌজার বিএস ১ নং খাস খতিয়ানের ৩৪১২ দাগের প্রায় ০.০৫ একর জমিতে এসিল্যান্ড মো: আবুবক্কর সিদ্দিকী (পরিচিতি নম্বর-১৮২০২) কে ম্যানেজ করে ৫ তলা আবাসিক হোটেল ভবন নির্মাণ করেছেন মো: শহিদুল ইসলাম। উক্ত ভবনটির বেইজে কাজ করার সময় এসিল্যান্ড আবুবক্কর সিদ্দিকী উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার, মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার ও এমএলএসএস নিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। পরে মহিপুর ভূমি অফিসের তহশিলদার মংলাতেন ভবন মালিকের সাথে মধ্যস্থতা করে মোটা অংকের ঘুষ এনে দেন এসিল্যান্ডকে। যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের শৃঙ্খলা-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো: আমিনুর রহমান পটুয়াখালী জেলা প্রশাসককে অভিযুক্ত এসিল্যান্ড আবুবক্কর সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন।

এদিকে, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের মাঠ প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী সচিব মর্তুজা আল-মুঈদ’র ৫ জানুয়ারি-২০২৩ তারিখে স্বাক্ষরিত এক আদেশে কলাপাড়া এসিল্যান্ড মো: আবুবক্কর সিদ্দিকীকে (পরিচিতি নম্বর-১৮২০২) প্রত্যাহার
করে বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়। এর পর বেশ কিছু দিন অতিবাহিত হওয়ার পর নতুন এসিল্যান্ডের যোগদান ও বিতর্কিত এসিল্যান্ড আবুবক্কর সিদ্দিকীর প্রত্যাহার আদেশ কার্যকর হয়।

কলাপাড়া পৌর এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ সড়ক এলাকার কবির তালুকদার বলেন, সাবেক এসিল্যান্ড আবুবক্কর সিদ্দিকী আমার দু’টি ই-নামজারী আবেদনসহ একদিনে প্রায় ৭০০ ই-নামজারী আবেদন যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই নামঞ্জুর করেন। তার প্রত্যাহারে ভূমি সেবা প্রত্যাশী মানুষ একটি অমানুসিকতা থেকে মুক্তি পেলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

কলাপাড়ার অলোচিত এসিল্যান্ড আবুবক্করের প্রত্যাহারে জনমনে স্বস্তি

আপডেট সময় : ০৮:০১:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩

//  কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি //

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা ভূমি অফিসে ঘুষ ছাড়া সেবা না পাওয়ার অভিযোগে আলোচিত সেই এসিল্যান্ড মো: আবুবক্কর সিদ্দিকী’র প্রত্যাহার আদেশ কার্যকর হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। নতুন এসিল্যান্ড হিসেবে কৌশিক আহমেদ’র পদায়নে ভূমি অফিসের সেবা প্রত্যাশীদের মধ্যে আনন্দের সঞ্চার হয়েছে।

এর আগে জনৈক জাহাঙ্গীর শেখ নামে এক ভুক্তভোগী জন প্রশাসন মন্ত্রনালয়ে ভূমি অফিসে ঘুষ ছাড়া সেবা না পাওয়ার লিখিত অভিযোগ করেন। যাতে বলা হয় উপজেলার আলীপুর মৌজায় তার ১.২২ একর ভোগদখলীয় জমি ই-নামজারীর জন্য আবেদন করেন ঢাকার উত্তরা এলাকার আবদুস সত্তার, ই-নামজারী কেস নং-৮৮৩/২০২১। যে জমির ই-নামজারীর বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের দে.মো. ৫৭৯/১৪ মামলার রায়, ডিক্রির কপি, যুগ্ম জেলা জজ আদালতের দে.মো. ৩৭২/১৭, কলাপাড়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের দে.মো. ৮৪/২০০৬, পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সি.আর ৮৩৪/২০১৮ মামলার কপি সংযুক্ত করে লিখিত আপত্তি দাখিল করে শুনানীর পরও উক্ত ই-নামজারী কেসটি মঞ্জুর করেন এসিল্যান্ড। এতে সংক্ষুব্ধ জাহাঙ্গীর শেখ আপীলের প্রস্তুতিসহ বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব, ভূমি মন্ত্রনালয়ের সচিবসহ উর্ধ্বতনদের কাছে এসিল্যান্ড, সার্ভেয়ার ও নাজির উবাসো’র বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। এছাড়া কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টের পূর্ব পার্শ্বে কুয়াকাটা মৌজার বিএস ১ নং খাস খতিয়ানের ৩৪১২ দাগের প্রায় ০.০৫ একর জমিতে এসিল্যান্ড মো: আবুবক্কর সিদ্দিকী (পরিচিতি নম্বর-১৮২০২) কে ম্যানেজ করে ৫ তলা আবাসিক হোটেল ভবন নির্মাণ করেছেন মো: শহিদুল ইসলাম। উক্ত ভবনটির বেইজে কাজ করার সময় এসিল্যান্ড আবুবক্কর সিদ্দিকী উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার, মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার ও এমএলএসএস নিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। পরে মহিপুর ভূমি অফিসের তহশিলদার মংলাতেন ভবন মালিকের সাথে মধ্যস্থতা করে মোটা অংকের ঘুষ এনে দেন এসিল্যান্ডকে। যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের শৃঙ্খলা-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো: আমিনুর রহমান পটুয়াখালী জেলা প্রশাসককে অভিযুক্ত এসিল্যান্ড আবুবক্কর সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন।

এদিকে, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের মাঠ প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী সচিব মর্তুজা আল-মুঈদ’র ৫ জানুয়ারি-২০২৩ তারিখে স্বাক্ষরিত এক আদেশে কলাপাড়া এসিল্যান্ড মো: আবুবক্কর সিদ্দিকীকে (পরিচিতি নম্বর-১৮২০২) প্রত্যাহার
করে বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়। এর পর বেশ কিছু দিন অতিবাহিত হওয়ার পর নতুন এসিল্যান্ডের যোগদান ও বিতর্কিত এসিল্যান্ড আবুবক্কর সিদ্দিকীর প্রত্যাহার আদেশ কার্যকর হয়।

কলাপাড়া পৌর এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ সড়ক এলাকার কবির তালুকদার বলেন, সাবেক এসিল্যান্ড আবুবক্কর সিদ্দিকী আমার দু’টি ই-নামজারী আবেদনসহ একদিনে প্রায় ৭০০ ই-নামজারী আবেদন যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই নামঞ্জুর করেন। তার প্রত্যাহারে ভূমি সেবা প্রত্যাশী মানুষ একটি অমানুসিকতা থেকে মুক্তি পেলো।