ঢাকা ০৯:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে টিআর-কাবিখা প্রকল্পের কাজ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৪:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
  • / ৪৭৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি //
খুলনার পাইকগাছা উপজেলাধীন বৃহত্তম চাঁদখালী ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) শ্রমিক দিয়ে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর/কাবিখা) কর্মসূচির অধীন বাস্তবায়িত প্রকল্পে ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে অভিযোগের বিষয়টি ইউপি সচিব সত্য বলে স্বীকার করলেও ইউপি চেয়ারম্যান কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
২০২২-২৩ অর্থ বছরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ টিআর/কাবিখা কর্মসূচির অধীন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ ভরাটের জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সেখানে প্রকল্পের টাকা ব্যয় না করে সংশ্লিষ্টরা অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) শ্রমিকদের মাধ্যমে মাটি ভরাটের কাজ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৭মে) সরেজমিনে ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্হানীরা জানান, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের অধীনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মত চাঁদখালী ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ মাটি দ্বারা ভরাটের জন্য ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের টাকা ব্যয় না করে শনিবার (২৭মে) সকাল থেকে কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিকদের মাধ্যমে মাটি ভরাটের কাজ করাতে থাকলে খবর পেয়ে তারা উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানায়। তৎক্ষণাৎ কর্তৃপক্ষ প্রতিনিধি পাঠিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহনের আশ্বাস দেয় বলে তারা জানায়।
তারা আরো জানায়, ইতিপূর্বে প্রকল্প সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ এ ধরনের কাজ করা কালে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ কে জানানো মাত্রই উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি এসে কাজ বন্ধ করে দেয় এবং এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে তাদের কে বিরত থাকতে বলে।
এ সময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ ভরাটের কাজটি টিআর/কাবিখা কিংবা অন্য কোনো প্রকল্পের আওতায় আছে কি না তা তারা জানেন না। তবে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ এখানে তাদেরকে কাজে লাগিয়েছে তাই তারা কাজ করছে।
এদিকে মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে চাঁদখালী ইউপি সচিব জি,এম আব্বাস উদ্দীন বলেন, অভিযোগটি সত্য। শনিবার (২৭মে) সকাল থেকে কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ টিআর/কাবিখা কর্মসূচির অধীন প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন পরিষের মাঠ ভরাটের কাজ করানো হয়েছে। তবে তিনি এ বিষয়টি কাউকে না জানানোর অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে চাঁদখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাদা মোঃআবু ইলিয়াস জানান, কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন পরিষের মাঠ ভরাটের কাজ করানো হচ্ছে কিনা তা আমার জানা নেই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইমরুল কায়েস বলেন, প্রকল্পের কাজ প্রকল্পের টাকায় হবে, ইজিপিপি শ্রমিক দিয়ে কাজ করার বিষয়টি আমার জানা নেই। আর টিআর/কাবিখা প্রকল্পের কাজ  ইজিপিপি শ্রমিক দিয়ে করানোর সুযোগ নেই। ইজিপিপি শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে টিআর-কাবিখা প্রকল্পের কাজ

আপডেট সময় : ০৬:৩৪:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
// পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি //
খুলনার পাইকগাছা উপজেলাধীন বৃহত্তম চাঁদখালী ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) শ্রমিক দিয়ে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর/কাবিখা) কর্মসূচির অধীন বাস্তবায়িত প্রকল্পে ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে অভিযোগের বিষয়টি ইউপি সচিব সত্য বলে স্বীকার করলেও ইউপি চেয়ারম্যান কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
২০২২-২৩ অর্থ বছরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ টিআর/কাবিখা কর্মসূচির অধীন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ ভরাটের জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সেখানে প্রকল্পের টাকা ব্যয় না করে সংশ্লিষ্টরা অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) শ্রমিকদের মাধ্যমে মাটি ভরাটের কাজ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৭মে) সরেজমিনে ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্হানীরা জানান, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের অধীনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মত চাঁদখালী ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ মাটি দ্বারা ভরাটের জন্য ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের টাকা ব্যয় না করে শনিবার (২৭মে) সকাল থেকে কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিকদের মাধ্যমে মাটি ভরাটের কাজ করাতে থাকলে খবর পেয়ে তারা উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানায়। তৎক্ষণাৎ কর্তৃপক্ষ প্রতিনিধি পাঠিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহনের আশ্বাস দেয় বলে তারা জানায়।
তারা আরো জানায়, ইতিপূর্বে প্রকল্প সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ এ ধরনের কাজ করা কালে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ কে জানানো মাত্রই উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি এসে কাজ বন্ধ করে দেয় এবং এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে তাদের কে বিরত থাকতে বলে।
এ সময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ ভরাটের কাজটি টিআর/কাবিখা কিংবা অন্য কোনো প্রকল্পের আওতায় আছে কি না তা তারা জানেন না। তবে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ এখানে তাদেরকে কাজে লাগিয়েছে তাই তারা কাজ করছে।
এদিকে মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে চাঁদখালী ইউপি সচিব জি,এম আব্বাস উদ্দীন বলেন, অভিযোগটি সত্য। শনিবার (২৭মে) সকাল থেকে কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ টিআর/কাবিখা কর্মসূচির অধীন প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন পরিষের মাঠ ভরাটের কাজ করানো হয়েছে। তবে তিনি এ বিষয়টি কাউকে না জানানোর অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে চাঁদখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাদা মোঃআবু ইলিয়াস জানান, কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন পরিষের মাঠ ভরাটের কাজ করানো হচ্ছে কিনা তা আমার জানা নেই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইমরুল কায়েস বলেন, প্রকল্পের কাজ প্রকল্পের টাকায় হবে, ইজিপিপি শ্রমিক দিয়ে কাজ করার বিষয়টি আমার জানা নেই। আর টিআর/কাবিখা প্রকল্পের কাজ  ইজিপিপি শ্রমিক দিয়ে করানোর সুযোগ নেই। ইজিপিপি শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।