ঢাকা ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কয়লা আমদানি ও অর্থের যোগান দেয়া বড় চ্যালেঞ্জ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩
  • / ৪৭২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের সবগুলো তাপবিদ্যুত কেন্দ্র চালাতে বছরে দুই কোটি টন কয়লার প্রয়োজন পড়বে। এই বিপুল পরিমাণ কয়লা আমদানি ও অর্থের যোগান দেয়া বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। প্যারিসভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। বর্তমানে কয়লাভিত্তিক চারটি বিদ্যুত কেন্দ্র চালু আছে। আরো ৫টি তাপবিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। কয়লাভিত্তিক সব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে জ্বালানির যোগান নিয়ে চাপ বাড়বে বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

বিদ্যুত খাতের মহাপরিকল্পনায় ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এর ৩৫ শতাংশই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বর্তমানে দেশে চালু থাকা পায়রা, রামপাল বড়পুকুরিয়াসহ ৪টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ২ হাজার ৮শ’ ১২ মেগাওয়াট।

আরো অন্তত ৬ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের নির্মাণ চলছে। এরমধ্যে মাতারবাড়ি ১২শ’, পায়রায় দ্বিতীয় ইউনিটে আরো ১৩২০, রামপাল দ্বিতীয় ইউনিটে ৬৬০, বাঁশাখালীতে বেসরকারি ১৩২০ ও পটুয়াখালিতে আরপিসিএলের ১৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ চলামান রয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে এসব বিদ্যুত কেন্দ্র উৎপাদনে আসার কথা।

প্যারিস ভিত্তিক এনার্জি খাতের নীতিনির্ধারণী ও তথ্য সরবরাহকারী স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি সম্প্রতি বাংলাদেশের তাপবিদ্যুত কেন্দ্রে কয়লার চাহিদা নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে ২০২৫ সাল নাগাদ কমপক্ষে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনে বাংলাদেশের কয়লার প্রয়োজন পড়বে ১৯ মিলিয়ন টন।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়লার বৈশ্বিক বাজার যে কোন অস্থিতিশীল হতে পারে। তাই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালাতে কয়লার নিরবচ্ছিন্ন যোগান নিশ্চিত করার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা থাকতে হবে।

ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির প্রতিবেদন বলছে ২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্ববাজারে কয়লার চাহিদা বর্তমান সময়ের চেয়ে আরো আট বিলিয়ন টন বাড়বে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কয়লা আমদানি ও অর্থের যোগান দেয়া বড় চ্যালেঞ্জ

আপডেট সময় : ০২:৪২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের সবগুলো তাপবিদ্যুত কেন্দ্র চালাতে বছরে দুই কোটি টন কয়লার প্রয়োজন পড়বে। এই বিপুল পরিমাণ কয়লা আমদানি ও অর্থের যোগান দেয়া বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। প্যারিসভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। বর্তমানে কয়লাভিত্তিক চারটি বিদ্যুত কেন্দ্র চালু আছে। আরো ৫টি তাপবিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। কয়লাভিত্তিক সব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে জ্বালানির যোগান নিয়ে চাপ বাড়বে বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

বিদ্যুত খাতের মহাপরিকল্পনায় ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এর ৩৫ শতাংশই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বর্তমানে দেশে চালু থাকা পায়রা, রামপাল বড়পুকুরিয়াসহ ৪টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ২ হাজার ৮শ’ ১২ মেগাওয়াট।

আরো অন্তত ৬ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের নির্মাণ চলছে। এরমধ্যে মাতারবাড়ি ১২শ’, পায়রায় দ্বিতীয় ইউনিটে আরো ১৩২০, রামপাল দ্বিতীয় ইউনিটে ৬৬০, বাঁশাখালীতে বেসরকারি ১৩২০ ও পটুয়াখালিতে আরপিসিএলের ১৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ চলামান রয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে এসব বিদ্যুত কেন্দ্র উৎপাদনে আসার কথা।

প্যারিস ভিত্তিক এনার্জি খাতের নীতিনির্ধারণী ও তথ্য সরবরাহকারী স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি সম্প্রতি বাংলাদেশের তাপবিদ্যুত কেন্দ্রে কয়লার চাহিদা নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে ২০২৫ সাল নাগাদ কমপক্ষে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনে বাংলাদেশের কয়লার প্রয়োজন পড়বে ১৯ মিলিয়ন টন।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়লার বৈশ্বিক বাজার যে কোন অস্থিতিশীল হতে পারে। তাই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালাতে কয়লার নিরবচ্ছিন্ন যোগান নিশ্চিত করার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা থাকতে হবে।

ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির প্রতিবেদন বলছে ২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্ববাজারে কয়লার চাহিদা বর্তমান সময়ের চেয়ে আরো আট বিলিয়ন টন বাড়বে।