ঢাকা ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কয়রায় ঘূর্ণিঝড় মোখা পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন বেঁড়িবাঁধে এমপি বাবু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:০৯:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// শাহজাহান সিরাজ, কয়রা প্রতিনিধি //

সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় মোখার খোঁজ খবর নিতে দিনভর কয়রায় বিভিন্ন বেঁড়িবাঁধ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আকতারুজ্জামান। তিনি শনিবার বিকেল থেকে কয়রায় অবস্থান করে বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে বেঁড়িবাঁধসহ জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। তিনি রবিবার দুপুরে কপোতাক্ষ নদী ও বিকেলে বেদকাশির শাকবাড়ী নদীর কয়েকটি স্থানে বেঁড়িবাঁধ সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে স্থানীয় জনগণকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, ও কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জসহ ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বর এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে দুপুর ১২ টার আগেই নদীতে ভাটা থাকায় ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়েনি বেঁড়িবাঁধে। এছাড়া সংসদ সদস্য কপোতাক্ষ নদীর বেঁড়িবাঁধ দেখতে গেলে বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রতিনিধিসহ একাধিক পত্রিকার সাংবাদিকগণ ঘূর্ণিঝড় মোখার বিষয়ে কেমন প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে তার খোঁজ খবর নেন।

এ সময় সংসদ সদস্য জানান, উপজেলার ১২০ কিলোমিটার বেঁড়িবাঁধের অধিকাংশ গত ৪ বছরে সংস্কারসহ পুনঃ নির্মাণ করা হয়েছে এবং জাইকার ৫শ’ কোটি টাকার কাজ চলমান আছে। তিনি বলেন, টেকসই বেঁড়িবাঁধের দেড় হাজার কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রী বরাদ্ধ দিয়েছেন। কিন্তু উক্ত টাকার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন থাকায় আগামী অক্টোবর নভেম্বরে তার কার্যক্রমও শুরু হবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে প্রায় শত কিলোমিটার টেকসই বেঁড়িবাঁধের সীমানা নির্ধারণে জরিপ কাজ শেষ করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিনি ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে কয়রাবাসীতে মুক্ত করতে মহান আল্লাহর নিকট দোয়া কামনা করেন। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার কোন প্রভাব কয়রাতে না পড়লেও সাধারণ মানুষের ভিতরে একটি আতর্ক বিরাজ করছে কয়েক দিন ধরে।

এ বিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় শাখা কর্মকর্তা মোঃ সুলাইমান হোসেন জানান, বড় ধরনের কোন আঘাত না আসলে কয়রা অনেকটা বিপদমুক্ত থাকবে। তিনি বলেন, কয়েকটি স্থানের বেঁড়িবাঁধ ঝূঁকিপূর্ণ যেমন শাকবাড়ীয়া, গাববুনিয়া, আংটিহারা, গোবরা , শিকারি বাড়ী ও দশালিয়া। তবে এসব এলাকায় কার্যক্রম চলমান আছে এবং ঘূর্ণিঝড় মোখা উপলক্ষে তাদের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

কয়রায় ঘূর্ণিঝড় মোখা পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন বেঁড়িবাঁধে এমপি বাবু

আপডেট সময় : ০৬:০৯:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

// শাহজাহান সিরাজ, কয়রা প্রতিনিধি //

সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় মোখার খোঁজ খবর নিতে দিনভর কয়রায় বিভিন্ন বেঁড়িবাঁধ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আকতারুজ্জামান। তিনি শনিবার বিকেল থেকে কয়রায় অবস্থান করে বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে বেঁড়িবাঁধসহ জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। তিনি রবিবার দুপুরে কপোতাক্ষ নদী ও বিকেলে বেদকাশির শাকবাড়ী নদীর কয়েকটি স্থানে বেঁড়িবাঁধ সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে স্থানীয় জনগণকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, ও কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জসহ ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বর এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে দুপুর ১২ টার আগেই নদীতে ভাটা থাকায় ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়েনি বেঁড়িবাঁধে। এছাড়া সংসদ সদস্য কপোতাক্ষ নদীর বেঁড়িবাঁধ দেখতে গেলে বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রতিনিধিসহ একাধিক পত্রিকার সাংবাদিকগণ ঘূর্ণিঝড় মোখার বিষয়ে কেমন প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে তার খোঁজ খবর নেন।

এ সময় সংসদ সদস্য জানান, উপজেলার ১২০ কিলোমিটার বেঁড়িবাঁধের অধিকাংশ গত ৪ বছরে সংস্কারসহ পুনঃ নির্মাণ করা হয়েছে এবং জাইকার ৫শ’ কোটি টাকার কাজ চলমান আছে। তিনি বলেন, টেকসই বেঁড়িবাঁধের দেড় হাজার কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রী বরাদ্ধ দিয়েছেন। কিন্তু উক্ত টাকার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন থাকায় আগামী অক্টোবর নভেম্বরে তার কার্যক্রমও শুরু হবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে প্রায় শত কিলোমিটার টেকসই বেঁড়িবাঁধের সীমানা নির্ধারণে জরিপ কাজ শেষ করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিনি ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে কয়রাবাসীতে মুক্ত করতে মহান আল্লাহর নিকট দোয়া কামনা করেন। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার কোন প্রভাব কয়রাতে না পড়লেও সাধারণ মানুষের ভিতরে একটি আতর্ক বিরাজ করছে কয়েক দিন ধরে।

এ বিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় শাখা কর্মকর্তা মোঃ সুলাইমান হোসেন জানান, বড় ধরনের কোন আঘাত না আসলে কয়রা অনেকটা বিপদমুক্ত থাকবে। তিনি বলেন, কয়েকটি স্থানের বেঁড়িবাঁধ ঝূঁকিপূর্ণ যেমন শাকবাড়ীয়া, গাববুনিয়া, আংটিহারা, গোবরা , শিকারি বাড়ী ও দশালিয়া। তবে এসব এলাকায় কার্যক্রম চলমান আছে এবং ঘূর্ণিঝড় মোখা উপলক্ষে তাদের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

বা/খ: এসআর।