ঢাকা ০৫:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কমলাকান্দায় ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
নাজমুল হক, কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :
গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় হেলিম নামের এক কৃষক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত হেলিমের চাচিসহ তিনজন আহত হয়েছে। হেলিম মিয়া কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের নেওয়াত আলীর ছেলে।
নিহত হেলিমের চাচা আব্দুল হাশিম আহাজারি করে বলেন, ‘ওরা ফুটবল খেলার পুরস্কার না দিয়ে আমার ভাতিজার মরদেহ দিয়েছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’ এর আগে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হন কৃষক হেলিম মিয়া (৩৫)। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার বিকেলে নাজিরপুর ইউনিয়নের হরিপুর ও কান্দাপাড়া গ্রামের মধ্যে পার্শ্ববর্তী বড়ইউন্দ গ্রামের এক ধান ক্ষেতে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। খেলার এক পর্যায়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে স্থানীয়রা তা থামিয়ে দেয়। ওই ঘটনার জের ধরেই গত বৃহস্পতিবার আবারও ঝগড়া লাগে এবং দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে কৃষক হেলিমসহ আরও ৩ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে হেলিমের অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে শুক্রবার বিকেলে হেলিমের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে সন্ধ্যায় ঢাকায় উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। আহত অন্যান্যদের মধ্যে নিহতের চাচাতো ভাই খেলোয়াড় এমদাদুল হক (২২) কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে এবং এমদাদুলের মা হাবিবা খাতুন (৫৩) হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। নিহতের চাচাতো ভাই আহত এমদাদুল হক বলেন, সেদিনের খেলায় আমাদের কান্দাপাড়া ফুটবল টিম ১-০ গোলে হরিপুর গ্রামের টিমকে হারায়। পরে আয়োজক মাজহারুলের কাছে পুরস্কার চাইলে, পুরস্কার পরে দেওয়া হবে বলে আমাদের বিদায় করে দেন। পরে আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পেছন থেকে ধর ধর বলে হরিপুর টিমের রুবেলসহ আরও কিছু লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। নিহতের চাচা আব্দুল হাশিম বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। গুরুতর আহত অবস্থায় আমার ছেলে এমদাদুল, ভাতিজা হেলিম ও স্ত্রী হাবিবাকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা হাসপাতালে নিয়ে আসি।
এ বিষয়ে খেলার আয়োজক মাজহারুলসহ ওই পক্ষের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। হেলিমের মৃত্যুর খবর শুনে গা ঢাকা দিয়েছেন আয়োজকসহ ওই গ্রামের ফুটবল টিমের সদস্যরা। কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম (পিপিএম) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে।
বা/খ : এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

কমলাকান্দায় ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১

আপডেট সময় : ০৩:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩
নাজমুল হক, কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :
গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় হেলিম নামের এক কৃষক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত হেলিমের চাচিসহ তিনজন আহত হয়েছে। হেলিম মিয়া কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের নেওয়াত আলীর ছেলে।
নিহত হেলিমের চাচা আব্দুল হাশিম আহাজারি করে বলেন, ‘ওরা ফুটবল খেলার পুরস্কার না দিয়ে আমার ভাতিজার মরদেহ দিয়েছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’ এর আগে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হন কৃষক হেলিম মিয়া (৩৫)। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার বিকেলে নাজিরপুর ইউনিয়নের হরিপুর ও কান্দাপাড়া গ্রামের মধ্যে পার্শ্ববর্তী বড়ইউন্দ গ্রামের এক ধান ক্ষেতে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। খেলার এক পর্যায়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে স্থানীয়রা তা থামিয়ে দেয়। ওই ঘটনার জের ধরেই গত বৃহস্পতিবার আবারও ঝগড়া লাগে এবং দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে কৃষক হেলিমসহ আরও ৩ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে হেলিমের অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে শুক্রবার বিকেলে হেলিমের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে সন্ধ্যায় ঢাকায় উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। আহত অন্যান্যদের মধ্যে নিহতের চাচাতো ভাই খেলোয়াড় এমদাদুল হক (২২) কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে এবং এমদাদুলের মা হাবিবা খাতুন (৫৩) হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। নিহতের চাচাতো ভাই আহত এমদাদুল হক বলেন, সেদিনের খেলায় আমাদের কান্দাপাড়া ফুটবল টিম ১-০ গোলে হরিপুর গ্রামের টিমকে হারায়। পরে আয়োজক মাজহারুলের কাছে পুরস্কার চাইলে, পুরস্কার পরে দেওয়া হবে বলে আমাদের বিদায় করে দেন। পরে আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পেছন থেকে ধর ধর বলে হরিপুর টিমের রুবেলসহ আরও কিছু লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। নিহতের চাচা আব্দুল হাশিম বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। গুরুতর আহত অবস্থায় আমার ছেলে এমদাদুল, ভাতিজা হেলিম ও স্ত্রী হাবিবাকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা হাসপাতালে নিয়ে আসি।
এ বিষয়ে খেলার আয়োজক মাজহারুলসহ ওই পক্ষের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। হেলিমের মৃত্যুর খবর শুনে গা ঢাকা দিয়েছেন আয়োজকসহ ওই গ্রামের ফুটবল টিমের সদস্যরা। কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম (পিপিএম) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে।
বা/খ : এসআর।