ঢাকা ১০:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এফএ কাপের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ডার্বি

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৮:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
  • / ৪২৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এফএ কাপের ট্রফি জিতলে মোটা অংক জয়ের সুযোগ থাকছে ম্যানচেস্টারের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের সামনে। তবে ইউনাইটেডের জন্য আরও বেশি অর্থের হাতছানি। কারণ, ট্রফি জিতলেই আগামী মৌসুমের ইউরোপা লিগের টিকিট পাবে দলটি। যেখানে কেবল অংশগ্রহণ ফি প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।

একে তো ফাইনাল, তার ওপর ম্যানচেস্টার ডার্বি। ইংলিশ ফুটবলের অন্যতম মর্যাদাবান আসর এফএ কাপের জৌলুশ আরও বাড়াচ্ছে এই ম্যাচটি।

যদিও দুই দলের হিসাব-নিকাশ এখন আর এক পাল্লায় নেই। শক্তিমত্তায় বিস্তর ফারাক তৈরি হয়েছে। গেল কয়েক বছরে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে পাত্তাই পাচ্ছে না একসময়ের প্রতাপশালী দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তার ওপর দীর্ঘদিন ট্রফি খরায় ভুগতে থাকা ইউনাইটেডে রাজ্যের অস্বস্তি। গুঞ্জন আছে, এফএ কাপের ট্রফি জিতলেও নাকি দলটির কোচ টেন হাগকে বরখাস্ত করা হতে পারে! এসব সামলেই মাঠে নামবে ইউনাইটেড।

অন্যদিকে গার্দিওলার উড়ন্ত ম্যানচেস্টার সিটি জিতে নিয়েছে টানা চতুর্থ ইপিএল শিরোপা। এফএ কাপের ফাইনালেও নিশ্চিতভাবে তারাই এগিয়ে। তারপরও নগর প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁঝ তো রয়ে গেছে। দুই দল মুখোমুখি নামলেই তাই পরিসংখ্যানের পাতা ভুলে ফুটবলারদের মাঝে আলাদা রোমাঞ্চ কাজ করে।

এফএ কাপের ট্রফিটা যাদের দখলে যাবে, আরও একবার শহরের রাজত্ব তাদের দখলেই থাকবে। সঙ্গে পকেটে মোটা অংকের অর্থ ঢুকবে। এরই মধ্যে বিভিন্ন রাউন্ড, নকআউট পেরিয়ে আসায় দুই দলই ১৯ লাখ পাউন্ড বা ২৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকার বেশি আয় করে ফেলেছে। তবে শিরোপা জেতার সঙ্গে সঙ্গে জয়ী দল আরও ২০ লাখ পাউন্ড পেয়ে যাবে। আর ফাইনালে হারা দল ১০ লাখ পাউন্ড পাবে। অর্থাৎ জয়ী দলের সামনে সর্বমোট ৩৯ লাখ পাউন্ড জয়ের সুযোগ থাকছে, যা বাংলাদেশি অংকে ৫৮ কোটি ২৫ লাখ টাকার কাছাকাছি।

গেল এক দশকে দল গড়তে শত কোটি পাউন্ড খরচ করা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য ট্রফিটা বেশ জরুরি। এফএ কাপ জিতলে ৩৯ লাখ পাউন্ড জয়ের সুযোগ যেমন থাকছে, তেমন নিয়মানুযায়ী তারা কোয়ালিফাই করবে ইউরোপা লিগে। যেখানে কেবল অংশগ্রহণ করতে পারলেই দলটি পাবে ৩০ লাখ পাউন্ড বা প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। প্রতিটি জয়ের জন্য আরও ৫ লাখ পাউন্ড করে আয়ের সুযোগ থাকছে। এ বছর যেমন ইউরোপা লিগ জিতে আতালান্তা পকেটে ১ কোটি ৮৮ লাখ পাউন্ড পুরেছে! সঙ্গে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার টিকিটও পেয়েছে। এসব আকর্ষণীয় সুযোগ নিশ্চয়ই ইউনাইটেড লুফে নিতে চাইবে।

গার্দিওলা বাহিনীর সামনে মৌসুমের ডাবল জয়ের হাতছানি। ট্রফি কেবিনেটের শোভা কে না বাড়াতে চায়!

নিউজটি শেয়ার করুন

এফএ কাপের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ডার্বি

আপডেট সময় : ০৭:০৮:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

এফএ কাপের ট্রফি জিতলে মোটা অংক জয়ের সুযোগ থাকছে ম্যানচেস্টারের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের সামনে। তবে ইউনাইটেডের জন্য আরও বেশি অর্থের হাতছানি। কারণ, ট্রফি জিতলেই আগামী মৌসুমের ইউরোপা লিগের টিকিট পাবে দলটি। যেখানে কেবল অংশগ্রহণ ফি প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।

একে তো ফাইনাল, তার ওপর ম্যানচেস্টার ডার্বি। ইংলিশ ফুটবলের অন্যতম মর্যাদাবান আসর এফএ কাপের জৌলুশ আরও বাড়াচ্ছে এই ম্যাচটি।

যদিও দুই দলের হিসাব-নিকাশ এখন আর এক পাল্লায় নেই। শক্তিমত্তায় বিস্তর ফারাক তৈরি হয়েছে। গেল কয়েক বছরে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে পাত্তাই পাচ্ছে না একসময়ের প্রতাপশালী দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তার ওপর দীর্ঘদিন ট্রফি খরায় ভুগতে থাকা ইউনাইটেডে রাজ্যের অস্বস্তি। গুঞ্জন আছে, এফএ কাপের ট্রফি জিতলেও নাকি দলটির কোচ টেন হাগকে বরখাস্ত করা হতে পারে! এসব সামলেই মাঠে নামবে ইউনাইটেড।

অন্যদিকে গার্দিওলার উড়ন্ত ম্যানচেস্টার সিটি জিতে নিয়েছে টানা চতুর্থ ইপিএল শিরোপা। এফএ কাপের ফাইনালেও নিশ্চিতভাবে তারাই এগিয়ে। তারপরও নগর প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁঝ তো রয়ে গেছে। দুই দল মুখোমুখি নামলেই তাই পরিসংখ্যানের পাতা ভুলে ফুটবলারদের মাঝে আলাদা রোমাঞ্চ কাজ করে।

এফএ কাপের ট্রফিটা যাদের দখলে যাবে, আরও একবার শহরের রাজত্ব তাদের দখলেই থাকবে। সঙ্গে পকেটে মোটা অংকের অর্থ ঢুকবে। এরই মধ্যে বিভিন্ন রাউন্ড, নকআউট পেরিয়ে আসায় দুই দলই ১৯ লাখ পাউন্ড বা ২৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকার বেশি আয় করে ফেলেছে। তবে শিরোপা জেতার সঙ্গে সঙ্গে জয়ী দল আরও ২০ লাখ পাউন্ড পেয়ে যাবে। আর ফাইনালে হারা দল ১০ লাখ পাউন্ড পাবে। অর্থাৎ জয়ী দলের সামনে সর্বমোট ৩৯ লাখ পাউন্ড জয়ের সুযোগ থাকছে, যা বাংলাদেশি অংকে ৫৮ কোটি ২৫ লাখ টাকার কাছাকাছি।

গেল এক দশকে দল গড়তে শত কোটি পাউন্ড খরচ করা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য ট্রফিটা বেশ জরুরি। এফএ কাপ জিতলে ৩৯ লাখ পাউন্ড জয়ের সুযোগ যেমন থাকছে, তেমন নিয়মানুযায়ী তারা কোয়ালিফাই করবে ইউরোপা লিগে। যেখানে কেবল অংশগ্রহণ করতে পারলেই দলটি পাবে ৩০ লাখ পাউন্ড বা প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। প্রতিটি জয়ের জন্য আরও ৫ লাখ পাউন্ড করে আয়ের সুযোগ থাকছে। এ বছর যেমন ইউরোপা লিগ জিতে আতালান্তা পকেটে ১ কোটি ৮৮ লাখ পাউন্ড পুরেছে! সঙ্গে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার টিকিটও পেয়েছে। এসব আকর্ষণীয় সুযোগ নিশ্চয়ই ইউনাইটেড লুফে নিতে চাইবে।

গার্দিওলা বাহিনীর সামনে মৌসুমের ডাবল জয়ের হাতছানি। ট্রফি কেবিনেটের শোভা কে না বাড়াতে চায়!