ঢাকা ০২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এখন আর কেউ পড়তে আসে না পাঠাগারে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৬:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
  • / ৪৯৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// নাজিম বকাউল, বিশেষ প্রতিনিধি //

ফরিদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র টেপাখোলা চৌরাস্তায় ১৯৩৬ সালে গড়ে উঠেছিল একটি পাবলিক পাঠাগার।  এটির নাম ছিল কোহিনুর পাবলিক পাঠাগার ( লাইব্রেরি)। ফরিদপুরের শহরসহ বিভিন্ন  এলাকার ছাত্র ছাত্রী ও বই পড়ার প্রেমিকরা বিকেলে আশা শুরু করতো এবং  রাত ১১/১২ টা পযর্ন্ত বিভিন্ন ধরনের গল্প উপন‍্যাস ও খররের পত্রিকা পড়তো। বতর্মানে কোহিনুর পাঠাগার টি শুধু কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
কোহিনুর পাঠাগার প্রায় এক বিঘা জমির উপরে অবস্থান করছে। কোহিনুর পাঠাগারের সাথে দুটি মার্কেট রয়েছে এবং  প্রায় ২০/২৫ টি দোকান ও আছে। কালের যুগের সাথে হারিয়ে গেছে সব।
ওই এলাকায় প্রবীণ বসবাসকারী কলু, মোসলেম, রাজাসহ শতাধিক ব‍্যাক্তিরা জানান, বতর্মান ডিজিটাল যুগে এখন আর কোন ছেলে মেয়ে বা
ছাত্র ছাত্রীরা পাঠাগারে আসে না। ঘরে বসে মোবাইল টিপলেই হাতে কাছে সব পাওয়া যায়।
কোহিনুর পাঠাগারটির আপাতত কোন কমিটি নেই।
এ বিষয়ে সাবেক সাধারনরসম্পাদক এ‍্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী রতন জানান, আমি  কিছু দিন সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেছি।
কিন্তু, সময়ের কারণে আমি দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে।
তবে কোহিনুর পাঠাগার সভাপতির দায়িত্ব  আছেন আমাদের এক বড় ভাই ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মোঃ ফারুক হোসেন । রতন আবো বলেন, এখনকার সাধারণ জনগণ এতো বড় একটি  শিক্ষানিয় প্রতিষ্ঠান কিন্তু  শিক্ষা নিতে আসে না।
এলাকাবাসীর দাবী আবার নতুন ভাবে এলাকার গুরুজন নিয়ে আলাপ আলোচনা করে পাঠাগার টিকে আধুনিক ও চালু করা হোক।

নিউজটি শেয়ার করুন

এখন আর কেউ পড়তে আসে না পাঠাগারে

আপডেট সময় : ০৪:২৬:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

// নাজিম বকাউল, বিশেষ প্রতিনিধি //

ফরিদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র টেপাখোলা চৌরাস্তায় ১৯৩৬ সালে গড়ে উঠেছিল একটি পাবলিক পাঠাগার।  এটির নাম ছিল কোহিনুর পাবলিক পাঠাগার ( লাইব্রেরি)। ফরিদপুরের শহরসহ বিভিন্ন  এলাকার ছাত্র ছাত্রী ও বই পড়ার প্রেমিকরা বিকেলে আশা শুরু করতো এবং  রাত ১১/১২ টা পযর্ন্ত বিভিন্ন ধরনের গল্প উপন‍্যাস ও খররের পত্রিকা পড়তো। বতর্মানে কোহিনুর পাঠাগার টি শুধু কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
কোহিনুর পাঠাগার প্রায় এক বিঘা জমির উপরে অবস্থান করছে। কোহিনুর পাঠাগারের সাথে দুটি মার্কেট রয়েছে এবং  প্রায় ২০/২৫ টি দোকান ও আছে। কালের যুগের সাথে হারিয়ে গেছে সব।
ওই এলাকায় প্রবীণ বসবাসকারী কলু, মোসলেম, রাজাসহ শতাধিক ব‍্যাক্তিরা জানান, বতর্মান ডিজিটাল যুগে এখন আর কোন ছেলে মেয়ে বা
ছাত্র ছাত্রীরা পাঠাগারে আসে না। ঘরে বসে মোবাইল টিপলেই হাতে কাছে সব পাওয়া যায়।
কোহিনুর পাঠাগারটির আপাতত কোন কমিটি নেই।
এ বিষয়ে সাবেক সাধারনরসম্পাদক এ‍্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী রতন জানান, আমি  কিছু দিন সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেছি।
কিন্তু, সময়ের কারণে আমি দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে।
তবে কোহিনুর পাঠাগার সভাপতির দায়িত্ব  আছেন আমাদের এক বড় ভাই ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মোঃ ফারুক হোসেন । রতন আবো বলেন, এখনকার সাধারণ জনগণ এতো বড় একটি  শিক্ষানিয় প্রতিষ্ঠান কিন্তু  শিক্ষা নিতে আসে না।
এলাকাবাসীর দাবী আবার নতুন ভাবে এলাকার গুরুজন নিয়ে আলাপ আলোচনা করে পাঠাগার টিকে আধুনিক ও চালু করা হোক।