ঢাকা ০২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার : নজরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩০:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৭১ বার পড়া হয়েছে

জেডআরএফের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, মানুষ এমনিতেই কষ্টে আছে। তারা আরো দুঃসময়ের ভয় পাচ্ছে। সেখানে সরকার একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কদিন আগেই বিদ্যুতের দাম বাড়ালো। এখন আবারো গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। শিল্পখাতে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। এর যোগান তো গরিব মানুষকেই দিতে হবে। অর্থাৎ জনগণের প্রতি সরকারের দায়িত্বহীনতা।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) উদ্যোগে পথশিশুদের মাঝে খাবার ও অসহায় নারীদের মাঝে শাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকে খাদ্য নিয়ে জাহাজ ঘুরছে, তাদের টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। মানুষের চাকরি হচ্ছে না। কর্মসংস্থান নেই। এরমধ্যেই গ্যাসের দাম বাড়িয়ে শিল্পখাতকে আরও বিপদে ফেলা হলো। সুতরাং বাংলাদেশ আরো কঠিন সংকটে পড়ার আগেই আমাদেরকে লড়াই করে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

নজরুল ইসলাম বলেন, আজকে দেশ এক দারুণ দুঃসময় অতিক্রম করছে। একটি অনির্বাচিত সরকার, যাদের জনগনের কাছে জবাবদিহিতার দায় নেই, যারা জনগনের স্বার্থ ক্রমাগত উপেক্ষা করে চলেছে, তাদের হাতে এ দেশ এবং এ দেশের মানুষ নিঃস্ব হয়েছে। একদিকে দেশে কয়েক হাজার নতুন কোটিপতি হয়েছে অন্যায়-অনাচার করে, লুট করে, শেয়ার মার্কেট ও ব্যাংক লুট করে। অন্যদিকে কয়েক কোটি মানুষ আরো দরিদ্র হয়েছে। যারা দরিদ্র হয় তাদের সন্তানরাও দরিদ্র হয়। যার ফলে আজ দরিদ্র শিশুর সংখ্যাও সর্বকালের সবচেয়ে বেশি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, এই শিশুদের একটি সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখানোর জন্য, তারা যাতে এভাবে সাহায্যের জন্য কারো মুখাপেক্ষী না হয় সেজন্য যেমন সমাজ দরকার, যেমন রাষ্ট্র দরকার, সে রকম রাষ্ট্র কখনো গড়ে উঠবে না, যদি না এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়, যদি না এখানে জনগনের ভোটে নির্বাচিত একটি জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা না হয়। আর সেজন্য আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করে চলেছি। তা করতে গিয়ে আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মী কারাগারে আবদ্ধ।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, যারা দরিদ্র মানুষকে ভালোবাসেন, দেশকে ভালোবাসেন তাদেরকে কারাগারে আটক রেখে লুটেরাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকদের বিদেশে কি পরিমাণ সম্পদ! একটি জেলার ছাত্রলীগের নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। আমরা একটি বাসযোগ্য দেশ গড়ার লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছি। এজন্য আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আজকে কারাগারে।

গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, এদিকে মানুষ অসহায় ক্ষুধার্ত এবং আরো বেশি দুঃসময়ে ভয় পাচ্ছে। সেই সময় আমরা দেখছি সরকার এমন সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যেসব সিদ্ধান্ত জনগনের ভোগান্তি, জনগনের কষ্ট আরো বাড়াবে। যেখানে প্রতিদিনই নিত্য প্রয়োজনী জিনিসের দাম বাড়ছে সেখানে কিছুদিন আগে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করা হলো ইতিহাসের সর্বোচ্চ পরিমান। আবার দুদিন আগে দেখলাম গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, আপনার বাড়িতে যে গ্যাসের চুলা চালান তার দাম বাড়ানো হয় নাই। কিন্তু শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন শিল্প চালানোর জন্য যে জেনারেটর চালানো হয় তা যদি বেশি দাম দিয়ে চালাতে হয়, তাহলে ওই শিল্পের উৎপাদিত পন্যের দাম বাড়বে না? সেই বাড়তি দাম কে দেবে? সেটা তো আমাদেরকেই দিতে হবে, এ দেশের গরিব মানুষকেই দিতে হবে।

তিনি বলেন, আপনারা যারা অতি সামান্য উপার্জন করেন, তা দিয়ে তো আপনাদের কিছু কিনতে হয়। যেটাই কিনতে যাবেন আগামী কয়দিন পর হয়ত দেখা যাবে এই গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর কারণে সেটা আরো বেড়ে গেছে। অর্থাৎ আমাদের কষ্ট আরো বাড়বে। এই যে দায়িত্বহীনতা, জনগনের প্রতি দায়বদ্ধতার অভাব ছাড়া আর কোনো কারণ নাই। তারা জনগনের ভালোমন্দ পরোয়াও করে না।

দেশের বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকার পতন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান নজরুল ইসলাম খান।

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হয়েছে মিথ্যা মামলার রায়ে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশে আসতে পারছেন না। যারা দরিদ্র মানুষকে ভালোবাসেন, দেশকে ভালোবাসেন- তাদের কারাগারে আটক রেখে লুটেরাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকদের বিদেশে কী পরিমাণ সম্পদ! একটি জেলার ছাত্রলীগের নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না।

তিনি বলেন, আমরা একটি বাসযোগ্য দেশ গড়ার লক্ষ্যে আন্দোলন-সংগ্রাম করে যাচ্ছি। এজন্য আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আজ কারাগারে।

জেডআরএফের প্রশংসা করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, জিয়াউর রহমান নিজেও মানুষের জন্য কাজ করতে ভালোবাসতেন। আজকে তার নামেই ফাউন্ডেশন সেই কাজ করছে। শহীদ জিয়া এ দেশের মানুষের জন্য সব যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। শিশু একাডেমি থেকে শুরু করে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও আইন করেছেন। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনও অসংখ্য সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। কৃষকদেরকে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করে। গরিব মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে।

তিনি বলেন, আজকে সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা বলেন দুর্নীতির অভিযোগ করলেই হবে না। প্রমাণ দিতে হবে। তাহলে আপনাদের প্রতিষ্ঠান করে কি? আপনাদের লোক নাই? বিএনপির কর্মসূচি পালনের সময়তো ঠিকই ধরেন।

নজরুল ইসলাম খান সরকারের উদ্দেশে বলেন, ক্ষমতা ছেড়ে দেন। বিএনপি ঠিকই বের করবে কারা ব্যাংক লুট করে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। যারা এর পেছনে জড়িত তাদেরকে সামনে আনা হবে। আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। অনেক মা বোনের ইজ্জত ও রক্তের বিনিময়ে। আজকে দেশটাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে।

জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেডআরএফের ডা. আহমেদ শফিকুল হায়দার পারভেজ, অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, প্রকৌশলী মো. হানিফ, প্রকৌশলী কেএম আসাদুজ্জামান চ্ন্নুু, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, প্রকৌশলী উমাশা উমায়ন মনি চৌধুরী, কৃষিবিদ কৃষিবিদ আবদুর রহমান নূরী, সানোয়ার আলম, অধ্যাপক ড. আবু জাফর, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, শামীমা রহিম, শফিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী মেহেদী হাসান সোহেলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন

একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার : নজরুল

আপডেট সময় : ০৩:৩০:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, মানুষ এমনিতেই কষ্টে আছে। তারা আরো দুঃসময়ের ভয় পাচ্ছে। সেখানে সরকার একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কদিন আগেই বিদ্যুতের দাম বাড়ালো। এখন আবারো গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। শিল্পখাতে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। এর যোগান তো গরিব মানুষকেই দিতে হবে। অর্থাৎ জনগণের প্রতি সরকারের দায়িত্বহীনতা।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) উদ্যোগে পথশিশুদের মাঝে খাবার ও অসহায় নারীদের মাঝে শাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকে খাদ্য নিয়ে জাহাজ ঘুরছে, তাদের টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। মানুষের চাকরি হচ্ছে না। কর্মসংস্থান নেই। এরমধ্যেই গ্যাসের দাম বাড়িয়ে শিল্পখাতকে আরও বিপদে ফেলা হলো। সুতরাং বাংলাদেশ আরো কঠিন সংকটে পড়ার আগেই আমাদেরকে লড়াই করে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

নজরুল ইসলাম বলেন, আজকে দেশ এক দারুণ দুঃসময় অতিক্রম করছে। একটি অনির্বাচিত সরকার, যাদের জনগনের কাছে জবাবদিহিতার দায় নেই, যারা জনগনের স্বার্থ ক্রমাগত উপেক্ষা করে চলেছে, তাদের হাতে এ দেশ এবং এ দেশের মানুষ নিঃস্ব হয়েছে। একদিকে দেশে কয়েক হাজার নতুন কোটিপতি হয়েছে অন্যায়-অনাচার করে, লুট করে, শেয়ার মার্কেট ও ব্যাংক লুট করে। অন্যদিকে কয়েক কোটি মানুষ আরো দরিদ্র হয়েছে। যারা দরিদ্র হয় তাদের সন্তানরাও দরিদ্র হয়। যার ফলে আজ দরিদ্র শিশুর সংখ্যাও সর্বকালের সবচেয়ে বেশি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, এই শিশুদের একটি সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখানোর জন্য, তারা যাতে এভাবে সাহায্যের জন্য কারো মুখাপেক্ষী না হয় সেজন্য যেমন সমাজ দরকার, যেমন রাষ্ট্র দরকার, সে রকম রাষ্ট্র কখনো গড়ে উঠবে না, যদি না এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়, যদি না এখানে জনগনের ভোটে নির্বাচিত একটি জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা না হয়। আর সেজন্য আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করে চলেছি। তা করতে গিয়ে আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মী কারাগারে আবদ্ধ।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, যারা দরিদ্র মানুষকে ভালোবাসেন, দেশকে ভালোবাসেন তাদেরকে কারাগারে আটক রেখে লুটেরাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকদের বিদেশে কি পরিমাণ সম্পদ! একটি জেলার ছাত্রলীগের নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। আমরা একটি বাসযোগ্য দেশ গড়ার লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছি। এজন্য আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আজকে কারাগারে।

গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, এদিকে মানুষ অসহায় ক্ষুধার্ত এবং আরো বেশি দুঃসময়ে ভয় পাচ্ছে। সেই সময় আমরা দেখছি সরকার এমন সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যেসব সিদ্ধান্ত জনগনের ভোগান্তি, জনগনের কষ্ট আরো বাড়াবে। যেখানে প্রতিদিনই নিত্য প্রয়োজনী জিনিসের দাম বাড়ছে সেখানে কিছুদিন আগে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করা হলো ইতিহাসের সর্বোচ্চ পরিমান। আবার দুদিন আগে দেখলাম গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, আপনার বাড়িতে যে গ্যাসের চুলা চালান তার দাম বাড়ানো হয় নাই। কিন্তু শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন শিল্প চালানোর জন্য যে জেনারেটর চালানো হয় তা যদি বেশি দাম দিয়ে চালাতে হয়, তাহলে ওই শিল্পের উৎপাদিত পন্যের দাম বাড়বে না? সেই বাড়তি দাম কে দেবে? সেটা তো আমাদেরকেই দিতে হবে, এ দেশের গরিব মানুষকেই দিতে হবে।

তিনি বলেন, আপনারা যারা অতি সামান্য উপার্জন করেন, তা দিয়ে তো আপনাদের কিছু কিনতে হয়। যেটাই কিনতে যাবেন আগামী কয়দিন পর হয়ত দেখা যাবে এই গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর কারণে সেটা আরো বেড়ে গেছে। অর্থাৎ আমাদের কষ্ট আরো বাড়বে। এই যে দায়িত্বহীনতা, জনগনের প্রতি দায়বদ্ধতার অভাব ছাড়া আর কোনো কারণ নাই। তারা জনগনের ভালোমন্দ পরোয়াও করে না।

দেশের বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকার পতন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান নজরুল ইসলাম খান।

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হয়েছে মিথ্যা মামলার রায়ে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশে আসতে পারছেন না। যারা দরিদ্র মানুষকে ভালোবাসেন, দেশকে ভালোবাসেন- তাদের কারাগারে আটক রেখে লুটেরাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকদের বিদেশে কী পরিমাণ সম্পদ! একটি জেলার ছাত্রলীগের নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না।

তিনি বলেন, আমরা একটি বাসযোগ্য দেশ গড়ার লক্ষ্যে আন্দোলন-সংগ্রাম করে যাচ্ছি। এজন্য আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আজ কারাগারে।

জেডআরএফের প্রশংসা করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, জিয়াউর রহমান নিজেও মানুষের জন্য কাজ করতে ভালোবাসতেন। আজকে তার নামেই ফাউন্ডেশন সেই কাজ করছে। শহীদ জিয়া এ দেশের মানুষের জন্য সব যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। শিশু একাডেমি থেকে শুরু করে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও আইন করেছেন। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনও অসংখ্য সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। কৃষকদেরকে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করে। গরিব মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে।

তিনি বলেন, আজকে সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা বলেন দুর্নীতির অভিযোগ করলেই হবে না। প্রমাণ দিতে হবে। তাহলে আপনাদের প্রতিষ্ঠান করে কি? আপনাদের লোক নাই? বিএনপির কর্মসূচি পালনের সময়তো ঠিকই ধরেন।

নজরুল ইসলাম খান সরকারের উদ্দেশে বলেন, ক্ষমতা ছেড়ে দেন। বিএনপি ঠিকই বের করবে কারা ব্যাংক লুট করে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। যারা এর পেছনে জড়িত তাদেরকে সামনে আনা হবে। আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। অনেক মা বোনের ইজ্জত ও রক্তের বিনিময়ে। আজকে দেশটাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে।

জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেডআরএফের ডা. আহমেদ শফিকুল হায়দার পারভেজ, অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, প্রকৌশলী মো. হানিফ, প্রকৌশলী কেএম আসাদুজ্জামান চ্ন্নুু, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, প্রকৌশলী উমাশা উমায়ন মনি চৌধুরী, কৃষিবিদ কৃষিবিদ আবদুর রহমান নূরী, সানোয়ার আলম, অধ্যাপক ড. আবু জাফর, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, শামীমা রহিম, শফিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী মেহেদী হাসান সোহেলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।