ঢাকা ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইসলামপুরে হাড়িয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ হামলা ভাংচুর : পরীক্ষা বর্জন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩
  • / ৪৯৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// লিয়াকত হোসাইন লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি //
জামালপুরের ইসলামপুরে হাড়িয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ হামলা ভাংচুরের ঘটনাসহ পরীক্ষা বর্জনের ঘটনা ঘটেছে। পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সোমবার বিদ্যালয়ের অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। বিভিন্ন সেশনের টাকা, পরিক্ষা ফি অতিরিক্ত চাহিদা মোতাবেক না দেওয়ায় অনেক পরীক্ষার্থী অংশ করতে না দিয়ে হল থেকে বের করে দেন প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন। এ নিয়ে এলাকার অভিভাবকের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ সময় পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে প্রধান শিক্ষকের অপসারনের দাবীতে মিছিল ও ভাংচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযোগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু হাসেম  বলেন, আমার কাছে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে। বিজয় মিয়া বলেন, আমার নিকট ২ হাজার ২০ টাকা অতিরিক্ত টাকা চাওয়া হয়েছে। তারা আরো বলেন, অতিরিক্ত টাকা না দেয়ায় প্রধান শিক্ষক আমাদের বাবাকে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবেন। যথারীতি মোতাবেক স্কুলের বেতন পরিশোধ করলেও গরমের মাঝে ক্লাস করতে পারি না, কারেন্ট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। সরকারের অনুদানের সোলার প্যানেলের প্লেট গুলো শিক্ষকদের বাড়িতে নিয়ে ব্যাবহার করে। বইসহ অন্যান্য জিনিস বিক্রি করে দেয়।
অভিবাবক মুকিত মিয়া ও হান্নান মিয়া বলেন, অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ছেলেদের লেখা পড়া করাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।
তারা আরো বলেন, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রায় আড়াইশ’ শিক্ষার্থীর সুনামধন্য এ প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়ে আসলেও  প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিনের একাধিক অনিয়ম দুর্নীতির কারণে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে। প্রধান শিক্ষক স্কুলের জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিনকে একাধিকবার ফোন করে তিকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফা বলেন, পার্থশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এই বিষয়ে সুরাহা উদ্যোগ নিয়েছেন। সুরাহা না হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞমহলের মতে, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম দুর্নীতি প্রতিরোধ প্রতিকার বা বন্ধ করাটা শিক্ষা বিভাগেরই দায়িত্ব ; কিন্তু উক্ত ঘটনার তদন্তের উদ্যোগ না নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কেনো জনপ্রতিনিধির উদ্যোগে সুরাহার কথা বললেন? তা রীতিমতো দায়িত্ব কর্তব্যে চরম উদাসীনতা আর অবহেলারই শামিল! বিষয়টি শিক্ষা বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের খতিয়ে দেখা উচিত।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসলামপুরে হাড়িয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ হামলা ভাংচুর : পরীক্ষা বর্জন

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩
// লিয়াকত হোসাইন লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি //
জামালপুরের ইসলামপুরে হাড়িয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ হামলা ভাংচুরের ঘটনাসহ পরীক্ষা বর্জনের ঘটনা ঘটেছে। পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সোমবার বিদ্যালয়ের অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। বিভিন্ন সেশনের টাকা, পরিক্ষা ফি অতিরিক্ত চাহিদা মোতাবেক না দেওয়ায় অনেক পরীক্ষার্থী অংশ করতে না দিয়ে হল থেকে বের করে দেন প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন। এ নিয়ে এলাকার অভিভাবকের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ সময় পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে প্রধান শিক্ষকের অপসারনের দাবীতে মিছিল ও ভাংচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযোগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু হাসেম  বলেন, আমার কাছে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে। বিজয় মিয়া বলেন, আমার নিকট ২ হাজার ২০ টাকা অতিরিক্ত টাকা চাওয়া হয়েছে। তারা আরো বলেন, অতিরিক্ত টাকা না দেয়ায় প্রধান শিক্ষক আমাদের বাবাকে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবেন। যথারীতি মোতাবেক স্কুলের বেতন পরিশোধ করলেও গরমের মাঝে ক্লাস করতে পারি না, কারেন্ট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। সরকারের অনুদানের সোলার প্যানেলের প্লেট গুলো শিক্ষকদের বাড়িতে নিয়ে ব্যাবহার করে। বইসহ অন্যান্য জিনিস বিক্রি করে দেয়।
অভিবাবক মুকিত মিয়া ও হান্নান মিয়া বলেন, অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ছেলেদের লেখা পড়া করাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।
তারা আরো বলেন, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রায় আড়াইশ’ শিক্ষার্থীর সুনামধন্য এ প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়ে আসলেও  প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিনের একাধিক অনিয়ম দুর্নীতির কারণে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে। প্রধান শিক্ষক স্কুলের জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিনকে একাধিকবার ফোন করে তিকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফা বলেন, পার্থশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এই বিষয়ে সুরাহা উদ্যোগ নিয়েছেন। সুরাহা না হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞমহলের মতে, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম দুর্নীতি প্রতিরোধ প্রতিকার বা বন্ধ করাটা শিক্ষা বিভাগেরই দায়িত্ব ; কিন্তু উক্ত ঘটনার তদন্তের উদ্যোগ না নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কেনো জনপ্রতিনিধির উদ্যোগে সুরাহার কথা বললেন? তা রীতিমতো দায়িত্ব কর্তব্যে চরম উদাসীনতা আর অবহেলারই শামিল! বিষয়টি শিক্ষা বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের খতিয়ে দেখা উচিত।”