ইফতিখারের ঝড়ো ফিফটিতে বরিশালের সংগ্রহ ২০২
- আপডেট সময় : ০৪:০১:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে
স্পোর্টস ডেস্ক :
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে শুরুতে মেহেদি হাসান মিরাজ, মাঝে ইব্রাহিম জাদরান আর শেষে ইফতিখার আহমেদের ঝড়ো ফিফটিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে দুই’শ পার করে ফরচুন বরিশাল।
ছয়ে নেমে ২৬ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৫৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ইফতিখার। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ২০৩ রানের টার্গেট দিয়েছে ফরচুন বরিশাল।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টসে জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক শুভাগত হোম। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করে ফরচুন বরিশাল। শুরু থেকেই আক্রমণাত্নক খেলতে থাকে দুই উদ্বোধনী ব্যাটার এনামুল বিজয় ও মেহেদী মিরাজ। তবে দলীয় ৩৩ রানে ১২ বলে ২৪ রান করে আউট হন মেহেদী মিরাজ। এরপর ক্রিজে এসে ভালো শুরুর আশা জাগিয়েও আউট হন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দলীয় ৪৬ রানে ৩ বলে ৮ রান করে ফিরে যান সাজঘরে।
সাকিবের বিদায়ের পর ইব্রাহিম জাদরানকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন বিজয়। তবে দলীয় ৭১ রানে ২১ বলে ৩০ রান করে আউট হন বিজয়। এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম জাদরান। তবে দলীয় ১২০ রানে ১৭ বলে ২৫ রান করে আউট হন মাহমুদুল্লাহ।
মাহমুদুল্লাহর বিদায়ের পর দ্রুতই আউট হন ইব্রাহিম জাদরান। দুই রানের অর্ধশতক মিস করেন তিনি। ৩৩ বলে ৪৮ রান করে ফিরে যান ইব্রাহিম জাদরান। জাদরানের বিদায়ের পরও বরিশালের রানের চাকা সচল রাখেন ইফতিখার আহমেদ। তবে দলীয় ১৬৮ রানে পর পর দুই উইকেট হারায় ফরচুন বরিশাল। ৫ বলে ৬ রান করিম জানাত ও এক বলে খেলে রানের খাতা না খুলেই আউট হন চতুরাঙ্গ ডি সিলভা।
পর পর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাট্রিকের আশা জাগান পেসার আবু জায়েদ রাহি। তবে হ্যাট্রিক করতে পারেননি তিনি। ইনিংসের ১৯তম ওভারে শেষ তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকান ইফতিখার আহমেদ। ইনিংসের শেষ ওভারের দুই চার মেরে ২৫ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন ইফতিখার আহমেদ। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ইনিংস শেষ করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০২ রানের বড় সংগ্রহ পায় ফরচুন বরিশাল। ইফতিখার আহমেদ ২৬ বলে ৫৭ ও কামরুল রাব্বি ২ বলে ২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
চট্টগ্রামের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন আবু জায়েদ। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগানো এই পেসার ৩ উইকেট শিকার করেন। তবে রান দেন ৪৯। এছাড়াও চট্টগ্রামের বাকি চার বোলার নেন ১টি করে উইকেট।