ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইন্টারপোলের রেড নোটিশে আরাভের নাম নেই

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩২:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৭৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন ইন্টারপোলের রেড নোটিশের তালিকায় ৬২ বাংলাদেশির নাম থাকলেও নেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের নাম।

সম্প্রতি বাংলাদেশি ক্রীড়া ও বিনোদন জগতের সেলিব্রেটিদের দিয়ে দুবাইয়রে স্বর্ণ দোকান উদ্বোধন করে আলোচনায় আসেন তিনি। আরাভ খান পুলিশ পরিদর্শক খুনের মামলার অন্যতম আসামি। পুলিশ বলছে, তার নামে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করাতে পেরেছে। সংস্থাটির সহায়তা তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে পুলিশ।

আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি কিংবা তাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কোনো বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সংস্থাটির ওয়েবসাইটে চেক করে দেখা যায় সেখানে আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির কোনো তথ্য নেই।

সংস্থাটির ওয়েবসাইটে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত ৬২ বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি আছে। তালিকায় যাদের নাম আছে তাদের অপরাধের ধরণ, ঠিকানা, বয়স ও ছবি দেয়া আছে। তবে আরাভ খান নামে কাউকে এখনও তালিকাভুক্ত হতে দেখা যায়নি।

ইন্টারপোলে বাংলাদেশের তালিকাভুক্ত ৬২ জনের মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার আসামি, যুদ্ধাপরাধ মামলা, এমনকি ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার আসামীদের নাম আছে।

এছাড়া মানব পাচারকারী, হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিসহ বিভিন্ন সময়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী যারা পলাতক তাদের নামেও রেড নোটিশ জারি হয়েছে৷ তবে ইন্টারপোলের নিয়ম অনুযায়ী, কারও রাজনৈতিক, সামরিক, ধর্মীয় বা বর্ণ পরিচয়ের ভিত্তিতে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করতে পারে না।

এদিকে পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, আরাভ খান ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গেছেন। তবে তিনি ভারতীয় নন, অবৈধ প্রক্রিয়ায় তিনি সেটি করেছেন। বাংলাদেশ প্রথমে বিষয়টি প্রমাণ করবে। এতে করে দুবাই যাওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন, সেটি প্রমাণিত হবে। একজন যদি জালিয়াতির মাধ্যমে অন্য দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে দুবাই যান, তবে তিনি সেখানেও বড় ধরনের অপরাধে যুক্ত হতে পারেন। এ বিষয়েই কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বার্তা দেওয়া হবে। তারপর সমঝোতার ভিত্তিতে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইন্টারপোলের রেড নোটিশে আরাভের নাম নেই

আপডেট সময় : ১০:৩২:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন ইন্টারপোলের রেড নোটিশের তালিকায় ৬২ বাংলাদেশির নাম থাকলেও নেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের নাম।

সম্প্রতি বাংলাদেশি ক্রীড়া ও বিনোদন জগতের সেলিব্রেটিদের দিয়ে দুবাইয়রে স্বর্ণ দোকান উদ্বোধন করে আলোচনায় আসেন তিনি। আরাভ খান পুলিশ পরিদর্শক খুনের মামলার অন্যতম আসামি। পুলিশ বলছে, তার নামে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করাতে পেরেছে। সংস্থাটির সহায়তা তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে পুলিশ।

আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি কিংবা তাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কোনো বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সংস্থাটির ওয়েবসাইটে চেক করে দেখা যায় সেখানে আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির কোনো তথ্য নেই।

সংস্থাটির ওয়েবসাইটে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত ৬২ বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি আছে। তালিকায় যাদের নাম আছে তাদের অপরাধের ধরণ, ঠিকানা, বয়স ও ছবি দেয়া আছে। তবে আরাভ খান নামে কাউকে এখনও তালিকাভুক্ত হতে দেখা যায়নি।

ইন্টারপোলে বাংলাদেশের তালিকাভুক্ত ৬২ জনের মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার আসামি, যুদ্ধাপরাধ মামলা, এমনকি ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার আসামীদের নাম আছে।

এছাড়া মানব পাচারকারী, হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিসহ বিভিন্ন সময়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী যারা পলাতক তাদের নামেও রেড নোটিশ জারি হয়েছে৷ তবে ইন্টারপোলের নিয়ম অনুযায়ী, কারও রাজনৈতিক, সামরিক, ধর্মীয় বা বর্ণ পরিচয়ের ভিত্তিতে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করতে পারে না।

এদিকে পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, আরাভ খান ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গেছেন। তবে তিনি ভারতীয় নন, অবৈধ প্রক্রিয়ায় তিনি সেটি করেছেন। বাংলাদেশ প্রথমে বিষয়টি প্রমাণ করবে। এতে করে দুবাই যাওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন, সেটি প্রমাণিত হবে। একজন যদি জালিয়াতির মাধ্যমে অন্য দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে দুবাই যান, তবে তিনি সেখানেও বড় ধরনের অপরাধে যুক্ত হতে পারেন। এ বিষয়েই কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বার্তা দেওয়া হবে। তারপর সমঝোতার ভিত্তিতে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।