ঢাকা ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইউরো বাছাইয়ে ইতালিকে হারালো ইংল্যান্ড

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ক্রীড়া ডেস্ক: ইউরো বাছাইয়ের ঘটনাবহুল ম্যাচে ইতালিকে ১-২ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের পক্ষে ১টি করে গোল করেছেন ডিক্লেন রাইস ও হ্যারি কেইন। এই ম্যাচে দলের পক্ষে গোল করে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড করেছেন হ্যারি কেন। ৫৪টি গোল করে কেইন পেছনে ফেলেছেন ওয়েইন রুনিকে। ম্যাচের শেষদিকে লুক শ লাল কার্ড দেখলে দশ জনের দলে পরিণত হয় ইংল্যান্ড। তাতেও অবশ্য হার এড়াতে পারেনি ইতালি।

বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠ ডিয়েগো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে ইংলিশদের হয়ে জয়সূচক গোল দুটি করেন ডেকল্যান রাইস ও হ্যারি কেইন। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের পক্ষে একটি গোল করেন মাতেও রেতেগি।

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে গত আসরের ফাইনালে এ ইতালির বিপক্ষে হেরে শিরোপা খুইয়েছিল ইংল্যান্ড। এরপর উয়েফা নেশন্স লিগে মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমে প্রথম ম্যাচে ড্র করলেও পরের ম্যাচে আবার হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। সেই প্রতিশোধই যেন ইংলিশরা তুলে নিল এই ম্যাচে।

শুরুর চাপ কাটিয়ে দ্রুতই ম্যাচে ফিরে আসে ইংল্যান্ড। ১২ মিনিটে জুড বেলিংহামের শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন ইতালির গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি দোন্নারুম্মা। কিন্তু ১৩ মিনিটে আর পারেননি ইতালিয়ান গোলরক্ষক। বুকায়ো সাকার কর্নারে হ্যারি কেনের শট ব্যর্থ হলেও ফিরতি শটে বল জালে জড়ান ডেক্লান রিচ।

গোল করার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল ইংলিশদের হাতেই। কয়েকবার গোলের কাছাকাছিও পৌঁছে যায় তারা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দ্বিতীয় গোলটি ধরা দিচ্ছিল না। ইংল্যান্ডের সেই গোলটি আসে বিরতির আগ মুহূর্তে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে পাওয়া এই পেনাল্টি গোলটিতে নিজের নতুন মাইলফলক গড়েন কেইন। এর আগে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হারের পথে পেনাল্টি মিস করেছিলেন কেইন। আর এবার পেনাল্টিতে গোল করে রুনিকে টপকে হয়ে গেছেন ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা।

বিরতির পর অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালায় ইতালি। আক্রমণের ধার বাড়িয়ে ইংল্যান্ডকে বেশ চাপে রাখে তারা। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে মাতেও রেতেগুই ইতালির হয়ে গোল করে ব্যবধান কমান। এক গোল শোধ করে ইতালির আত্মবিশ্বাসও ফিরে আসে।

৮০ মিনিটে লুক শ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ইংল্যান্ড আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ে। আগ্রাসী ফুটবলে ম্যাচের শেষ দিকে বেশ কয়েকবার ইংল্যান্ডের রক্ষণে হানা দেয় রবার্তো মানচিনির দল। তবে কোনো চেষ্টাই ঘরের মাঠে বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়নদের হার ঠেকাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত আজ্জুরি মাঠ ছাড়তে হয় হারের হতাশা নিয়েই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউরো বাছাইয়ে ইতালিকে হারালো ইংল্যান্ড

আপডেট সময় : ১২:১৭:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

ক্রীড়া ডেস্ক: ইউরো বাছাইয়ের ঘটনাবহুল ম্যাচে ইতালিকে ১-২ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের পক্ষে ১টি করে গোল করেছেন ডিক্লেন রাইস ও হ্যারি কেইন। এই ম্যাচে দলের পক্ষে গোল করে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড করেছেন হ্যারি কেন। ৫৪টি গোল করে কেইন পেছনে ফেলেছেন ওয়েইন রুনিকে। ম্যাচের শেষদিকে লুক শ লাল কার্ড দেখলে দশ জনের দলে পরিণত হয় ইংল্যান্ড। তাতেও অবশ্য হার এড়াতে পারেনি ইতালি।

বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠ ডিয়েগো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে ইংলিশদের হয়ে জয়সূচক গোল দুটি করেন ডেকল্যান রাইস ও হ্যারি কেইন। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের পক্ষে একটি গোল করেন মাতেও রেতেগি।

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে গত আসরের ফাইনালে এ ইতালির বিপক্ষে হেরে শিরোপা খুইয়েছিল ইংল্যান্ড। এরপর উয়েফা নেশন্স লিগে মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমে প্রথম ম্যাচে ড্র করলেও পরের ম্যাচে আবার হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। সেই প্রতিশোধই যেন ইংলিশরা তুলে নিল এই ম্যাচে।

শুরুর চাপ কাটিয়ে দ্রুতই ম্যাচে ফিরে আসে ইংল্যান্ড। ১২ মিনিটে জুড বেলিংহামের শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন ইতালির গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি দোন্নারুম্মা। কিন্তু ১৩ মিনিটে আর পারেননি ইতালিয়ান গোলরক্ষক। বুকায়ো সাকার কর্নারে হ্যারি কেনের শট ব্যর্থ হলেও ফিরতি শটে বল জালে জড়ান ডেক্লান রিচ।

গোল করার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল ইংলিশদের হাতেই। কয়েকবার গোলের কাছাকাছিও পৌঁছে যায় তারা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দ্বিতীয় গোলটি ধরা দিচ্ছিল না। ইংল্যান্ডের সেই গোলটি আসে বিরতির আগ মুহূর্তে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে পাওয়া এই পেনাল্টি গোলটিতে নিজের নতুন মাইলফলক গড়েন কেইন। এর আগে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হারের পথে পেনাল্টি মিস করেছিলেন কেইন। আর এবার পেনাল্টিতে গোল করে রুনিকে টপকে হয়ে গেছেন ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা।

বিরতির পর অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালায় ইতালি। আক্রমণের ধার বাড়িয়ে ইংল্যান্ডকে বেশ চাপে রাখে তারা। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে মাতেও রেতেগুই ইতালির হয়ে গোল করে ব্যবধান কমান। এক গোল শোধ করে ইতালির আত্মবিশ্বাসও ফিরে আসে।

৮০ মিনিটে লুক শ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ইংল্যান্ড আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ে। আগ্রাসী ফুটবলে ম্যাচের শেষ দিকে বেশ কয়েকবার ইংল্যান্ডের রক্ষণে হানা দেয় রবার্তো মানচিনির দল। তবে কোনো চেষ্টাই ঘরের মাঠে বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়নদের হার ঠেকাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত আজ্জুরি মাঠ ছাড়তে হয় হারের হতাশা নিয়েই।