ঢাকা ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইউরোপে তৈরি পোশাক রফতানি বেড়েছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
যুদ্ধের দামামার মধ্যেই ইউরোপে তৈরি পোশাক রফতানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। জুলাই-নভেম্বরে তৈরি পোশাকের বড় বাজার ইউরোপে রফতানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।

সোমবার (১৯ আগস্ট) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পর্যালোচনায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বিজিএমইএ-এর পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি ২০২২-২৩ বছরের জুলাই-নভেম্বর পাঁচ মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি ১৬ দশকি ২৭ শতাংশ বেড়ে ৭ দশমিক ৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৯ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় বাজার জার্মানিতে পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি ২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ-এর পরিচালক মহিউদ্দিন বলেন, করোনা মহামারির পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এর পরেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে অর্থনীতি চাপে পড়ে। এ অবস্থায় আমরা তৈরি পোশাকের প্রধান রফতানি বাজারের পাশাপাশি অপ্রচলিত বাজারগুলোতে রফতানি বাড়ানোর জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখি।

তিনি বলেন, একই সময়ে রফতানির বৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং লিডটাইম কমানোর মতো কাজগুলো আমরা করে চলেছি। এর ফলে যুদ্ধের মতো খারাপ সময়েও তৈরি পোশাক থেকে রফতানি আয় আশাব্যঞ্জকভাবে বৃদ্ধি পেরেছে।

ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্পেন এবং ফ্রান্সেও রফতানি বেড়েছে যথাক্রমে ১৯ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং ৩৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশ ইতালি, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস এবং সুইডেনে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ৫০ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ৪৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ৩৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং ২২ দশমিক ৯০ শতাংশ।

তবে জুলাই-নভেম্বর সময়ে রফতানি আয়ের হ্রাসের ঘটনা ঘটেছে ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে। দেশটিতে আগের বছরের চেয়ে ১৯ দশমিক ৬১ শতাংশ রফতানি কমেছে।

তৈরি পোশাক রফতানির চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, চলতি অর্থ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি বেড়েছে ৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।

এছাড়া যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় বাংলাদেশের রফতানি আগের অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ১১ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং ৩০ দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে, অপ্রচলিত বাজারে রফতানি ২ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রফতানি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

পশ্চিমের মতো অপ্রচলিত বাজারগুলোতেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রফতানি আয় বেড়েছে। জুলাই-নভেম্বর সময়ে প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে, জাপানে রফতানি ৫৯৭ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছে বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৮ দশমিক ১১ শতাংশ, মালয়েশিয়া ১০০ শতাংশের উপরে এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩০ শতাংশ।

এর বাইরে অপ্রচলিত বাজারগুলোর মেক্সিকোতে ৫০ শতাংশ, ভারতে ৪৯ শতাংশ এবং ব্রাজিলে ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউরোপে তৈরি পোশাক রফতানি বেড়েছে

আপডেট সময় : ০১:১২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
যুদ্ধের দামামার মধ্যেই ইউরোপে তৈরি পোশাক রফতানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। জুলাই-নভেম্বরে তৈরি পোশাকের বড় বাজার ইউরোপে রফতানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।

সোমবার (১৯ আগস্ট) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পর্যালোচনায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বিজিএমইএ-এর পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি ২০২২-২৩ বছরের জুলাই-নভেম্বর পাঁচ মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি ১৬ দশকি ২৭ শতাংশ বেড়ে ৭ দশমিক ৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৯ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় বাজার জার্মানিতে পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি ২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ-এর পরিচালক মহিউদ্দিন বলেন, করোনা মহামারির পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এর পরেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে অর্থনীতি চাপে পড়ে। এ অবস্থায় আমরা তৈরি পোশাকের প্রধান রফতানি বাজারের পাশাপাশি অপ্রচলিত বাজারগুলোতে রফতানি বাড়ানোর জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখি।

তিনি বলেন, একই সময়ে রফতানির বৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং লিডটাইম কমানোর মতো কাজগুলো আমরা করে চলেছি। এর ফলে যুদ্ধের মতো খারাপ সময়েও তৈরি পোশাক থেকে রফতানি আয় আশাব্যঞ্জকভাবে বৃদ্ধি পেরেছে।

ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্পেন এবং ফ্রান্সেও রফতানি বেড়েছে যথাক্রমে ১৯ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং ৩৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশ ইতালি, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস এবং সুইডেনে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ৫০ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ৪৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ৩৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং ২২ দশমিক ৯০ শতাংশ।

তবে জুলাই-নভেম্বর সময়ে রফতানি আয়ের হ্রাসের ঘটনা ঘটেছে ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে। দেশটিতে আগের বছরের চেয়ে ১৯ দশমিক ৬১ শতাংশ রফতানি কমেছে।

তৈরি পোশাক রফতানির চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, চলতি অর্থ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি বেড়েছে ৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।

এছাড়া যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় বাংলাদেশের রফতানি আগের অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ১১ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং ৩০ দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে, অপ্রচলিত বাজারে রফতানি ২ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রফতানি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

পশ্চিমের মতো অপ্রচলিত বাজারগুলোতেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রফতানি আয় বেড়েছে। জুলাই-নভেম্বর সময়ে প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে, জাপানে রফতানি ৫৯৭ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছে বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৮ দশমিক ১১ শতাংশ, মালয়েশিয়া ১০০ শতাংশের উপরে এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩০ শতাংশ।

এর বাইরে অপ্রচলিত বাজারগুলোর মেক্সিকোতে ৫০ শতাংশ, ভারতে ৪৯ শতাংশ এবং ব্রাজিলে ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।