ইউরিয়াসহ চার ধরনের সারের দাম বাড়ল
- আপডেট সময় : ০১:৩৫:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩
- / ৪৮৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিলার ও কৃষক পর্যায়ে ইউরিয়া, ডিএপি, টিএসপি ও এমওপি সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারেও এ মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পুনর্নিধারিত এ মূল্য ১০শে এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে।
সোমবার (১০শে এপ্রিল) কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হোসেন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ে জানানো যাচ্ছে যে, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজার সারের মূল্য বৃদ্ধিজনিত কারণে সারের আমদানি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা এবং এর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সারের মূল্য পুনঃনির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আদেশ জারির তারিখ থেকে সারের মূল্য বৃদ্ধি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে এ প্রজ্ঞাপনে।
যদিও গত ৩ এপ্রিল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা’ শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছিলেন, অতীতের মতো আগামী বছরগুলোতে দেশে সারের দাম বাড়বে না।
চলতি বছর সারের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেছিলেন, সারের দাম বাড়বে না। কৃষক যাতে পর্যাপ্ত সার পায়, সে লক্ষ্যেই আমরা চাহিদা নির্ধারণ করেছি। মার্চে ইউরিয়া সারের চাহিদা বেশি ছিল, তবুও আমরা একটু কমিয়ে চাহিদা নির্ধারণ করেছি।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ইউরিয়া সারের চাহিদা ২৭ লাখ টন, টিএসপি সার সাড়ে ৭ লাখ টন ও এমওপি সারের চাহিদা ধরা হয়েছে ৯ লাখ টন। এ ছাড়া আমাদের ডিএপি সার প্রয়োজন হয় ৫ থেকে ৬ লাখ টন। কিন্তু এ সারের দাম কমানোর জন্য ১৬ লাখ টন চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সারের মজুতের পরিমাণের বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেছিলেন, ৪ লাখ টন ইউরিয়া সার মজুত রয়েছে। এছাড়া টিএসপি সার রয়েছে দুই লাখ টন, ডিএপি সার আড়াই লাখ টন এবং এমওপি সার সোয়া দুই লাখ টন। গত বছরের তুলনায় সব সারের পরিমাণই কিছুটা কম রয়েছে।