ঢাকা ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

`আল্লাহ্ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে`

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:২৫:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৫৯৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা, আস্থা ও বিশ্বাস পেয়েছি, যা আমাকে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস জুগিয়েছে। বারবার মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখেছি। কিন্তু আমি কোনো দিন ভয় পাইনি। কেন যেনো মনে হতো আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, এ দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে।

রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, আল্লাহ প্রত্যেক মানুষকে কিছু সময় দেন, কিছু মানুষকে কিছু কাজ দেন এবং এই কাজটা আমি যতক্ষণ না পর্যন্ত শেষ করবো, রাব্বুল আলামিন আমাকে রক্ষা করবেন। তিনি বলেন, কারবালায় নারী-শিশুদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৫ আগস্ট ঘাতকরা আমার মা, আমার ভাইয়ের স্ত্রীদেরও ছাড়েনি। চার বছরের শিশুকেও ছাড়েনি। সবাইকে হত্যা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই রাতে আমি ও আমার ছোটবোন দেশের বাইরে ছিলাম। স্বজনহারা আর্তনাদ আর ঘরবাড়ি ছাড়া ছয়টি বছর আমাদের কাটাতে হয়েছে। ‘৮১ সালে আমরা দেশে ফিরে আসি। দেশে ফিরে আমি সেই চেনা মুখগুলো পাইনি। যারা আমাকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিয়েছিলো। আমি পেয়েছিলাম বনানীতে সারি সারি কবর। পেয়েছি বাংলাদেশের মানুষ। কাজেই সে মানুষগুলো আমার পরিবার, তারাই আমার আপনজন। তাদের মাঝেই ফিরে পেয়েছি আমার বাবার ভালোবাসা, মায়ের স্নেহ।

তিনি বলেন, ইসলামের প্রসারে আওয়ামী লীগ সবসময় কাজ করে। ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দিতে সারা দেশে মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে বায়তুল মোকাররমের উন্নয়ন প্রকল্প ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে মসজিদ নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয়।

কওমি মাদ্রাসার উন্নয়নের সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, কওমি মাদ্রাসা দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিলো। স্বীকৃত দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এতে যোগ দিয়ে জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী শ্রেষ্ঠ ৫ হাফেজের হাতে সনদ ও পুরস্কারের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশন এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

এতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু ইসলামের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নেন। তাঁর নেতৃত্বে মুসলিম বিশ্বসহ আরব দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপিত হয়। বঙ্গবন্ধুই প্রথম আইন করে মদ নিষিদ্ধ করেন; ঘোড়দৌড় ও জুয়া বন্ধ করেন।

ইসলামের প্রসারে তার সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আরবি, বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় পবিত্র কুরআনের ডিজিটাল ভার্সন তৈরি করা হয়েছে। কওমী মাদ্রাসার ডিগ্রীর সরকারী স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। শান্তির ধর্ম ইসলামের মর্মবাণী সবার কাছে পৌঁছে দিতে দেশজুড়ে মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।

ইসলামের বদনামকারীদের প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এখানে সন্ত্রাসের কোন স্থান নেই।

বিশ্বের সব মুসলিম দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশা করেন মুসলিম উম্মাহ এক হয়ে কাজ করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

`আল্লাহ্ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে`

আপডেট সময় : ০২:২৫:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা, আস্থা ও বিশ্বাস পেয়েছি, যা আমাকে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস জুগিয়েছে। বারবার মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখেছি। কিন্তু আমি কোনো দিন ভয় পাইনি। কেন যেনো মনে হতো আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, এ দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে।

রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, আল্লাহ প্রত্যেক মানুষকে কিছু সময় দেন, কিছু মানুষকে কিছু কাজ দেন এবং এই কাজটা আমি যতক্ষণ না পর্যন্ত শেষ করবো, রাব্বুল আলামিন আমাকে রক্ষা করবেন। তিনি বলেন, কারবালায় নারী-শিশুদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৫ আগস্ট ঘাতকরা আমার মা, আমার ভাইয়ের স্ত্রীদেরও ছাড়েনি। চার বছরের শিশুকেও ছাড়েনি। সবাইকে হত্যা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই রাতে আমি ও আমার ছোটবোন দেশের বাইরে ছিলাম। স্বজনহারা আর্তনাদ আর ঘরবাড়ি ছাড়া ছয়টি বছর আমাদের কাটাতে হয়েছে। ‘৮১ সালে আমরা দেশে ফিরে আসি। দেশে ফিরে আমি সেই চেনা মুখগুলো পাইনি। যারা আমাকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিয়েছিলো। আমি পেয়েছিলাম বনানীতে সারি সারি কবর। পেয়েছি বাংলাদেশের মানুষ। কাজেই সে মানুষগুলো আমার পরিবার, তারাই আমার আপনজন। তাদের মাঝেই ফিরে পেয়েছি আমার বাবার ভালোবাসা, মায়ের স্নেহ।

তিনি বলেন, ইসলামের প্রসারে আওয়ামী লীগ সবসময় কাজ করে। ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দিতে সারা দেশে মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে বায়তুল মোকাররমের উন্নয়ন প্রকল্প ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে মসজিদ নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয়।

কওমি মাদ্রাসার উন্নয়নের সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, কওমি মাদ্রাসা দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিলো। স্বীকৃত দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এতে যোগ দিয়ে জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী শ্রেষ্ঠ ৫ হাফেজের হাতে সনদ ও পুরস্কারের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশন এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

এতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু ইসলামের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নেন। তাঁর নেতৃত্বে মুসলিম বিশ্বসহ আরব দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপিত হয়। বঙ্গবন্ধুই প্রথম আইন করে মদ নিষিদ্ধ করেন; ঘোড়দৌড় ও জুয়া বন্ধ করেন।

ইসলামের প্রসারে তার সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আরবি, বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় পবিত্র কুরআনের ডিজিটাল ভার্সন তৈরি করা হয়েছে। কওমী মাদ্রাসার ডিগ্রীর সরকারী স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। শান্তির ধর্ম ইসলামের মর্মবাণী সবার কাছে পৌঁছে দিতে দেশজুড়ে মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।

ইসলামের বদনামকারীদের প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এখানে সন্ত্রাসের কোন স্থান নেই।

বিশ্বের সব মুসলিম দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশা করেন মুসলিম উম্মাহ এক হয়ে কাজ করবে।