ঢাকা ০৮:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আল্টিমেটাম দিয়ে সরে গেলেন শিক্ষার্থীরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বাসচাপায় নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাদিয়ার (২১) মৃত্যুর ঘটনায় বিমানবন্দর সড়কে নেওয়া অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে এসেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে আল্টিমেটাম দিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।

দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে সড়ক ছেড়েছেন নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীরা। পুলিশের আশ্বাসে দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছাড়লে বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

তবে শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে খিলক্ষেত থেকে বিমানবন্দর ও উত্তরাগামী সড়কে যানচলাচল বন্ধ ছিল। এতে মহাখালী, বাড্ডা ও গুলশান এলাকায় সৃষ্টি হয়েছিল যানজটের।

এর আগেও রোববার নাদিয়া নিহতের পর বিকেলে কাওলায় সড়ক অবরোধ করেছিলেন তার সহপাঠীরা। তবে পুলিশের অনুরোধে সন্ধ্যার দিকে তারা সড়ক ছেড়ে চলে যান।

নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আশরাফুল বলেন, আমাদের ৪ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আমরা পুলিশকে বলেছি ২৯ জানুয়ারির মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা আবারও রাস্তায় নামব। তবে আরও একটি কথা আমরা পুলিশকে জানিয়েছি, যদি আজ থেকে রাস্তায় ভিক্টর ক্লাসিকের কোনো বাস চলাচল করে তাহলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় নামব।

এদিকে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের ঘাতকবাসটির চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে বাড্ডার আনন্দনগর এলাকায় সার্জেন্ট টাওয়ারের পেছন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন চালক মো. লিটন ও হেলপার মো. আবুল খায়ের। তাদের দুজনের বাড়ি ভোলায়। দুর্ঘটনার পর তারা পালিয়ে গিয়েছিলেন।

শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ (ডিসি) কমিশনার মো. মোর্শেদ আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের একটি দাবি ছিল বাস চালক ও হেল্পারকে গ্রেপ্তার করা। তাদের সকালেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়েছেন ভিক্টর ক্লাসিকের রুট পারমিট বাতিল ও এই পরিবহন বাস যেন রাস্তা না চলে। ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের বাস যেন রাস্তায় না চলে সে বিষয়ে আমরা আজ থেকে ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়া রুট পারমিট বাতিলের বিষয়টি একটু সময় লাগবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা আরও দাবি জানিয়েছে নাদিয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও কাওলা এলাকায় নাদিয়ার নামে একটি বাস স্টপেজ করার। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলব। এছাড়া ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলব। আর স্টপেজ নির্মাণের বিষয়টি সিটি করপোরেশন দেখবে।

দুপুরে কুড়িল বিশ্বরোডে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে ভিক্টর পরিবহনের বাসের চাপায় নিহত হন নাদিয়া। তিনি নর্দান ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে তিনি সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন।

এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে প্রগতি সরণি এলাকায় গিয়েছিলেন নাদিয়া। তাদের মোটরসাইকেলটিকে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয়। এতে নাদিয়া মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে বাসের সামনের চাকায় পিষ্ট হন। তার মোটরসাইকেল চালক বন্ধু অক্ষত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আল্টিমেটাম দিয়ে সরে গেলেন শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৩:৩০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বাসচাপায় নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাদিয়ার (২১) মৃত্যুর ঘটনায় বিমানবন্দর সড়কে নেওয়া অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে এসেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে আল্টিমেটাম দিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।

দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে সড়ক ছেড়েছেন নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীরা। পুলিশের আশ্বাসে দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছাড়লে বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

তবে শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে খিলক্ষেত থেকে বিমানবন্দর ও উত্তরাগামী সড়কে যানচলাচল বন্ধ ছিল। এতে মহাখালী, বাড্ডা ও গুলশান এলাকায় সৃষ্টি হয়েছিল যানজটের।

এর আগেও রোববার নাদিয়া নিহতের পর বিকেলে কাওলায় সড়ক অবরোধ করেছিলেন তার সহপাঠীরা। তবে পুলিশের অনুরোধে সন্ধ্যার দিকে তারা সড়ক ছেড়ে চলে যান।

নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আশরাফুল বলেন, আমাদের ৪ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আমরা পুলিশকে বলেছি ২৯ জানুয়ারির মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা আবারও রাস্তায় নামব। তবে আরও একটি কথা আমরা পুলিশকে জানিয়েছি, যদি আজ থেকে রাস্তায় ভিক্টর ক্লাসিকের কোনো বাস চলাচল করে তাহলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় নামব।

এদিকে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের ঘাতকবাসটির চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে বাড্ডার আনন্দনগর এলাকায় সার্জেন্ট টাওয়ারের পেছন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন চালক মো. লিটন ও হেলপার মো. আবুল খায়ের। তাদের দুজনের বাড়ি ভোলায়। দুর্ঘটনার পর তারা পালিয়ে গিয়েছিলেন।

শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ (ডিসি) কমিশনার মো. মোর্শেদ আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের একটি দাবি ছিল বাস চালক ও হেল্পারকে গ্রেপ্তার করা। তাদের সকালেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়েছেন ভিক্টর ক্লাসিকের রুট পারমিট বাতিল ও এই পরিবহন বাস যেন রাস্তা না চলে। ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের বাস যেন রাস্তায় না চলে সে বিষয়ে আমরা আজ থেকে ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়া রুট পারমিট বাতিলের বিষয়টি একটু সময় লাগবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা আরও দাবি জানিয়েছে নাদিয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও কাওলা এলাকায় নাদিয়ার নামে একটি বাস স্টপেজ করার। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলব। এছাড়া ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলব। আর স্টপেজ নির্মাণের বিষয়টি সিটি করপোরেশন দেখবে।

দুপুরে কুড়িল বিশ্বরোডে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে ভিক্টর পরিবহনের বাসের চাপায় নিহত হন নাদিয়া। তিনি নর্দান ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে তিনি সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন।

এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে প্রগতি সরণি এলাকায় গিয়েছিলেন নাদিয়া। তাদের মোটরসাইকেলটিকে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয়। এতে নাদিয়া মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে বাসের সামনের চাকায় পিষ্ট হন। তার মোটরসাইকেল চালক বন্ধু অক্ষত ছিলেন।