ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আলিনার মরদেহের খণ্ডিত আরো অংশ খুঁজছে পিবিআই

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিস : 

চট্টগ্রামে অপহরণের পর খুন হওয়া শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতের মরদেহের আরো খণ্ডিত অংশের খোঁজ করছে পুলিশ।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত নগরের বন্দরটিলা আকমল আলী ঘাটসংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই। তবে পিবিআই এখনো কিছু পায়নি।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) শিশু আলিনার খণ্ডিত মাথা ও দুটি পা উদ্ধার করা হয়। রাতে জানাজা শেষে দাফন করা হয় আলিনাকে।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, পিবিআইয়ের ৩৫ জনের একটি দল বিভিন্নভাবে ভাগ হয়ে তল্লাশি অভিযান চালায়। আসামি আবিরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান করা হয়। ভাটা থাকায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তল্লাশি করেও কিছু মেলেনি।

গত ১৫ নভেম্বর নিখোঁজ হয় আলিনা। নিখোঁজের ১০ দিন পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, পাঁচ বছরের শিশু আলিনাকে হত্যা করে ছয় টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
নগরের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকায় আলিনাদের বাসা। তার বাবা সোহেল রানা। তিনি স্থানীয় একটি মুদিদোকানের মালিক। বাসার পাশের একটি মক্তবে পড়তে যাওয়ার সময় আলিনাকে অপহরণ করা হয়েছিল।

পুলিশ বলছে, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আলিনাকে অপহরণ করেছিলেন তাদের বাসার ভাড়াটিয়া আবির মিয়া (১৯)। আবিরের বাবা ভ্যানচালক আজহারুল ইসলাম। তাঁরা আলিনাদের বাসায় ভাড়া থাকেন। ২৫ নভেম্বর আবিরকে গ্রেপ্তারের পর তিনি খুনের কথা স্বীকার করেন বলেছে পুলিশ।

পিবিআই বলছে, ছয় থেকে সাত লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করার পরিকল্পনা ছিল আবিরের। অপহরণের পর শিশুটি চিৎকার করলে তাকে গলা টিপে হত্যা করে আবির। পরে তার লাশ ছয় টুকরা করে ফেলে দেন তিনি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আলিনার মরদেহের খণ্ডিত আরো অংশ খুঁজছে পিবিআই

আপডেট সময় : ০৪:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২

চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিস : 

চট্টগ্রামে অপহরণের পর খুন হওয়া শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতের মরদেহের আরো খণ্ডিত অংশের খোঁজ করছে পুলিশ।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত নগরের বন্দরটিলা আকমল আলী ঘাটসংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই। তবে পিবিআই এখনো কিছু পায়নি।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) শিশু আলিনার খণ্ডিত মাথা ও দুটি পা উদ্ধার করা হয়। রাতে জানাজা শেষে দাফন করা হয় আলিনাকে।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, পিবিআইয়ের ৩৫ জনের একটি দল বিভিন্নভাবে ভাগ হয়ে তল্লাশি অভিযান চালায়। আসামি আবিরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান করা হয়। ভাটা থাকায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তল্লাশি করেও কিছু মেলেনি।

গত ১৫ নভেম্বর নিখোঁজ হয় আলিনা। নিখোঁজের ১০ দিন পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, পাঁচ বছরের শিশু আলিনাকে হত্যা করে ছয় টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
নগরের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকায় আলিনাদের বাসা। তার বাবা সোহেল রানা। তিনি স্থানীয় একটি মুদিদোকানের মালিক। বাসার পাশের একটি মক্তবে পড়তে যাওয়ার সময় আলিনাকে অপহরণ করা হয়েছিল।

পুলিশ বলছে, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আলিনাকে অপহরণ করেছিলেন তাদের বাসার ভাড়াটিয়া আবির মিয়া (১৯)। আবিরের বাবা ভ্যানচালক আজহারুল ইসলাম। তাঁরা আলিনাদের বাসায় ভাড়া থাকেন। ২৫ নভেম্বর আবিরকে গ্রেপ্তারের পর তিনি খুনের কথা স্বীকার করেন বলেছে পুলিশ।

পিবিআই বলছে, ছয় থেকে সাত লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করার পরিকল্পনা ছিল আবিরের। অপহরণের পর শিশুটি চিৎকার করলে তাকে গলা টিপে হত্যা করে আবির। পরে তার লাশ ছয় টুকরা করে ফেলে দেন তিনি।