ঢাকা ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আবাসন মেলায় ৩৫১ কোটি টাকার বেশি বিক্রি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১২:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৫০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আবাসন মেলার পাঁচদিনে ৩৫১ কোটি টাকার ফ্ল্যাট-প্লট এবং বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছে। এছাড়া গৃহঋণ সংক্রান্ত ব্যাংক কমিটমেন্ট এসেছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুওে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) ফেয়ারের সমাপনী সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফিন্যান্স) এবং মেলা কমিটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল রানা এসব তথ্য জানান।

লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, ২১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী মেলা শেষ হলো (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায়। মেলা রাত ৯টা পর্যন্ত থাকলেও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান থাকার কারণে এখনই শেষ করতে হচ্ছে। তবে নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগে মেলা শেষ করা হলেও যে উদ্দেশ্য নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল, সেটা সফল হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মেলার শেষদিন রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় ৩৫১ কোটি ১৬ লাখ টাকার ফ্ল্যাট, প্লট এবং বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছে। এরমধ্যে ফ্ল্যাট বিক্রি ও বুকিং হয়েছে ১৬৮ কোটি টাকার। আর প্লট ৮০ কোটি এবং বাণিজ্যিক স্পেস ৫৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার বুকিং ও বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ব্যাংক কমিটমেন্ট এসেছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছেন ১৬ হাজার ১৩২ জন।

তিনি বলেন, মেলার আসল উদ্দেশ্য ব্র্যান্ডিং করা। এখানে যেসব ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছেন তারা সবাই ফ্ল্যাট বা প্লট ক্রয় করবেন। কেউ হয়তো এখন ক্রয় করবেন আর কেউ হয়তো সামনের বছরগুলোতে ক্রয় করবেন। মেলায় যারা এসেছেন তারা আসলে সবাই ক্রেতা। কারণ এই মেলায় বিনোদনমূলক কিছু নেই, যারা মেলায় টাকা দিয়ে টিকিট কেটে প্রবেশ করেছেন তারা সবাই ক্রেতা। প্রতিষ্ঠানগুলো মেলায় আসা ক্রেতা নিকট তাদের পণ্যের মান সম্পর্কে তুলে ধরেছেন। তারা দর্শনার্থীদের নার্সিং করবেন আর ক্রেতারা যে প্রডাক্ট দেখে গেলেন তা যাচাই বাছাই করবেন এবং পরবর্তীতে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিবেন। একসঙ্গে অনেকগুলো ক্রেতা পাওয়া একমাত্র রিহ্যাব ফেয়ারেই সম্ভব।

আবাসন মেলায় ৩৫১ কোটি টাকার ফ্ল্যাট-প্লট বিক্রি

এবছর অনেক অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মাধ্যমে তাদের পণ্য তুলে ধরেছেন। বিদেশ থেকেও প্রবাসীরা তাদের পণ্য সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। মেট্রোরেলের কারণে উত্তরা এবং মিরপুরের দিকে ফ্ল্যাটের চাহিদা ছিল বেশি। কারণ আর দুই দিন পরেই মেট্রোরেলের আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এই এলাকার নাগরিকরা সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন ফলে সেখানে ফ্ল্যাটের চাহিদা বাড়ছে।

এবারের মেলায় ফ্ল্যাটের দাম আগের চেয়ে তুলনামূলক বেশি। রড-সিমেন্টসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি, ড্যাপ এ ফার হ্রাসসহ নানা কারণে ফ্ল্যাটের দাম বেড়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সহ-সভাপতি (প্রথম) কামাল মাহমুদ, মেলা বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান ও রিহ্যাব সহ-সভাপতি (অর্থ) প্রকৌশলী সোহেল রানা, রিহ্যাব প্রেস-মিডিয়া কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও রিহ্যাব পরিচালক মো. সুলতান মাহমুদ, রোটারিয়ান এস এম এমদাদ হোসেন, ড. এ এফ এম কামাল উদ্দিন।

এর আগে ২১ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয় আবাসন মেলা। আজ দুপর ২টায় মেলা শেষ হচ্ছে। প্রতিদিন র‌্যাফেল ড্রতে এলইডি টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্রিজ পুরস্কার দেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আবাসন মেলায় ৩৫১ কোটি টাকার বেশি বিক্রি

আপডেট সময় : ০৩:১২:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আবাসন মেলার পাঁচদিনে ৩৫১ কোটি টাকার ফ্ল্যাট-প্লট এবং বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছে। এছাড়া গৃহঋণ সংক্রান্ত ব্যাংক কমিটমেন্ট এসেছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুওে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) ফেয়ারের সমাপনী সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফিন্যান্স) এবং মেলা কমিটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল রানা এসব তথ্য জানান।

লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, ২১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী মেলা শেষ হলো (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায়। মেলা রাত ৯টা পর্যন্ত থাকলেও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান থাকার কারণে এখনই শেষ করতে হচ্ছে। তবে নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগে মেলা শেষ করা হলেও যে উদ্দেশ্য নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল, সেটা সফল হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মেলার শেষদিন রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় ৩৫১ কোটি ১৬ লাখ টাকার ফ্ল্যাট, প্লট এবং বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছে। এরমধ্যে ফ্ল্যাট বিক্রি ও বুকিং হয়েছে ১৬৮ কোটি টাকার। আর প্লট ৮০ কোটি এবং বাণিজ্যিক স্পেস ৫৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার বুকিং ও বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ব্যাংক কমিটমেন্ট এসেছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছেন ১৬ হাজার ১৩২ জন।

তিনি বলেন, মেলার আসল উদ্দেশ্য ব্র্যান্ডিং করা। এখানে যেসব ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছেন তারা সবাই ফ্ল্যাট বা প্লট ক্রয় করবেন। কেউ হয়তো এখন ক্রয় করবেন আর কেউ হয়তো সামনের বছরগুলোতে ক্রয় করবেন। মেলায় যারা এসেছেন তারা আসলে সবাই ক্রেতা। কারণ এই মেলায় বিনোদনমূলক কিছু নেই, যারা মেলায় টাকা দিয়ে টিকিট কেটে প্রবেশ করেছেন তারা সবাই ক্রেতা। প্রতিষ্ঠানগুলো মেলায় আসা ক্রেতা নিকট তাদের পণ্যের মান সম্পর্কে তুলে ধরেছেন। তারা দর্শনার্থীদের নার্সিং করবেন আর ক্রেতারা যে প্রডাক্ট দেখে গেলেন তা যাচাই বাছাই করবেন এবং পরবর্তীতে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিবেন। একসঙ্গে অনেকগুলো ক্রেতা পাওয়া একমাত্র রিহ্যাব ফেয়ারেই সম্ভব।

আবাসন মেলায় ৩৫১ কোটি টাকার ফ্ল্যাট-প্লট বিক্রি

এবছর অনেক অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মাধ্যমে তাদের পণ্য তুলে ধরেছেন। বিদেশ থেকেও প্রবাসীরা তাদের পণ্য সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। মেট্রোরেলের কারণে উত্তরা এবং মিরপুরের দিকে ফ্ল্যাটের চাহিদা ছিল বেশি। কারণ আর দুই দিন পরেই মেট্রোরেলের আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এই এলাকার নাগরিকরা সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন ফলে সেখানে ফ্ল্যাটের চাহিদা বাড়ছে।

এবারের মেলায় ফ্ল্যাটের দাম আগের চেয়ে তুলনামূলক বেশি। রড-সিমেন্টসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি, ড্যাপ এ ফার হ্রাসসহ নানা কারণে ফ্ল্যাটের দাম বেড়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সহ-সভাপতি (প্রথম) কামাল মাহমুদ, মেলা বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান ও রিহ্যাব সহ-সভাপতি (অর্থ) প্রকৌশলী সোহেল রানা, রিহ্যাব প্রেস-মিডিয়া কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও রিহ্যাব পরিচালক মো. সুলতান মাহমুদ, রোটারিয়ান এস এম এমদাদ হোসেন, ড. এ এফ এম কামাল উদ্দিন।

এর আগে ২১ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয় আবাসন মেলা। আজ দুপর ২টায় মেলা শেষ হচ্ছে। প্রতিদিন র‌্যাফেল ড্রতে এলইডি টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্রিজ পুরস্কার দেওয়া হয়।