ঢাকা ০২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আগুন লাগা ভবনে রেস্তোরাঁর অনুমোদন ছিল না : রাজউক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৭২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর বেইলি রোডে যে ভবনে আগুন লেগেছিল সে ভবনে রেস্তোরাঁ করার অনুমোদন ছিল না বলে জানিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। আজ শুক্রবার (১ মার্চ) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ভবনটিতে আটটি রেস্তোরাঁ, একটি জুস বার (ফলের রস বিক্রির দোকান) ও একটি চা-কফি বিক্রির দোকান ছিল। ছিল মুঠোফোন ও ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম এবং পোশাক বিক্রির দোকানও। ভবনে অনেক গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় সেগুলো বিস্ফোরিত হয়ে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে যায়।

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সাত সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানা গেছে।

প্রাথমিকভাবে ভবনটির প্রয়োজনীয় নথিপত্র বিশ্লেষণ করে কমিটি জানতে পেরেছে, বেইলি রোডের ভবনটির অনুমোদন, নকশায় কোন ত্রুটি নেই। তবে ৭ তলা এই ভবনটির ৫ তলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক অনুমোদন থাকলেও তারা উপরের বাকি দুই তলাও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করেছে।

রাজউকের সহকারী পরিচালক পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির সামনে উপস্থিত হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, এই ভবনে ফায়ার সেইফটি প্ল্যান ছিল কি না আমরা তদন্তে দেখতে চাই। এছাড়া ভবন নির্মাণ করতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছিল কি না তাও আমরা তদন্ত করে দেখবো। আমরা তদন্তে দেখতে পাবো কীভাবে আগুন লেগেছে এবং এখানে কারো কোনো গাফিলতি ছিল কি না।

আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, এই ভবনটিকে ইতঃপূর্বে অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা মনে করি যারা ব্যবসা করেন, তাদের সবাইকে অগ্নি নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখা দরকার।

রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) প্রকল্পের পরিচালক আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ভবনটির এক থেকে সাততলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। তবে, তা শুধু অফিসকক্ষ হিসেবে ব্যবহারের জন্য। রেস্তোরাঁ, শোরুম (বিক্রয়কেন্দ্র) বা অন্য কিছু করার জন্য অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আগুন লাগা ভবনে রেস্তোরাঁর অনুমোদন ছিল না : রাজউক

আপডেট সময় : ০৮:০৩:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

রাজধানীর বেইলি রোডে যে ভবনে আগুন লেগেছিল সে ভবনে রেস্তোরাঁ করার অনুমোদন ছিল না বলে জানিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। আজ শুক্রবার (১ মার্চ) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ভবনটিতে আটটি রেস্তোরাঁ, একটি জুস বার (ফলের রস বিক্রির দোকান) ও একটি চা-কফি বিক্রির দোকান ছিল। ছিল মুঠোফোন ও ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম এবং পোশাক বিক্রির দোকানও। ভবনে অনেক গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় সেগুলো বিস্ফোরিত হয়ে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে যায়।

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সাত সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানা গেছে।

প্রাথমিকভাবে ভবনটির প্রয়োজনীয় নথিপত্র বিশ্লেষণ করে কমিটি জানতে পেরেছে, বেইলি রোডের ভবনটির অনুমোদন, নকশায় কোন ত্রুটি নেই। তবে ৭ তলা এই ভবনটির ৫ তলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক অনুমোদন থাকলেও তারা উপরের বাকি দুই তলাও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করেছে।

রাজউকের সহকারী পরিচালক পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির সামনে উপস্থিত হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, এই ভবনে ফায়ার সেইফটি প্ল্যান ছিল কি না আমরা তদন্তে দেখতে চাই। এছাড়া ভবন নির্মাণ করতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছিল কি না তাও আমরা তদন্ত করে দেখবো। আমরা তদন্তে দেখতে পাবো কীভাবে আগুন লেগেছে এবং এখানে কারো কোনো গাফিলতি ছিল কি না।

আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, এই ভবনটিকে ইতঃপূর্বে অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা মনে করি যারা ব্যবসা করেন, তাদের সবাইকে অগ্নি নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখা দরকার।

রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) প্রকল্পের পরিচালক আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ভবনটির এক থেকে সাততলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। তবে, তা শুধু অফিসকক্ষ হিসেবে ব্যবহারের জন্য। রেস্তোরাঁ, শোরুম (বিক্রয়কেন্দ্র) বা অন্য কিছু করার জন্য অনুমোদন নেওয়া হয়নি।