ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আগামী অর্থবছরে সরকারের খরচ বাড়বে প্রায় ২৭ শতাংশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪০:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪৭৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারের খরচ বাড়বে প্রায় ২৭ শতাংশ। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া আর সুদের হার বৃদ্ধির কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুধু ঋণের দায় পরিশোধই নয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আসছে বাজেটে ভর্তুকি আর প্রণোদনাও ৩৫ শতাংশের মতো বাড়ানো হতে পারে।

বহুমুখী চাপের মধ্যে তৈরি হচ্ছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট। লাগামহীন মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের ঘাটতি, আইএমএফের শর্তের বেড়াজাল, ভর্তুকির বোঝা, নির্বাচনী বছরে বাড়তি খরচের চাহিদা, সব মিলিয়ে ভারসাম্য বজায় রেখে নতুন বাজেট তৈরি করতে হচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়কে।

দেশ পরিচালনা আর উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকার প্রতিবছর যত টাকা খরচ করে, তার এক চতুর্থাংশই ধার করে মেটানো হয়। এর বিপরীতে সুদও দিতে হয় বছরওয়ারী।

চলতি অর্থবছর অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ বাবদ সরকারের ৭৩ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা পরিশোধ করার কথা রয়েছে। আর বিদেশি ঋণের জন্য দিতে হবে ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

সবমিলে চলতি অর্থবছরের বাজেটে সুদ পরিশোধ বাবদ বরাদ্দ আছে ৮০ হাজার কোটি টাকা। যা আসছে বাজেটে ২৭ শতাংশের মতো বেড়ে যেতে পারে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, আসছে বাজেটে সরকারের ভর্তুকি আর প্রণোদনা বাবদ ব্যয়ও বাড়তে পারে। চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল সাড়ে ৮১ হাজার কোটি টাকার মতো। নতুন বছর তা বেড়ে এক লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে। যার বড় অংশই যাবে কৃষি আর সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, মূল্যস্ফীতি আর জিডিপির প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় নিয়ে আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার, চলতি বছরের থেকে ১৩ শতাংশের মতো বাড়তে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আগামী অর্থবছরে সরকারের খরচ বাড়বে প্রায় ২৭ শতাংশ

আপডেট সময় : ০২:৪০:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারের খরচ বাড়বে প্রায় ২৭ শতাংশ। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া আর সুদের হার বৃদ্ধির কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুধু ঋণের দায় পরিশোধই নয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আসছে বাজেটে ভর্তুকি আর প্রণোদনাও ৩৫ শতাংশের মতো বাড়ানো হতে পারে।

বহুমুখী চাপের মধ্যে তৈরি হচ্ছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট। লাগামহীন মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের ঘাটতি, আইএমএফের শর্তের বেড়াজাল, ভর্তুকির বোঝা, নির্বাচনী বছরে বাড়তি খরচের চাহিদা, সব মিলিয়ে ভারসাম্য বজায় রেখে নতুন বাজেট তৈরি করতে হচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়কে।

দেশ পরিচালনা আর উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকার প্রতিবছর যত টাকা খরচ করে, তার এক চতুর্থাংশই ধার করে মেটানো হয়। এর বিপরীতে সুদও দিতে হয় বছরওয়ারী।

চলতি অর্থবছর অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ বাবদ সরকারের ৭৩ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা পরিশোধ করার কথা রয়েছে। আর বিদেশি ঋণের জন্য দিতে হবে ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

সবমিলে চলতি অর্থবছরের বাজেটে সুদ পরিশোধ বাবদ বরাদ্দ আছে ৮০ হাজার কোটি টাকা। যা আসছে বাজেটে ২৭ শতাংশের মতো বেড়ে যেতে পারে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, আসছে বাজেটে সরকারের ভর্তুকি আর প্রণোদনা বাবদ ব্যয়ও বাড়তে পারে। চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল সাড়ে ৮১ হাজার কোটি টাকার মতো। নতুন বছর তা বেড়ে এক লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে। যার বড় অংশই যাবে কৃষি আর সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, মূল্যস্ফীতি আর জিডিপির প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় নিয়ে আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার, চলতি বছরের থেকে ১৩ শতাংশের মতো বাড়তে পারে।