ঢাকা ০১:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অমর একুশের বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা : রাষ্ট্রপতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৬:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৫৩৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অমর একুশের বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বইমেলা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, অমর একুশের বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা লেখক-পাঠক-সংস্কৃতি কর্মীসহ সমাজের সব শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে অনন্য জাগরণ সৃষ্টি করে।

তিনি বলেন, অমর একুশে বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা লেখক-পাঠক-সংস্কৃতিকর্মীসহ তথা সমাজের সব শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে অনন্য জাগরণ সৃষ্টি করে। মেলাটি আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিকাশে একটি অন্যতম প্রধান অনুষ্ঠান ও উৎস।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, অমর একুশে বইমেলা বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বাংলা একাডেমির উদ্যোগে ‘অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা ২০২৩’ এর আয়োজন উপলক্ষে বইপ্রেমিক বাঙালি, পাঠক, প্রকাশক, সংগঠক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমি বইমেলার প্রাক্কালে একুশে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনে অমর শহিদদের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।

আবদুল হামিদ বলেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে বই পড়ার বিকল্প নেই। তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান যুগে নতুন প্রজন্মকে বই পড়া ও সাহিত্য চর্চায় উদ্ধুদ্ধ করতে মাসব্যাপী বইমেলা ও ভাষা চর্চার এই আয়োজন কার্যকর অবদান রাখবে-এটাই সবার প্রত্যাশা।

রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, বাঙালির সাহিত্য-সংস্কৃতির পাদপীঠ বাংলা একাডেমি মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকে নানাভাবে ধারণ করে আছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধনে নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করে আসছে। ভাষা শহীদদের রক্তস্নাত পথ ধরে গড়ে ওঠা বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের প্রাণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে- এটাই কাম্য।

তিনি আশা করেন, বাঙালির প্রাণের এই মেলা বই কেনার পাশাপাশি আলোচনা সভা, সংগীতানুষ্ঠান, প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেবে সংস্কৃতির অমিয় সুধা। বাংলা একাডেমির এই প্রাঙ্গণে সৃজনশীল ও মননশীল লেখকদের বিকাশ ও অধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে অমর একুশে বইমেলা এক অবিকল্প আয়োজন। মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সমুজ্জ্বল রেখে ‘অমর একুশে বইমেলা’ বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়ে উঠবে- এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

রাষ্ট্রপতি ‘অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা ২০২৩’ এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

অমর একুশের বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা : রাষ্ট্রপতি

আপডেট সময় : ১২:৩৬:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অমর একুশের বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বইমেলা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, অমর একুশের বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা লেখক-পাঠক-সংস্কৃতি কর্মীসহ সমাজের সব শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে অনন্য জাগরণ সৃষ্টি করে।

তিনি বলেন, অমর একুশে বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা লেখক-পাঠক-সংস্কৃতিকর্মীসহ তথা সমাজের সব শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে অনন্য জাগরণ সৃষ্টি করে। মেলাটি আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিকাশে একটি অন্যতম প্রধান অনুষ্ঠান ও উৎস।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, অমর একুশে বইমেলা বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বাংলা একাডেমির উদ্যোগে ‘অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা ২০২৩’ এর আয়োজন উপলক্ষে বইপ্রেমিক বাঙালি, পাঠক, প্রকাশক, সংগঠক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমি বইমেলার প্রাক্কালে একুশে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনে অমর শহিদদের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।

আবদুল হামিদ বলেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে বই পড়ার বিকল্প নেই। তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান যুগে নতুন প্রজন্মকে বই পড়া ও সাহিত্য চর্চায় উদ্ধুদ্ধ করতে মাসব্যাপী বইমেলা ও ভাষা চর্চার এই আয়োজন কার্যকর অবদান রাখবে-এটাই সবার প্রত্যাশা।

রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, বাঙালির সাহিত্য-সংস্কৃতির পাদপীঠ বাংলা একাডেমি মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকে নানাভাবে ধারণ করে আছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধনে নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করে আসছে। ভাষা শহীদদের রক্তস্নাত পথ ধরে গড়ে ওঠা বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের প্রাণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে- এটাই কাম্য।

তিনি আশা করেন, বাঙালির প্রাণের এই মেলা বই কেনার পাশাপাশি আলোচনা সভা, সংগীতানুষ্ঠান, প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেবে সংস্কৃতির অমিয় সুধা। বাংলা একাডেমির এই প্রাঙ্গণে সৃজনশীল ও মননশীল লেখকদের বিকাশ ও অধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে অমর একুশে বইমেলা এক অবিকল্প আয়োজন। মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সমুজ্জ্বল রেখে ‘অমর একুশে বইমেলা’ বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়ে উঠবে- এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

রাষ্ট্রপতি ‘অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা ২০২৩’ এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।