ঢাকা ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অভ্যুত্থানের পর অস্ত্র আমদানি বাড়িয়েছে মিয়ানমার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ক্ষমতায় আসার পর থেকে অন্তত ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র আমদানি করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। জান্তার বিরুদ্ধে নৃশংসতার অপরাধের অভিযোদ থাকলেও রাশিয়া, চীন ও সিঙ্গাপুরের মত দেশগুলো তাদের এই অস্ত্র সরবরাহ করেছে। বুধবার জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন।

সেখানে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখলের দিন থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্ত্র, প্রযুক্তি এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম আমদানি করেছে জান্তা সরকার।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নিশংস অপরাধের অভিযোগ থাকলেও বিনা বাধায় এসব অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম আমদানি করতে পেরেছে দেশটি। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও তাদের জন্য কাজ করা অস্ত্র ব্যবসায়ীদের ১২ হাজার ৫০০ এর বেশি আলাদা আলাদা চালান শনাক্ত করতে পেরেছে জাতিসংঘ।

সামরিক অভ্যত্থানের পর থেকেই অশান্ত অবস্থা বিরাজ করতে মিয়ানমারে। অভ্যুত্থানের পরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে দেশটির সাধারণ নাগরিকরা। বিক্ষোভ রুপ নেয় সহিংসতায়। সাধারণ মানুষের ওপর গুলিবর্ষণ ও ব্যপক ধরপাকড় চালায় জান্তা সেনা। পরে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী একত্রিত হয়ে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) গঠন করে। প্রায়ই পিডিএফের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং হতাহতের ঘটনা ঘটছে। পিডিএফের ওপর হামলা করতে গিয়ে বেসামরিক গ্রামবাসীর ওপর নির্বিচারে বিমান হামলা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী।

নিউজটি শেয়ার করুন

অভ্যুত্থানের পর অস্ত্র আমদানি বাড়িয়েছে মিয়ানমার

আপডেট সময় : ০১:০৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ক্ষমতায় আসার পর থেকে অন্তত ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র আমদানি করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। জান্তার বিরুদ্ধে নৃশংসতার অপরাধের অভিযোদ থাকলেও রাশিয়া, চীন ও সিঙ্গাপুরের মত দেশগুলো তাদের এই অস্ত্র সরবরাহ করেছে। বুধবার জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন।

সেখানে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখলের দিন থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্ত্র, প্রযুক্তি এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম আমদানি করেছে জান্তা সরকার।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নিশংস অপরাধের অভিযোগ থাকলেও বিনা বাধায় এসব অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম আমদানি করতে পেরেছে দেশটি। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও তাদের জন্য কাজ করা অস্ত্র ব্যবসায়ীদের ১২ হাজার ৫০০ এর বেশি আলাদা আলাদা চালান শনাক্ত করতে পেরেছে জাতিসংঘ।

সামরিক অভ্যত্থানের পর থেকেই অশান্ত অবস্থা বিরাজ করতে মিয়ানমারে। অভ্যুত্থানের পরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে দেশটির সাধারণ নাগরিকরা। বিক্ষোভ রুপ নেয় সহিংসতায়। সাধারণ মানুষের ওপর গুলিবর্ষণ ও ব্যপক ধরপাকড় চালায় জান্তা সেনা। পরে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী একত্রিত হয়ে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) গঠন করে। প্রায়ই পিডিএফের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং হতাহতের ঘটনা ঘটছে। পিডিএফের ওপর হামলা করতে গিয়ে বেসামরিক গ্রামবাসীর ওপর নির্বিচারে বিমান হামলা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী।