ঢাকা ০২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অবরোধে পরিবহন খাতে ক্ষতি ছাড়াল ১২ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:২০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৫৩৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গেল ২৮ অক্টোবর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত হরতাল-অবরোধে পরিবহন খাতে ক্ষয়ক্ষতি ১২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। সমিতি বলছে, ক্ষয়ক্ষতি উপেক্ষা করেও সড়কে পরিবহন চালু রাখা হয়েছে। এদিকে হরতাল-অবরোধে সড়কে গাড়ি কম চলায় বিপাকে পড়েছে মালিক ও পরিবহন শ্রমিকেরা।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে হরতাল-অবরোধ দিয়ে আসছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। এসব কর্মসূচির আগের দিন থেকেই যানবাহনে দেওয়া হচ্ছে আগুন, করা হচ্ছে ভাঙচুর।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির হিসাবে ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের দিন থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত ১৭ দিনে ১৫৩টি যানে দেওয়া হয় আগুন। একই সময়ে ভাঙচুর করা হয় ২৫৫টি গাড়ি। এতে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে ৩৮ কোটি টাকা।

হরতাল অবরোধে যান চলাচল কম থাকায় ক্ষতি ১২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলেও দাবি করেছে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদকেরা।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, এই যানবাহনে আগুন-ভাঙচুরের ঘটনায় দেশের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে ওঠা অসম্ভব।

পরিবহন মালিকরা বলছেন, হরতাল-অবরোধ উপেক্ষা করেও সড়কে বাস চালু রাখা হচ্ছে, তবে তা স্বাভাবিকের চেয়ে কম।

মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, হরতাল-অবরোধের সব রকমের প্রয়োগ হচ্ছে শুধুমাত্র গণপরিবহনের ওপর। এমনকি হরতাল সমর্থনকারীদের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের গাড়িও নির্বিঘ্নে চলছে।

রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জ্বালাও-পোড়াও পরিহার করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে হরতাল অবরোধের কারণে আয় রোজগার কমায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তারা বলেন, ‘গাড়ি চালানো বাদ দিয়ে আমাদের এখন দায়িত্ব হলো তিন-চার জন মিলে পালা করে আগুন থেকে বাঁচতে গাড়ি পাহারা দেওয়া।’

নিউজটি শেয়ার করুন

অবরোধে পরিবহন খাতে ক্ষতি ছাড়াল ১২ হাজার কোটি টাকা

আপডেট সময় : ১২:২০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

গেল ২৮ অক্টোবর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত হরতাল-অবরোধে পরিবহন খাতে ক্ষয়ক্ষতি ১২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। সমিতি বলছে, ক্ষয়ক্ষতি উপেক্ষা করেও সড়কে পরিবহন চালু রাখা হয়েছে। এদিকে হরতাল-অবরোধে সড়কে গাড়ি কম চলায় বিপাকে পড়েছে মালিক ও পরিবহন শ্রমিকেরা।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে হরতাল-অবরোধ দিয়ে আসছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। এসব কর্মসূচির আগের দিন থেকেই যানবাহনে দেওয়া হচ্ছে আগুন, করা হচ্ছে ভাঙচুর।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির হিসাবে ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের দিন থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত ১৭ দিনে ১৫৩টি যানে দেওয়া হয় আগুন। একই সময়ে ভাঙচুর করা হয় ২৫৫টি গাড়ি। এতে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে ৩৮ কোটি টাকা।

হরতাল অবরোধে যান চলাচল কম থাকায় ক্ষতি ১২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলেও দাবি করেছে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদকেরা।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, এই যানবাহনে আগুন-ভাঙচুরের ঘটনায় দেশের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে ওঠা অসম্ভব।

পরিবহন মালিকরা বলছেন, হরতাল-অবরোধ উপেক্ষা করেও সড়কে বাস চালু রাখা হচ্ছে, তবে তা স্বাভাবিকের চেয়ে কম।

মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, হরতাল-অবরোধের সব রকমের প্রয়োগ হচ্ছে শুধুমাত্র গণপরিবহনের ওপর। এমনকি হরতাল সমর্থনকারীদের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের গাড়িও নির্বিঘ্নে চলছে।

রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জ্বালাও-পোড়াও পরিহার করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে হরতাল অবরোধের কারণে আয় রোজগার কমায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তারা বলেন, ‘গাড়ি চালানো বাদ দিয়ে আমাদের এখন দায়িত্ব হলো তিন-চার জন মিলে পালা করে আগুন থেকে বাঁচতে গাড়ি পাহারা দেওয়া।’