নিজস্ব প্রতিবেদক :
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, স্বর্ণের ব্যবসা বাংলাদেশে শুরু থেকেই কটেজ ইন্ডাস্ট্রির মতো চলছে। কিন্তু এই ব্যবসা সেই প্রাচীন সভ্যতা থেকেই চলছে। তাই আজকে আমরা এই শিল্পকে যে উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই, বিশ্ব বাজারে নিয়ে যেতে চাই।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার (আইসিসিবি) হলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের বাজুস মেলা ২০২৩ ও জুয়েলারি শিল্পে সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের সোনার বাজার ধরায় প্রধান প্রতিপক্ষ ভারত বলে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি অনেক সোনার কারিগর ভারতে কাজ করছেন, তাদের যদি দেশে এনে এই কাজে যুক্ত করা যায় তাহলে আমরা আরও ভালো যোগ্যতাসম্পন্ন লোক পাবো। এবং ভালো মানের কাজের মাধ্যমে যদি ভারতের সমপর্যায়ে নিতে পারি তাহলে আমরা তাদের চেয়েও কমদামে ও কম খরচে মার্কেট ধরতে পারবো।
শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে এটি একটি বিশাল বাজার। সেজন্য কাজ করতে হবে। আমাদের এই ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিপক্ষ ভারত। এছাড়া চোরাচালানসহ নানা বিষয় আছে। চোরা চালান হচ্ছে ঘোষণা ছাড়া ব্যবসায়। যখন বৈধভাবে ব্যবসা করতে পারে না তখন সেটি চোরাকারবার হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সোনার র মেটারিয়াল নেই, যেকারণে মাঝে মাঝে এর সংকট সৃষ্টি হয়। আমাদের এখানে যে মেটারিয়াল প্রয়োজন সেটা যদি আমরা এখানে এনে পরিশোধন করে সেটার একটা ব্র্যান্ড এবং কোয়ালিটি মেইন্টেইন করে বাজারজাত করতে পারি তাহলে এটি সার্থক হবে।
মন্ত্রী বলেন, বাঙালি যেখানে আছে নারী যেখানে আছে সেখানে সোনার কদর আছে। সোনা আমাদের একটি প্রাচীন ঐতিহ্যের মতো, এটি কারেন্সি হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। পারিবারিকভাবে যখন সচ্ছল থাকে তখন সোনা গয়নায় রূপান্তরিত হয়। আর কোনো ক্রাইসিস দেখা দিলে সেটা বিক্রি করা হয়।
নতুন করে স্বর্ণ উৎপাদনের সিকিউরড জোনের জন্য বসুন্ধরার উদ্যোগে বড় জায়গা ব্যবস্থা করলে সরকারি তদারকিতে তা কাজে লাগানো যাবে বলেও জানান মন্ত্রী।