ঢাকা ১১:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ফরিদপুরে চাউল সরবরাহের অনুমতি না পাওয়ায় অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
  • / ৪৭১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// নাজিম বকাউল, বিশেষ প্রতিনিধি //
ফরিদপুরের একাধিক অটো রাইস মিল মালিকরা খাদ‍্য বিভাগের সরকারি চাউল গোডাউনে সরবরাহের অনুমতি পাইনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অচল রাইস মিল মালিকরা এমন আভিযোগ করেছেন। কানাইপুরের আকাশ অটোরাইস রাইস মিল ও লালন অটো রাইস মিল এই দুই মিল সরকারি গোডাউনে চাউল  সরবরাহ তালিকা থেকে বাতিল করে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে লালন অটো রাইস মিলের মালিক সাঈদ আহমেদ রাজা জানান, প্রতি বছর আমরা সরকারি খাদ‍্য গুদামে চাউল সরবরাহ করে থাকি। আমি খাদ‍্য বিভাগের তালিকাভুক্ত একজন ব‍্যবসায়ী। কিন্তু এ বছর চাউল সরবরাহ করতে পারি নাই। তিনি আরো জানান, ফরিদপুরের জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জানিয়ছেন মন্ত্রণালয় থেকে আপনার নামের তালিকা আসে নাই। যাদের নামের তালিকা এসেছে তাদের চাউল সরবরাহের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে আকাশ অটো রাইস মিলের মালিক  আকাশ জানান,  আমরা প্রতি বছর খাদ‍্য বিভাগের সরকারি গোডাউনে চাউল সরবরাহের অনুমতি পাই। কিন্তু এ বছর অদৃশ্য ক্ষমতার কারণে তা পাইনি। আকাশ আরো জানান,  আমার পাশে একটি রাইস মিল আছে। যার নাম বর্ষা রাইস মিল। এই রাইস মিলের মালিক হচ্ছে বিপ্লব সাহা।
এ মিলটি বছরের বেশির ভাগ সময়  বন্ধ থাকে। অথচ এ বন্ধ মিলটিকে প্রতি বছর চাউল সরবরাহের অনুমতি দেয়া হয়।। তিনি আরো জানান যে,  যেসব রাইস মিল নিয়মিত চালু থাকবে তারা সরকারি খাদ‍্য বিভাগের গোডাউনে চাউল সরবরাহ করতে পারবে। এই নিয়ম থাকা সত্বেও বিপ্লব সাহা অনুমতি পেলো।
কানাইপুরের স্হানীয় ব‍্যক্তিরা জানান, বেশির সময় বিপ্লব সাহার মিল টি বন্ধ থাকে। আবার মাঝে মধ্যে চালু হয়।
খাদ‍্য বিভাগ থেকে যখন চাউল সরবরাহের অর্ডার পায় তখন দেখা যায় মিলটি চালু করা হয়।
এ বিষয়ে  বিপ্লব সাহা জানান,  আকাশ আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি  আরও জানান, গত মৌসুমে চাউল বরাদ্দে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল এবং সরকারকে যারা সময় মতো চাউল সরবরাহ করতে পারে নাই তাদেরকে  খাদ‍্য বিভাগ কালো তালিকাভুক্ত করেছে। ওই কালো তালিকার মধ্যে রয়েছে অভিযোগকারী আকাশও।
এ বিয়ের ফরিদপুর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা (ডিসি ফুড) খন্দকার ফরহাদ জানান, গত মৌসুমে (গত বছর) যে সকল মিল মালিকরা চাউল সরবরাহ করেছিল তারা এ মৌসুমে চাউল সরবারহের জন‍্য মন্ত্রণালয়ে
কোন আবেদন করে নাই। মন্ত্রণালয়ে যারা আবেদন করেছে তাদেরকে সরবরাহের জন‍্য মন্ত্রণালয়ে অনুমতি দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান,  প্রতিটি মিল মালিককে মৌসুমের পৃর্বে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মিল মালিকরা জানান, ফরিদপুরের খাদ‍্য বিভাগ  স্বজনপ্রীতি ও তোষণনীতি অনুসরণে এমন কাজ করেছে। কিন্তু ব‍্যবসায় সমস্যা হবে বা হতে পারে বিধায় আমরা কিছু বলতে পারি না।
তারা আরো জানান, বোয়ালমারীতে কয়েকটি মিল আছে;  চাউল সরবরাহে যেসব নীতিমালা ও যোগ্যতা অনুসরণ করা হয় বোয়ালমারীর মিলগুলোর তা নেই। অথচ তাও তারা বরাদ্দ পেয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর ফরিদপুরের নয়টি উপজেলায় ৯ হাজার ৭শ’ ৫০ মেট্রিকটন সিদ্ধ চাউল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফরিদপুরে চাউল সরবরাহের অনুমতি না পাওয়ায় অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:২১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
// নাজিম বকাউল, বিশেষ প্রতিনিধি //
ফরিদপুরের একাধিক অটো রাইস মিল মালিকরা খাদ‍্য বিভাগের সরকারি চাউল গোডাউনে সরবরাহের অনুমতি পাইনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অচল রাইস মিল মালিকরা এমন আভিযোগ করেছেন। কানাইপুরের আকাশ অটোরাইস রাইস মিল ও লালন অটো রাইস মিল এই দুই মিল সরকারি গোডাউনে চাউল  সরবরাহ তালিকা থেকে বাতিল করে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে লালন অটো রাইস মিলের মালিক সাঈদ আহমেদ রাজা জানান, প্রতি বছর আমরা সরকারি খাদ‍্য গুদামে চাউল সরবরাহ করে থাকি। আমি খাদ‍্য বিভাগের তালিকাভুক্ত একজন ব‍্যবসায়ী। কিন্তু এ বছর চাউল সরবরাহ করতে পারি নাই। তিনি আরো জানান, ফরিদপুরের জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জানিয়ছেন মন্ত্রণালয় থেকে আপনার নামের তালিকা আসে নাই। যাদের নামের তালিকা এসেছে তাদের চাউল সরবরাহের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে আকাশ অটো রাইস মিলের মালিক  আকাশ জানান,  আমরা প্রতি বছর খাদ‍্য বিভাগের সরকারি গোডাউনে চাউল সরবরাহের অনুমতি পাই। কিন্তু এ বছর অদৃশ্য ক্ষমতার কারণে তা পাইনি। আকাশ আরো জানান,  আমার পাশে একটি রাইস মিল আছে। যার নাম বর্ষা রাইস মিল। এই রাইস মিলের মালিক হচ্ছে বিপ্লব সাহা।
এ মিলটি বছরের বেশির ভাগ সময়  বন্ধ থাকে। অথচ এ বন্ধ মিলটিকে প্রতি বছর চাউল সরবরাহের অনুমতি দেয়া হয়।। তিনি আরো জানান যে,  যেসব রাইস মিল নিয়মিত চালু থাকবে তারা সরকারি খাদ‍্য বিভাগের গোডাউনে চাউল সরবরাহ করতে পারবে। এই নিয়ম থাকা সত্বেও বিপ্লব সাহা অনুমতি পেলো।
কানাইপুরের স্হানীয় ব‍্যক্তিরা জানান, বেশির সময় বিপ্লব সাহার মিল টি বন্ধ থাকে। আবার মাঝে মধ্যে চালু হয়।
খাদ‍্য বিভাগ থেকে যখন চাউল সরবরাহের অর্ডার পায় তখন দেখা যায় মিলটি চালু করা হয়।
এ বিষয়ে  বিপ্লব সাহা জানান,  আকাশ আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি  আরও জানান, গত মৌসুমে চাউল বরাদ্দে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল এবং সরকারকে যারা সময় মতো চাউল সরবরাহ করতে পারে নাই তাদেরকে  খাদ‍্য বিভাগ কালো তালিকাভুক্ত করেছে। ওই কালো তালিকার মধ্যে রয়েছে অভিযোগকারী আকাশও।
এ বিয়ের ফরিদপুর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা (ডিসি ফুড) খন্দকার ফরহাদ জানান, গত মৌসুমে (গত বছর) যে সকল মিল মালিকরা চাউল সরবরাহ করেছিল তারা এ মৌসুমে চাউল সরবারহের জন‍্য মন্ত্রণালয়ে
কোন আবেদন করে নাই। মন্ত্রণালয়ে যারা আবেদন করেছে তাদেরকে সরবরাহের জন‍্য মন্ত্রণালয়ে অনুমতি দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান,  প্রতিটি মিল মালিককে মৌসুমের পৃর্বে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মিল মালিকরা জানান, ফরিদপুরের খাদ‍্য বিভাগ  স্বজনপ্রীতি ও তোষণনীতি অনুসরণে এমন কাজ করেছে। কিন্তু ব‍্যবসায় সমস্যা হবে বা হতে পারে বিধায় আমরা কিছু বলতে পারি না।
তারা আরো জানান, বোয়ালমারীতে কয়েকটি মিল আছে;  চাউল সরবরাহে যেসব নীতিমালা ও যোগ্যতা অনুসরণ করা হয় বোয়ালমারীর মিলগুলোর তা নেই। অথচ তাও তারা বরাদ্দ পেয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর ফরিদপুরের নয়টি উপজেলায় ৯ হাজার ৭শ’ ৫০ মেট্রিকটন সিদ্ধ চাউল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।