ঢাকা ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে বিমা কোম্পানির যোগসূত্র রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে বিমা কোম্পানির যোগসূত্র রয়েছে। এটাই বাস্তবতা।

বুধবার (১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিমা দিবস- ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বক্তব্য শেষে জাতীয় বিমা দিবস- ২০২৩ এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, জীবন-জীবিকার জন্য আমার বাবা (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বিমা কোম্পানিতে চাকরি নেন। সেই কোম্পানির মালিক ছিলেন আমার বাবার বন্ধু। মূলত তাকে দায়িত্ব দেন তিনি। কিন্তু এটা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। কারণ ১৯৬২ সালে বাবাকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, বিমা কোম্পানিতে বাবার চাকরি করার সময়টা আমাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বাবা বিমা কোম্পানিতে চাকরি করে ভালো রোজগার করেছেন। তিনি গাড়ি পেয়েছেন। ফলে আমরাও বেশ ভালো ছিলাম। সেসময়টা উনি আমাদের সঙ্গে ছিলেন। বিমা কোম্পানির সঙ্গে আমাদের আত্মার সম্পর্ক রয়েছে।

বিমা কোম্পানির বদনাম হোক, চাই না: প্রধানমন্ত্রী

মার্চ সংগ্রামের মাস উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। জাতির জনকের ৭ মার্চের ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো।

ছয় দফা প্রণয়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সেই বিমা কোম্পানিতে বসে ছয় দফা প্রণয়ন করেন বঙ্গবন্ধু। দাবিগুলো লেখেন মোহাম্মদ হানিফ। পরে এক বিজ্ঞ ব্যক্তি সেটি ভাষান্তর করেন। যেসবের ভিত্তিতে ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন হয়। তাই দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে বিমার এক যোগসূত্র রয়ে গেছে। এটা বাস্তবতা।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুকে হেয় করতে অপপ্রচার চালানো হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। সরকারপ্রধান বলেন, সন্তানের মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তেই কাজ করছে আওয়াম লীগ।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিণত করার ক্ষেত্রে বীমা খাতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বীমা কোম্পানিসমূহকে গ্রাহকের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে সেবার মান উন্নয়নসহ বীমার টাকা দ্রুত পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি স্বনির্ভর জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে আজীবন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তার স্বপ্ন ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে দেশের মানুষের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি সুনিশ্চিত করা। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর।

জাতীয় বীমা দিবস উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণে বীমা কর্তৃপক্ষ এবং কোম্পানিগুলোকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিমা কোম্পানির বদনাম হোক, আমি চাই না। যথাযথ তদন্ত না করে, কারও চাপে পড়ে টাকা দেবেন না। কারণ আমিও এই পরিবারের একজন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে বিমা করে না সেটা ঠিক না। কিন্তু ক্ষেত্রে বিশেষে দেখা যায়, এক সময় গার্মেন্টসে শুধু আগুন লাগতো। এক সময় শুধু গার্মেন্টেসে হঠাৎ হঠাৎ আগুন লাগত। অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা নিয়ে আমরা এখন যথেষ্ট সচেতন। একবার আমার নজর পড়লো, কোনো কোনো গার্মেন্টেসে কিছু দিন পর পর আগুন লাগে, আর ইন্সুরেন্সের টাকা চায়। একবার খুব মোটা অংকের টাকা চাইলো। তখন আমি ইন্সুরেন্স কোম্পানিকে বললাম, আপনারা কোনো টাকা দেবেন না। আমি এটা তদন্ত করবো। তদন্ত করে দেখা গেল, ওই গার্মেন্টসের এক মেয়ে শ্রমিককে ২০ হাজার টাকা দিয়ে আগুন দিয়ে তারপর ইন্স্যুরেন্সের মোটা অংকের টাকা দাবি করা হয়। যেখানে কিছু নেই, যেখানে তারা বসে খাওয়া-দাওয়া করতো, সেখানে আগুন দেওয়া হয়েছিল। ওই মহিলাকে যখন ধরা হলো তখন সে স্বীকার করলো তাকে দিয়ে এটা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা

সরকারপ্রধান বলেন, বীমা পলিসি মানুষ যাতে গ্রহণ করে তার জন্য আপানাদের প্রচার করতে হবে। সেই প্রচারটা ব্যাপকভাবে করতে হবে। আগে অনেক যুব সমাজ বীমার এজেন্ট হিসেবে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতো। সেই এজেন্ট নিয়োগ করা এবং তাদের দিয়ে কাজ করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এতে কর্মসংস্থানেরও একটা সুবিধা হবে। বেকার যুবকরা এই পেশায় যাতে আরও বেশি আসে তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পরিবহনের ব্যাপারটা আমি দেখব।

তিনি বলেন, ঘন ঘন আগুন একটা যায়গা লাগবে কেন? ইন্সুরেন্সের দাবিদার হয়, টাকা পায় এজন্য? আমি মনে করি, বিমা কর্তৃপক্ষ এবং কোম্পানিগুলোর এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা দরকার। আসলেই কত ক্ষতি হলো- সেটার তদন্ত করতে হবে। যথাযথ তদন্ত না করে, কারো চাপে পড়ে টাকা দেবেন না।

শেখ হাসিনা বলেন, আগুন লাগলো একটা ফ্ল্যাটে, যেটার ইন্সুরেন্স ছিল না। পাশের ফ্ল্যাটেও ক্ষতি হলো, যেটা ইন্সুরেন্স আছে। কিন্তু সেটা দিয়ে মোটা অংকের টাকা বের করে নিয়ে গেলো। একটা ফ্ল্যাটে ৪০ কোটি টাকার কী সম্পদ থাকতে পারে যে, ইন্সুরেন্স কোম্পানিকে দিতে হবে? এই টাকাটা কীভাবে গেলো সাধারণ বিমা থেকে গেছে? অথচ যার ঘরটা বেশি পুড়লো, তার বিমাও নাই, টাকাও পেলো না।

pm

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বা এমপি মন্ত্রী অনেকে যাবে। তদবির করবে। কিন্তু আপনাকে দেখতে হবে তার ক্ষতি কী পরিমাণ! যারা তদন্ত করতে আসে তারাও নিশ্চয় ভাগ পায়! না হলে ক্ষতি নিরূপণ ছাড়াই প্রতিবেদন কীভাবে দেয়? ইন্সুরেন্স কোম্পানির বদনাম হোক, আমি চাই না। কারণ আমিও এই পরিবারের একজন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন ।

বিমা দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগীতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে বিমা কোম্পানির যোগসূত্র রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৩৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে বিমা কোম্পানির যোগসূত্র রয়েছে। এটাই বাস্তবতা।

বুধবার (১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিমা দিবস- ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বক্তব্য শেষে জাতীয় বিমা দিবস- ২০২৩ এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, জীবন-জীবিকার জন্য আমার বাবা (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বিমা কোম্পানিতে চাকরি নেন। সেই কোম্পানির মালিক ছিলেন আমার বাবার বন্ধু। মূলত তাকে দায়িত্ব দেন তিনি। কিন্তু এটা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। কারণ ১৯৬২ সালে বাবাকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, বিমা কোম্পানিতে বাবার চাকরি করার সময়টা আমাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বাবা বিমা কোম্পানিতে চাকরি করে ভালো রোজগার করেছেন। তিনি গাড়ি পেয়েছেন। ফলে আমরাও বেশ ভালো ছিলাম। সেসময়টা উনি আমাদের সঙ্গে ছিলেন। বিমা কোম্পানির সঙ্গে আমাদের আত্মার সম্পর্ক রয়েছে।

বিমা কোম্পানির বদনাম হোক, চাই না: প্রধানমন্ত্রী

মার্চ সংগ্রামের মাস উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। জাতির জনকের ৭ মার্চের ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো।

ছয় দফা প্রণয়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সেই বিমা কোম্পানিতে বসে ছয় দফা প্রণয়ন করেন বঙ্গবন্ধু। দাবিগুলো লেখেন মোহাম্মদ হানিফ। পরে এক বিজ্ঞ ব্যক্তি সেটি ভাষান্তর করেন। যেসবের ভিত্তিতে ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন হয়। তাই দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে বিমার এক যোগসূত্র রয়ে গেছে। এটা বাস্তবতা।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুকে হেয় করতে অপপ্রচার চালানো হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। সরকারপ্রধান বলেন, সন্তানের মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তেই কাজ করছে আওয়াম লীগ।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিণত করার ক্ষেত্রে বীমা খাতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বীমা কোম্পানিসমূহকে গ্রাহকের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে সেবার মান উন্নয়নসহ বীমার টাকা দ্রুত পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি স্বনির্ভর জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে আজীবন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তার স্বপ্ন ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে দেশের মানুষের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি সুনিশ্চিত করা। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর।

জাতীয় বীমা দিবস উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণে বীমা কর্তৃপক্ষ এবং কোম্পানিগুলোকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিমা কোম্পানির বদনাম হোক, আমি চাই না। যথাযথ তদন্ত না করে, কারও চাপে পড়ে টাকা দেবেন না। কারণ আমিও এই পরিবারের একজন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে বিমা করে না সেটা ঠিক না। কিন্তু ক্ষেত্রে বিশেষে দেখা যায়, এক সময় গার্মেন্টসে শুধু আগুন লাগতো। এক সময় শুধু গার্মেন্টেসে হঠাৎ হঠাৎ আগুন লাগত। অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা নিয়ে আমরা এখন যথেষ্ট সচেতন। একবার আমার নজর পড়লো, কোনো কোনো গার্মেন্টেসে কিছু দিন পর পর আগুন লাগে, আর ইন্সুরেন্সের টাকা চায়। একবার খুব মোটা অংকের টাকা চাইলো। তখন আমি ইন্সুরেন্স কোম্পানিকে বললাম, আপনারা কোনো টাকা দেবেন না। আমি এটা তদন্ত করবো। তদন্ত করে দেখা গেল, ওই গার্মেন্টসের এক মেয়ে শ্রমিককে ২০ হাজার টাকা দিয়ে আগুন দিয়ে তারপর ইন্স্যুরেন্সের মোটা অংকের টাকা দাবি করা হয়। যেখানে কিছু নেই, যেখানে তারা বসে খাওয়া-দাওয়া করতো, সেখানে আগুন দেওয়া হয়েছিল। ওই মহিলাকে যখন ধরা হলো তখন সে স্বীকার করলো তাকে দিয়ে এটা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা

সরকারপ্রধান বলেন, বীমা পলিসি মানুষ যাতে গ্রহণ করে তার জন্য আপানাদের প্রচার করতে হবে। সেই প্রচারটা ব্যাপকভাবে করতে হবে। আগে অনেক যুব সমাজ বীমার এজেন্ট হিসেবে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতো। সেই এজেন্ট নিয়োগ করা এবং তাদের দিয়ে কাজ করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এতে কর্মসংস্থানেরও একটা সুবিধা হবে। বেকার যুবকরা এই পেশায় যাতে আরও বেশি আসে তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পরিবহনের ব্যাপারটা আমি দেখব।

তিনি বলেন, ঘন ঘন আগুন একটা যায়গা লাগবে কেন? ইন্সুরেন্সের দাবিদার হয়, টাকা পায় এজন্য? আমি মনে করি, বিমা কর্তৃপক্ষ এবং কোম্পানিগুলোর এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা দরকার। আসলেই কত ক্ষতি হলো- সেটার তদন্ত করতে হবে। যথাযথ তদন্ত না করে, কারো চাপে পড়ে টাকা দেবেন না।

শেখ হাসিনা বলেন, আগুন লাগলো একটা ফ্ল্যাটে, যেটার ইন্সুরেন্স ছিল না। পাশের ফ্ল্যাটেও ক্ষতি হলো, যেটা ইন্সুরেন্স আছে। কিন্তু সেটা দিয়ে মোটা অংকের টাকা বের করে নিয়ে গেলো। একটা ফ্ল্যাটে ৪০ কোটি টাকার কী সম্পদ থাকতে পারে যে, ইন্সুরেন্স কোম্পানিকে দিতে হবে? এই টাকাটা কীভাবে গেলো সাধারণ বিমা থেকে গেছে? অথচ যার ঘরটা বেশি পুড়লো, তার বিমাও নাই, টাকাও পেলো না।

pm

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বা এমপি মন্ত্রী অনেকে যাবে। তদবির করবে। কিন্তু আপনাকে দেখতে হবে তার ক্ষতি কী পরিমাণ! যারা তদন্ত করতে আসে তারাও নিশ্চয় ভাগ পায়! না হলে ক্ষতি নিরূপণ ছাড়াই প্রতিবেদন কীভাবে দেয়? ইন্সুরেন্স কোম্পানির বদনাম হোক, আমি চাই না। কারণ আমিও এই পরিবারের একজন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন ।

বিমা দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগীতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।