শালিখায় সিনজেন্টা প্রয়োগে ৩.২ একর জমির তরমুজ নষ্ট : ২ কৃষকের ২০ লাখ টাকার ক্ষতি
- আপডেট সময় : ০৫:২২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
- / ৪৫৪ বার পড়া হয়েছে
নওয়াব আলী, মাগুরা:
মাগুরার শালিখা উপজেলার গোপাল গ্রামে সিনজেন্টার ঔষধ প্রয়োগ করে ২ কৃষকের ৩ একর ২০ শতাংশ জমির তরমুজ ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তাদের প্রায় ২০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ ২ কৃষক মোঃ আকবর আলী ও মোঃ মারুফ শিকদার উপজেলা সার ও বীজ কমিটি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ক্ষতিপূরণের দাবি করে অভিযোগ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন মুনিরা বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আলমগীর হোসেন এর উপর দায়িত্ব দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোপাল গ্রামের মোঃ মনু শিকদারের পুত্র মারফ শিকদার দিঘীর মাঠে এক একর ৮০ শতক ও একই গ্রামের ছামছুর রহমান মোল্লার পুত্র আকবর আলীর একই মাঠে এক একর ও পোড়াগাছি মাঠে ৪০ শতকসহ ২ জনের মোট ৩ একর ২০ শতাংশ জমিতে তরমুজ আবাদ করেছে। এক সপ্তা আগে সিনজেন্টা কোম্পানির স্থানীয় অফিসার মোঃ শরিফুল ইসলাম তাদের ক্ষেতে যায় এবং তরমুজ গাছ দ্রুত বৃদ্ধি ও ফল বড় হবে বলে অননুমোদিত কীটনাশক স্প্রে করার জন্য দুইটা প্রেসক্রিপশন করে দেয়। আমরা তার কথা মত প্লেনাম ও প্রোটোজিম জমিতে প্রয়োগ করি। স্প্রে করার দুই দিনের মধ্যে ক্ষেতের সব তরমুজ গাছ নষ্ট হয়ে যায়।
সরেজমিন গেলে ওই ২ কৃষক বলেন সিনজেন্টা কোম্পানির মোঃ শরিফুল ইসলামের পরামর্শে ক্ষেতে ঔষধ প্রয়োগ করে সব তরমুজ গাছ মারা গেছে। আমাদের ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ চাই।
এ ব্যাপারে শরিফুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে বলেন, আমাদের কোম্পানির কীটনাশক ভালো তরমুজ খেত নষ্ট হওয়ার কথা না।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগটি তদন্তের জন্য আমার কাছে দিয়েছেন। আমরা অতি দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বা/খ: এসআর।