ঢাকা ১০:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাগঝাপা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার 

কাশিয়ানী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:৪৭:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪
  • / ৭৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে চতুর্থ শ্রেণির ১০ বছরের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিন আল আজাদ ওরফে হেলাল খাঁ (৩০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মায়ের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিন আল আজাদ ওরফে হেলাল খাঁ’কে গ্রেপ্তার করে কাশিয়ানী থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার শিক্ষক মোঃ যুক্তিবাদী  হেলাল উদ্দিন, আল আজাদ ওরফে হেলাল খাঁ,ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার মাইটমুকড়া গ্রামের মোঃ তুরাপ আলী খাঁর ছেলে। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে গোপালগঞ্জ জেলা কাশিয়ানী থানাধীন বাগঝপা গ্রামে বসবাস করছেন। সেখানে আরও কয়েকজন মিলে বেশ কিছুদিন যাবৎ হযরত হালিমাতুজ ছাদিয়া মুহাম্মাদীয়া মহিলা মাদ্রসায় নামে একটা অনুমোদনহীন আবাসিক/অনাবাসিক মহিলা মাদ্রাসা পরিচালনা করছেন তিনি।
সেই মাদ্রাসার ১০ বছর বয়সী চতুর্থ শ্রেণির (১ম জামাতের) শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিন আল আজাদ ওরফে হেলাল এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটায়।
কাশিয়ানী থানার উপ-পরিদর্শক সাজেদুল ইসলাম সোহাগ সাংবাদিকদের বলেন, কাশিয়ানী উপজেলাধীন বাগঝাপা এলাকায় একটি হযরত হালিমাতুজ ছাদিয়া মুহাম্মাদীয়া মহিলা মাদ্রসায় মোঃ হেলাল উদ্দিন আল আজাদ ওরফে হেলাল খাঁ নামে এক শিক্ষকসহ ধর্ষণের সহায়ক মোঃ ফায়েকুজ্জামান (অত্র মাদ্রাসার মহ্তামিম) ও মোসাঃ খাদিজা বেগমের বিরুদ্ধে ১০ বছর বয়সী চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। মামলার ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর দু’জন পলাতক রয়েছেন। তিনি বলেন, হযরত হালিমাতুজ ছাদিয়া মুহাম্মাদীয়া মহিলা মাদ্রসার  শিক্ষক হেলালউদ্দিন আল আজাদ ওরফে হেলাল তার বিশ্রাম কক্ষে ওই ছাত্রীকে বিয়েসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বেশ কয়েকবার এই শিক্ষক ধর্ষণ করেছে। সর্বশেষ গত ১০ই ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ফায়েকুজ্জামান ও মোসাঃ খাদিজা বেগম দ্বয়ের সহায়তায় এই শিশুকে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় গতকাল ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং অপর দু’জন’কে দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাগঝাপা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার 

আপডেট সময় : ১১:৪৭:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে চতুর্থ শ্রেণির ১০ বছরের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিন আল আজাদ ওরফে হেলাল খাঁ (৩০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মায়ের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিন আল আজাদ ওরফে হেলাল খাঁ’কে গ্রেপ্তার করে কাশিয়ানী থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার শিক্ষক মোঃ যুক্তিবাদী  হেলাল উদ্দিন, আল আজাদ ওরফে হেলাল খাঁ,ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার মাইটমুকড়া গ্রামের মোঃ তুরাপ আলী খাঁর ছেলে। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে গোপালগঞ্জ জেলা কাশিয়ানী থানাধীন বাগঝপা গ্রামে বসবাস করছেন। সেখানে আরও কয়েকজন মিলে বেশ কিছুদিন যাবৎ হযরত হালিমাতুজ ছাদিয়া মুহাম্মাদীয়া মহিলা মাদ্রসায় নামে একটা অনুমোদনহীন আবাসিক/অনাবাসিক মহিলা মাদ্রাসা পরিচালনা করছেন তিনি।
সেই মাদ্রাসার ১০ বছর বয়সী চতুর্থ শ্রেণির (১ম জামাতের) শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিন আল আজাদ ওরফে হেলাল এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটায়।
কাশিয়ানী থানার উপ-পরিদর্শক সাজেদুল ইসলাম সোহাগ সাংবাদিকদের বলেন, কাশিয়ানী উপজেলাধীন বাগঝাপা এলাকায় একটি হযরত হালিমাতুজ ছাদিয়া মুহাম্মাদীয়া মহিলা মাদ্রসায় মোঃ হেলাল উদ্দিন আল আজাদ ওরফে হেলাল খাঁ নামে এক শিক্ষকসহ ধর্ষণের সহায়ক মোঃ ফায়েকুজ্জামান (অত্র মাদ্রাসার মহ্তামিম) ও মোসাঃ খাদিজা বেগমের বিরুদ্ধে ১০ বছর বয়সী চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। মামলার ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর দু’জন পলাতক রয়েছেন। তিনি বলেন, হযরত হালিমাতুজ ছাদিয়া মুহাম্মাদীয়া মহিলা মাদ্রসার  শিক্ষক হেলালউদ্দিন আল আজাদ ওরফে হেলাল তার বিশ্রাম কক্ষে ওই ছাত্রীকে বিয়েসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বেশ কয়েকবার এই শিক্ষক ধর্ষণ করেছে। সর্বশেষ গত ১০ই ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ফায়েকুজ্জামান ও মোসাঃ খাদিজা বেগম দ্বয়ের সহায়তায় এই শিশুকে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় গতকাল ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং অপর দু’জন’কে দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে।