ঢাকা ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বরিশালকে হারিয়ে তলানি থেকে উঠলো ঢাকা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৬০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্পোর্টস ডেস্ক : 

এবারের বিপিএলে বেশিরভাগ ম্যাচে হাসেনি সৌম্য সরকারের ব্যাট। টানা ব্যর্থতা কাটিয়ে এক ম্যাচ আগে রানে ফেরেন তিনি, করেন হাফসেঞ্চুরি। পরের ম্যাচে অল্প রানে সাজঘরে ফিরলেও মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) আরও একবার ঝড় তুলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এবারের বিপিএলে নিজের প্রথম ফিফটির দেখা পেয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। টপঅর্ডার রানে ফেরায় ঢাকা ডমিনেটর্সও ফিরেছে জয়ের ধারায়। ফরচুন বরিশালকে ৫ উইকেট আর ৭ বল হাতে রেখে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানি থেকে পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে নাসির হোসেনের দল।

সিলেট পর্বের শেষ দিন মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৫৬ রান করে বরিশাল। রান তাড়া করতে নেমে ৭ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা।

এই জয়ে ১০ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের তলানি থেকে ঢাকা উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে। অন্যদিকে ৯ ম্যাচ থেকে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে বরিশাল।

মোহাম্মদ মিথুন-সৌম্য সরকারের ৭৪ রানের ওপেনিং জুটি জয়ের ভিত গড়ে দেয়। ৪টি চার ও ২টি ছয়ে ২২ বলে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে সৌম্য আউট হলেও মিথুন ফিফটি করেন। তার ব্যাট থেকে ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন। তার ইনিংস সাজানো ছলো ৬টি চার ও ৩টি ছয়ে।

নাসির ২০ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। এ ছাড়া আবদুল্লাহ আল মামুন ২৬, অ্যালেক্স ব্লেক ১৫ রান করেন। বরিশালের হয়ে সাকিব সর্বোচ্চ-সানজামুল সর্বোচ্চ ২ উইকেট করে নেন।

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারানোর পর বরিশালের রানরেট কমতে থাকে। এনামুল হক বিজয়ের সর্বোচ্চ রানের পর শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহর ক্যামিওতে সেই ধাক্কা কাটিয়ে তোলে ফরচুন বরিশাল। লক্ষ্য দেয় ১৫৭ রানের।

পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪২ রান করে বরিশাল। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার দুই বল পর প্রথম উইকেট হারালো বরিশাল। এরপর ৬৬ রানে নেই ৪ উইকেট।

এই ধাক্কা সামলে উঠতে কম কষ্ট হয়নি বরিশালের। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪২ রান করে বিদায় নেন এনামুল হক বিজয়। ৯২ রানে পঞ্চম উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহ ও সালমান হোসেন টুকটাক ব্যাটিংয়ে স্কোর বাড়াতে থাকেন। ১৭ ওভারে তাদের রান ৫ উইকেটে ১১১। চ্যালেঞ্জিং স্কোর তোলা নিয়ে শঙ্কা জেগেছিল।

কিন্তু পরের দুই ওভারে ঝড় ওঠে। সালমান ও মাহমুদউল্লাহ ১৮তম ওভারে সালমান ইর্শাদের বলে ১৯ রান তুলে নেন। পরের ওভারে চতুর্থ চার মারার পরের বলে আউট মাহমুদউল্লাহ, ২৭ বলে ৩৯ রানের ইনিংসে ছিল দুটি ছয়ও।

তবে করিম জানাত নেমেই ঝড় তোলেন। শরিফুল ইসলামকে দুটি ছয় ও চার মারেন পরপর তিন বলে। ১৯তম ওভারে আসে ২০ রান। সালমান ১২ বলে ১৪ রান করে ফিরে যান শেষ ওভারের প্রথম বলে। মোহাম্মদ ওয়াসিম ও করিম বাকি পাঁচ বলে সুবিধা করতে পারেননি, আরেকটি উইকেটের বিনিময়ে ওই ওভারে মাত্র ৬ রান আসে। শেষ বলে রান আউট হন করিম, ৫ বলে ১৭ রান করেন তিনি ৩৪০ স্ট্রাইক রেটে। ইনিংসে ছিল ১ চার ও ২ ছয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

বরিশালকে হারিয়ে তলানি থেকে উঠলো ঢাকা

আপডেট সময় : ০৫:২১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

এবারের বিপিএলে বেশিরভাগ ম্যাচে হাসেনি সৌম্য সরকারের ব্যাট। টানা ব্যর্থতা কাটিয়ে এক ম্যাচ আগে রানে ফেরেন তিনি, করেন হাফসেঞ্চুরি। পরের ম্যাচে অল্প রানে সাজঘরে ফিরলেও মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) আরও একবার ঝড় তুলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এবারের বিপিএলে নিজের প্রথম ফিফটির দেখা পেয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। টপঅর্ডার রানে ফেরায় ঢাকা ডমিনেটর্সও ফিরেছে জয়ের ধারায়। ফরচুন বরিশালকে ৫ উইকেট আর ৭ বল হাতে রেখে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানি থেকে পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে নাসির হোসেনের দল।

সিলেট পর্বের শেষ দিন মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৫৬ রান করে বরিশাল। রান তাড়া করতে নেমে ৭ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা।

এই জয়ে ১০ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের তলানি থেকে ঢাকা উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে। অন্যদিকে ৯ ম্যাচ থেকে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে বরিশাল।

মোহাম্মদ মিথুন-সৌম্য সরকারের ৭৪ রানের ওপেনিং জুটি জয়ের ভিত গড়ে দেয়। ৪টি চার ও ২টি ছয়ে ২২ বলে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে সৌম্য আউট হলেও মিথুন ফিফটি করেন। তার ব্যাট থেকে ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন। তার ইনিংস সাজানো ছলো ৬টি চার ও ৩টি ছয়ে।

নাসির ২০ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। এ ছাড়া আবদুল্লাহ আল মামুন ২৬, অ্যালেক্স ব্লেক ১৫ রান করেন। বরিশালের হয়ে সাকিব সর্বোচ্চ-সানজামুল সর্বোচ্চ ২ উইকেট করে নেন।

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারানোর পর বরিশালের রানরেট কমতে থাকে। এনামুল হক বিজয়ের সর্বোচ্চ রানের পর শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহর ক্যামিওতে সেই ধাক্কা কাটিয়ে তোলে ফরচুন বরিশাল। লক্ষ্য দেয় ১৫৭ রানের।

পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪২ রান করে বরিশাল। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার দুই বল পর প্রথম উইকেট হারালো বরিশাল। এরপর ৬৬ রানে নেই ৪ উইকেট।

এই ধাক্কা সামলে উঠতে কম কষ্ট হয়নি বরিশালের। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪২ রান করে বিদায় নেন এনামুল হক বিজয়। ৯২ রানে পঞ্চম উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহ ও সালমান হোসেন টুকটাক ব্যাটিংয়ে স্কোর বাড়াতে থাকেন। ১৭ ওভারে তাদের রান ৫ উইকেটে ১১১। চ্যালেঞ্জিং স্কোর তোলা নিয়ে শঙ্কা জেগেছিল।

কিন্তু পরের দুই ওভারে ঝড় ওঠে। সালমান ও মাহমুদউল্লাহ ১৮তম ওভারে সালমান ইর্শাদের বলে ১৯ রান তুলে নেন। পরের ওভারে চতুর্থ চার মারার পরের বলে আউট মাহমুদউল্লাহ, ২৭ বলে ৩৯ রানের ইনিংসে ছিল দুটি ছয়ও।

তবে করিম জানাত নেমেই ঝড় তোলেন। শরিফুল ইসলামকে দুটি ছয় ও চার মারেন পরপর তিন বলে। ১৯তম ওভারে আসে ২০ রান। সালমান ১২ বলে ১৪ রান করে ফিরে যান শেষ ওভারের প্রথম বলে। মোহাম্মদ ওয়াসিম ও করিম বাকি পাঁচ বলে সুবিধা করতে পারেননি, আরেকটি উইকেটের বিনিময়ে ওই ওভারে মাত্র ৬ রান আসে। শেষ বলে রান আউট হন করিম, ৫ বলে ১৭ রান করেন তিনি ৩৪০ স্ট্রাইক রেটে। ইনিংসে ছিল ১ চার ও ২ ছয়।