ঢাকা ০৮:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঈদ ও বৈশাখ সামনে রেখে

ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পে ফিরেছে প্রাণ

শফিউল আযম, বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৮৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রমজানের ঈদ ও পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে পাবনা-সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের তাঁত পল্লীগুলো কর্মমূখর হয়ে উঠেছে। তাঁত মালিক ও শ্রমিকেরা ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের উন্নত আধুনিক রুচিশীল শাড়ী ও লুঙ্গী। শাড়ীর উপরে বর্ণিল সুতা, ব্লক ও চুমকির কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া, কাপড়ের উপর রঙ তুলির আঁচড়ে হাতে করা হচ্ছে নান্দনিক ও মনোমুগ্ধকর নানা নকশা। আর এই নান্দনিক মনোমুগ্ধকর নানা নকশার তৈরি টেকসই কাপড়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ভারতের পশ্চিমবাংলায়।

পাবনার ঈশ্বরদী ও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, চৌহালীতে তৈরি তাঁতবস্ত্র ইতোমধ্যে ভারতসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ঈদ ও পহেলা বৈশাখ সামনে কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কাপড় তৈরি করছেন তাঁত কারখানার মালিকরা। কাপড়ের উৎপাদন বাড়াতে কাজ করে চলেছেন তাঁত শ্রমিকরা। কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের কোলাহলে সরব হয়ে উঠেছে তাঁত পল্লী। কারখানা মালিক ও শ্রমিকদের। বসে নেই নারীরা। পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নলী ভরা, সুতাপারি করা, মাড়দেয়া ও রঙ-তুলিতে নকশা আঁকাসহ কাপড় বুননোর কাজে সহযোগিতা করছে ওই এলাকার নারী শ্রমিকরা। বাজারে কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে, সেই সাথে বাড়ছে দাম। এই মূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসাবে রঙ-সুতাসহ তাঁত উপকরণের মূল্য বৃদ্ধিকেই দায়ী করছেন তাঁত কারখানা মালিকরা।

পাবনার সুজানগর উপজেলার দোগাছির তাঁত কারখানা মালিক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক মানের এবং সময় উপযোগী ডিজাইন নিয়ে আসায় দেশীয় তাঁতশিল্প প্রাণ ফিরে পেয়েছে। তাঁতীরা এ শিল্পকে আর অলাভজনক পেশা হিসাবে দেখছেন না। মানন্ধাত্তার আমলের বুনোন শৈলী ও জ্যাকেট পাইড়ের শাড়ি বাদ দিয়ে ডিজাইনারদের পরামর্শ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ শিল্পকে সমৃদ্ধ করছেন। ঈদ ও পহেলা বৈশাখ সামনে তাঁতের কাপড় বিক্রিতে এখন আর মন্দাভাব নেই। এ পেশার সাথে জড়িত সবাই এখন লাভের মুখ দেখছেন। সময় উপযোগী করে বুনোন শৈলী নান্দনিক ও মনোমুগ্ধকর নানা নকশা আর রঙের এর মাধুর্য দিয়ে তৈরি হচ্ছে এ অঞ্চলের তাঁতের কাপড়। এদিকে ঈদের বাজারে সোনার বাংলা টেক্সটাইল, ডিসেন্ট, চাচকিয়া, ওয়েষ্ট, রংধনুসহ ১২৫ ব্রান্ডের লুঙ্গি চাহিদা বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

গত সোমবার শাহজাদপুর হাটে ভারতীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ভারতের পশ্চিমবাংলার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিন ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, হুগলী, বর্ধমান, নদীয়, মূর্শীদাবাদ, মালদহ, জলপাইগুড়ি, পশ্চিমদিনাজপুর, উত্তরদিনাজপুর, দক্ষিণদিনাজপুর, কুচবিহার, হওড়া ও হুগলীসহ বিভিন্ন জেলার ছোট-বড় নামিদামী শপিংমল ও বিপণী বিতানগুলোতে বাংলাদেশে তৈরি বিভিন্ন ব্রান্ডের শাড়ী বিক্রি হয়। রমজানের ঈদ ও বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সেখানে বাংলাদেশি শাড়ীর বাজার জমে উঠতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাংগাইল, ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ জেলার তাঁত কারখানাগুলোতে তৈরি সিল্ক জামদানী, সুতি জামদানী, কাতান, সুতি কাতান, রাজশাহী সিল্ক, বেনারশী, চোষা, শেড, স্বর্ণলতা, কটন শাড়ী ভারতে রফতানি হচ্ছে। আর এই নান্দনিক মনোমুগ্ধকর নানা নকশার তৈরি উন্নতমান, টেকসই, রুচিশীল শাড়ীর দাম কম হওযায় পশ্চিমবাংলার মহিলাদের বেশি পছন্দ বাংলাদেশি শাড়ী।

পশ্চিমবাংলার শিলিগুড়ির আমদানিকারক সেলিম খাঁন জানান, রমজানের ঈদ ও পহেলা বৈশাখের বাজার ধরা জন্য পশ্চিমবাংলার আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা আতাইকুলা, শাহজাদপুরহাট, এনায়েতপুরহাট, করোটিয়াহাট, বাবুরহাট ও ডেমরাহাট থেকে শাড়ী কিনছেন। এছাড়া রাজশাহীর সিল্ক, গরদ, পাবনার ঈশ্বরদীর বেনারশি কাতান, সিরাজগঞ্জের স্বর্ণলতা, চোষা ও শেড শাড়ী, টাংগাইলের সুতি জামদানি, সিল্ক জামদানি ঢাকার মিরপুরের বেনারশি, কাতান ও নারায়নগঞ্জের ডেমরার জামদানি তাঁত কারখানাগুলোতে গিয়ে পছন্দমতো শাড়ী কিনে পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জেলার শপিংমল, বিপণীবিতানগুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে।

শাহজাদপুরের পাইকারী কাপড় ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা রমজানের ঈদ ও পহেলা বৈশাখ সামনে রেখে শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও আতাইকুলা হাট থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৪০ কোটি টাকার কাপড় কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এতে এ অঞ্চলের তাঁত শিল্প প্রাণ ফিরে পাচ্ছে।

ভারতের কলকাতার কাপড় ব্যবসায়ী গোপাল চন্দ্র সেন জানান, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের তৈরি কাপড় ভারতের কলকাতা শুভরাজ, গঙ্গা রামপুর ও পাটনাসহ বড় বড় শহরে বিক্রয় হচ্ছে। সে দেশের চেয়ে এদেশের কাপড়ের দাম তুলনামূলক কম, টেকশই এবং উন্নত মানের হওয়ায় তারা এখান থেকে কাপড় কিনছেন।

বিবিআনা, রঙ, কে-ক্রাফট ও নগরদোলাসহ দেশের শীর্ষ স্থানীয় বুটিক প্রতিষ্ঠানের কাপড় এখন সিরাজগঞ্জ-পাবনা অঞ্চলে তৈরি হয়। বুটিক হাউজগুলোর নিজস্ব ডিজাইনে রেশম সুতা, খাদি, নয়েল, ডুপিয়ান ও এন্ডি সুতা ব্যবহার করে তাতে প্যালেস ও জরি মিশ্রত করে কাপড় তৈরি করা হচ্ছে। বুটিক হাউজের ওড়না থান কাপড় ও এন্ডি থান কাপড়ের ফ্রেবিক্স তৈরি করা হচ্ছে তাঁতপল্লীতে। এ দিয়ে নানা ধরণের পোশাক তৈরি করছে বুটিক হাউজগুলো। তরুণ-তরুণীদের কথা মাথায় রেখে তাঁতীরা উন্নতমানের জামদানী নকশা, সেড ও থান কাপড় তৈরি করছে। জামদানী থ্রী-পিচ আড়াই হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা এবং চেক থ্রী-পিচ এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঈদ ও বৈশাখ সামনে রেখে

ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পে ফিরেছে প্রাণ

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

রমজানের ঈদ ও পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে পাবনা-সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের তাঁত পল্লীগুলো কর্মমূখর হয়ে উঠেছে। তাঁত মালিক ও শ্রমিকেরা ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের উন্নত আধুনিক রুচিশীল শাড়ী ও লুঙ্গী। শাড়ীর উপরে বর্ণিল সুতা, ব্লক ও চুমকির কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া, কাপড়ের উপর রঙ তুলির আঁচড়ে হাতে করা হচ্ছে নান্দনিক ও মনোমুগ্ধকর নানা নকশা। আর এই নান্দনিক মনোমুগ্ধকর নানা নকশার তৈরি টেকসই কাপড়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ভারতের পশ্চিমবাংলায়।

পাবনার ঈশ্বরদী ও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, চৌহালীতে তৈরি তাঁতবস্ত্র ইতোমধ্যে ভারতসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ঈদ ও পহেলা বৈশাখ সামনে কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কাপড় তৈরি করছেন তাঁত কারখানার মালিকরা। কাপড়ের উৎপাদন বাড়াতে কাজ করে চলেছেন তাঁত শ্রমিকরা। কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের কোলাহলে সরব হয়ে উঠেছে তাঁত পল্লী। কারখানা মালিক ও শ্রমিকদের। বসে নেই নারীরা। পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নলী ভরা, সুতাপারি করা, মাড়দেয়া ও রঙ-তুলিতে নকশা আঁকাসহ কাপড় বুননোর কাজে সহযোগিতা করছে ওই এলাকার নারী শ্রমিকরা। বাজারে কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে, সেই সাথে বাড়ছে দাম। এই মূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসাবে রঙ-সুতাসহ তাঁত উপকরণের মূল্য বৃদ্ধিকেই দায়ী করছেন তাঁত কারখানা মালিকরা।

পাবনার সুজানগর উপজেলার দোগাছির তাঁত কারখানা মালিক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক মানের এবং সময় উপযোগী ডিজাইন নিয়ে আসায় দেশীয় তাঁতশিল্প প্রাণ ফিরে পেয়েছে। তাঁতীরা এ শিল্পকে আর অলাভজনক পেশা হিসাবে দেখছেন না। মানন্ধাত্তার আমলের বুনোন শৈলী ও জ্যাকেট পাইড়ের শাড়ি বাদ দিয়ে ডিজাইনারদের পরামর্শ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ শিল্পকে সমৃদ্ধ করছেন। ঈদ ও পহেলা বৈশাখ সামনে তাঁতের কাপড় বিক্রিতে এখন আর মন্দাভাব নেই। এ পেশার সাথে জড়িত সবাই এখন লাভের মুখ দেখছেন। সময় উপযোগী করে বুনোন শৈলী নান্দনিক ও মনোমুগ্ধকর নানা নকশা আর রঙের এর মাধুর্য দিয়ে তৈরি হচ্ছে এ অঞ্চলের তাঁতের কাপড়। এদিকে ঈদের বাজারে সোনার বাংলা টেক্সটাইল, ডিসেন্ট, চাচকিয়া, ওয়েষ্ট, রংধনুসহ ১২৫ ব্রান্ডের লুঙ্গি চাহিদা বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

গত সোমবার শাহজাদপুর হাটে ভারতীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ভারতের পশ্চিমবাংলার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিন ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, হুগলী, বর্ধমান, নদীয়, মূর্শীদাবাদ, মালদহ, জলপাইগুড়ি, পশ্চিমদিনাজপুর, উত্তরদিনাজপুর, দক্ষিণদিনাজপুর, কুচবিহার, হওড়া ও হুগলীসহ বিভিন্ন জেলার ছোট-বড় নামিদামী শপিংমল ও বিপণী বিতানগুলোতে বাংলাদেশে তৈরি বিভিন্ন ব্রান্ডের শাড়ী বিক্রি হয়। রমজানের ঈদ ও বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সেখানে বাংলাদেশি শাড়ীর বাজার জমে উঠতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাংগাইল, ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ জেলার তাঁত কারখানাগুলোতে তৈরি সিল্ক জামদানী, সুতি জামদানী, কাতান, সুতি কাতান, রাজশাহী সিল্ক, বেনারশী, চোষা, শেড, স্বর্ণলতা, কটন শাড়ী ভারতে রফতানি হচ্ছে। আর এই নান্দনিক মনোমুগ্ধকর নানা নকশার তৈরি উন্নতমান, টেকসই, রুচিশীল শাড়ীর দাম কম হওযায় পশ্চিমবাংলার মহিলাদের বেশি পছন্দ বাংলাদেশি শাড়ী।

পশ্চিমবাংলার শিলিগুড়ির আমদানিকারক সেলিম খাঁন জানান, রমজানের ঈদ ও পহেলা বৈশাখের বাজার ধরা জন্য পশ্চিমবাংলার আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা আতাইকুলা, শাহজাদপুরহাট, এনায়েতপুরহাট, করোটিয়াহাট, বাবুরহাট ও ডেমরাহাট থেকে শাড়ী কিনছেন। এছাড়া রাজশাহীর সিল্ক, গরদ, পাবনার ঈশ্বরদীর বেনারশি কাতান, সিরাজগঞ্জের স্বর্ণলতা, চোষা ও শেড শাড়ী, টাংগাইলের সুতি জামদানি, সিল্ক জামদানি ঢাকার মিরপুরের বেনারশি, কাতান ও নারায়নগঞ্জের ডেমরার জামদানি তাঁত কারখানাগুলোতে গিয়ে পছন্দমতো শাড়ী কিনে পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জেলার শপিংমল, বিপণীবিতানগুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে।

শাহজাদপুরের পাইকারী কাপড় ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা রমজানের ঈদ ও পহেলা বৈশাখ সামনে রেখে শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও আতাইকুলা হাট থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৪০ কোটি টাকার কাপড় কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এতে এ অঞ্চলের তাঁত শিল্প প্রাণ ফিরে পাচ্ছে।

ভারতের কলকাতার কাপড় ব্যবসায়ী গোপাল চন্দ্র সেন জানান, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের তৈরি কাপড় ভারতের কলকাতা শুভরাজ, গঙ্গা রামপুর ও পাটনাসহ বড় বড় শহরে বিক্রয় হচ্ছে। সে দেশের চেয়ে এদেশের কাপড়ের দাম তুলনামূলক কম, টেকশই এবং উন্নত মানের হওয়ায় তারা এখান থেকে কাপড় কিনছেন।

বিবিআনা, রঙ, কে-ক্রাফট ও নগরদোলাসহ দেশের শীর্ষ স্থানীয় বুটিক প্রতিষ্ঠানের কাপড় এখন সিরাজগঞ্জ-পাবনা অঞ্চলে তৈরি হয়। বুটিক হাউজগুলোর নিজস্ব ডিজাইনে রেশম সুতা, খাদি, নয়েল, ডুপিয়ান ও এন্ডি সুতা ব্যবহার করে তাতে প্যালেস ও জরি মিশ্রত করে কাপড় তৈরি করা হচ্ছে। বুটিক হাউজের ওড়না থান কাপড় ও এন্ডি থান কাপড়ের ফ্রেবিক্স তৈরি করা হচ্ছে তাঁতপল্লীতে। এ দিয়ে নানা ধরণের পোশাক তৈরি করছে বুটিক হাউজগুলো। তরুণ-তরুণীদের কথা মাথায় রেখে তাঁতীরা উন্নতমানের জামদানী নকশা, সেড ও থান কাপড় তৈরি করছে। জামদানী থ্রী-পিচ আড়াই হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা এবং চেক থ্রী-পিচ এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।