ঢাকা ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এমন কোনো সেক্টর নেই, যেখানে দুর্নীতি হয়নি: টুকু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৩:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

এমন কোনো সেক্টর নেই, যেখানে দুর্নীতি হয়নি বলে মন্তব্য করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি কাউন্সিলে অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য চলাকালে ছাত্রলীগের যে মঞ্চ ভেঙে গেছে, তাতে দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, এমন কোনো সেক্টর নেই, যেখানে দুর্নীতি হয়নি। এখন মঞ্চ তৈরিতেও লুটপাট হয়, তাই ওদের নেতা ভেঙে পড়ে যান। সর্বত্র দুর্নীতি চলছে, আজ আমি একটু অবাক হলাম যে, মঞ্চ বানাতেও লুটপাট হয় এ দলে। আবার মঞ্চে দাঁড়িয়ে এ দলের সাধারণ সম্পাদক পড়ে যান। কারণ তো ওখানেও চুরি হয়েছে। ঠিক মতো মঞ্চ তৈরি হয়নি। এখন ওদের ছাত্র সংগঠনের মধ্যেও যদিও ওদের ছাত্র সংগঠনের একজন জেলা নেতার কাছে দুই হাজার কোটি টাকা পাওয়া যায়। এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে লুটপাট হয় না এবং সেই লুটের টাকা আবার বিদেশে পাচার হয়ে যায়।

এই সরকারকে যে জনগণ চায় না, তা প্রমাণ হয়েছে। এ সরকারকে অনাস্থা জানাতে বিএনপির গণ অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

টুকু বলেন, আজ গণতন্ত্র বিলীন হয়ে গেছে, গণতন্ত্র এখন আর নেই। এখন দেশে এক গণতন্ত্র, উনি যা ইচ্ছে করেন সেটাই হয়। তাছাড়া আর কারও ইচ্ছায় চলে না। তাই আমরা একত্রিত হয়েছি যুগপৎ আন্দোলন করছি, একজনের ইচ্ছা থেকে বেরিয়ে বহুজনের ইচ্ছের দাম দেওয়ার জন্য।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আগামীতে আমরা যুগপৎভাবে যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। সেটা হবে ঐতিহাসিক প্রতিবাদ। সকলকে আহ্বান করছি, অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এ সরকারকে বুঝিয়ে দিন তাদের সঙ্গে মানুষ নেই। মনে করি জনগণ অবশ্যই এই সরকারকে বিদায় করবে। জনগণের কাছে ইয়াহিয়া খান টেকতে পারেনি, আইয়ুব খান টেকেনি, এরশাদও টেকেনি এই সরকারও টিকতে পারবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে লুটপাট হয় না। সেই টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যায়। তাদের একটি জেলার ছাত্র সংগঠনের নেতা ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমরা ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছি, সেখানে নানা রকম বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে মানুষ কয়েকদিন পূর্বেই উপস্থিত হয়েছিল। এমনকি চাল ডাল মুড়ি-চিরা নিয়ে সমাবেশস্থলে এসেছিল। এর অর্থ কী? এর অর্থ হচ্ছে জনগণ এ সরকারকে আর চায় না। সুতরাং আমরা যদি ঐক্য করতে পারি আমাদের ঐক্যের মাধ্যমে যে আন্দোলন গড়ে উঠবে তাতে এ সরকারের বিদায় নিতে হবে।

টুকু বলেন, আগামীতে আমরা যুগপৎভাবে যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব সেটা হবে ঐতিহাসিক প্রতিবাদ। সবাইকে আহ্বান করছি অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এ সরকারকে বুঝিয়ে দিন তাদের সঙ্গে মানুষ নেই। মনে করি জনগণ অবশ্যই এ সরকারকে বিদায় করবে। জনগণের কাছে ইয়াহিয়া খান টেকতে পারেনি, আইয়ুব খান টেকেনি, এরশাদ টেকেনি এ সরকারও টিকতে পারবে না।

তিনি বলেন, আজকে গণতন্ত্র বিলীন হয়ে গেছে, গণতন্ত্র এখন আর নেই। এখন এক গণতন্ত্র, উনি যা ইচ্ছে করেন সেটাই হয়। তাছাড়া আর কারো ইচ্ছায় চলে না। তাই আমরা একত্রিত হয়ে যুগপৎ আন্দোলন করছি, একজনের ইচ্ছা থেকে বেরিয়ে বহুজনের ইচ্ছের দাম দেওয়ার জন্য।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে ও কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব আকবর খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মাক্সবাদী-লেলিনবাদী লিবারেশন) পলিটব্যুরোর সদস্য কার্তিক পাল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এমন কোনো সেক্টর নেই, যেখানে দুর্নীতি হয়নি: টুকু

আপডেট সময় : ০৮:২৩:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

এমন কোনো সেক্টর নেই, যেখানে দুর্নীতি হয়নি বলে মন্তব্য করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি কাউন্সিলে অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য চলাকালে ছাত্রলীগের যে মঞ্চ ভেঙে গেছে, তাতে দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, এমন কোনো সেক্টর নেই, যেখানে দুর্নীতি হয়নি। এখন মঞ্চ তৈরিতেও লুটপাট হয়, তাই ওদের নেতা ভেঙে পড়ে যান। সর্বত্র দুর্নীতি চলছে, আজ আমি একটু অবাক হলাম যে, মঞ্চ বানাতেও লুটপাট হয় এ দলে। আবার মঞ্চে দাঁড়িয়ে এ দলের সাধারণ সম্পাদক পড়ে যান। কারণ তো ওখানেও চুরি হয়েছে। ঠিক মতো মঞ্চ তৈরি হয়নি। এখন ওদের ছাত্র সংগঠনের মধ্যেও যদিও ওদের ছাত্র সংগঠনের একজন জেলা নেতার কাছে দুই হাজার কোটি টাকা পাওয়া যায়। এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে লুটপাট হয় না এবং সেই লুটের টাকা আবার বিদেশে পাচার হয়ে যায়।

এই সরকারকে যে জনগণ চায় না, তা প্রমাণ হয়েছে। এ সরকারকে অনাস্থা জানাতে বিএনপির গণ অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

টুকু বলেন, আজ গণতন্ত্র বিলীন হয়ে গেছে, গণতন্ত্র এখন আর নেই। এখন দেশে এক গণতন্ত্র, উনি যা ইচ্ছে করেন সেটাই হয়। তাছাড়া আর কারও ইচ্ছায় চলে না। তাই আমরা একত্রিত হয়েছি যুগপৎ আন্দোলন করছি, একজনের ইচ্ছা থেকে বেরিয়ে বহুজনের ইচ্ছের দাম দেওয়ার জন্য।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আগামীতে আমরা যুগপৎভাবে যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। সেটা হবে ঐতিহাসিক প্রতিবাদ। সকলকে আহ্বান করছি, অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এ সরকারকে বুঝিয়ে দিন তাদের সঙ্গে মানুষ নেই। মনে করি জনগণ অবশ্যই এই সরকারকে বিদায় করবে। জনগণের কাছে ইয়াহিয়া খান টেকতে পারেনি, আইয়ুব খান টেকেনি, এরশাদও টেকেনি এই সরকারও টিকতে পারবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে লুটপাট হয় না। সেই টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যায়। তাদের একটি জেলার ছাত্র সংগঠনের নেতা ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমরা ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছি, সেখানে নানা রকম বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে মানুষ কয়েকদিন পূর্বেই উপস্থিত হয়েছিল। এমনকি চাল ডাল মুড়ি-চিরা নিয়ে সমাবেশস্থলে এসেছিল। এর অর্থ কী? এর অর্থ হচ্ছে জনগণ এ সরকারকে আর চায় না। সুতরাং আমরা যদি ঐক্য করতে পারি আমাদের ঐক্যের মাধ্যমে যে আন্দোলন গড়ে উঠবে তাতে এ সরকারের বিদায় নিতে হবে।

টুকু বলেন, আগামীতে আমরা যুগপৎভাবে যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব সেটা হবে ঐতিহাসিক প্রতিবাদ। সবাইকে আহ্বান করছি অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এ সরকারকে বুঝিয়ে দিন তাদের সঙ্গে মানুষ নেই। মনে করি জনগণ অবশ্যই এ সরকারকে বিদায় করবে। জনগণের কাছে ইয়াহিয়া খান টেকতে পারেনি, আইয়ুব খান টেকেনি, এরশাদ টেকেনি এ সরকারও টিকতে পারবে না।

তিনি বলেন, আজকে গণতন্ত্র বিলীন হয়ে গেছে, গণতন্ত্র এখন আর নেই। এখন এক গণতন্ত্র, উনি যা ইচ্ছে করেন সেটাই হয়। তাছাড়া আর কারো ইচ্ছায় চলে না। তাই আমরা একত্রিত হয়ে যুগপৎ আন্দোলন করছি, একজনের ইচ্ছা থেকে বেরিয়ে বহুজনের ইচ্ছের দাম দেওয়ার জন্য।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে ও কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব আকবর খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মাক্সবাদী-লেলিনবাদী লিবারেশন) পলিটব্যুরোর সদস্য কার্তিক পাল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ বক্তব্য দেন।