১০ বছর পর গাংচিল বাহিনীর দলনেতা গ্রেফতার
- আপডেট সময় : ০৩:৫৯:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৪৪৪ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
২০১২ সালে রাজধানীর শাহ আলী থানার বশির উদ্দীন বসু হত্যা মামলায় দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। হত্যাকাণ্ডের পরপরই তিনি আত্মগোপনে চলে যান। গত ১০ বছর ধরে ছদ্মবেশে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন। অবশেষে ধরা পড়লেন ‘কুখ্যাত গাঙচিল বাহিনীর অন্যতম দলনেতা’ রুহুল আমিন ওরফে লেদুকে ১০ বছর পর রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাধীন হাউজবিল্ডিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব-৪।
র্যাব বলছে, তার বিরুদ্ধে পাঁচটি ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে এবং তিনি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
গ্রেফতার রুহুল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ২০০০ সাল থেকে সাভার মডেল থানার আমিন বাজার ও তার আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার মধ্য দিয়ে উত্থান হয় গাঙচিল বাহিনীর। যার প্রধান ছিলেন আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার। সাভারের পানি বেষ্টিত বিস্তর এলাকাকে আস্তানা বানিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় এর নামকরণ হয় গাঙচিল বাহিনী। তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদীর দুই ধারে ব্যাপক পরিসরে একক অধিপত্য বিস্তার করেছিল এ বাহিনী।
র্যাব আরো জানায়, আনোয়ার হোসেন আনার নিহতের পর গাঙচিল বাহিনী কয়েকটি গ্রুপে ভেঙে গেলে একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন রুহুল আমিন। তার নেতৃত্বে এ গ্রুপের সদস্যরা আমিন বাজার, গাবতলী, ভাকুর্তা, কাউন্দিয়া, বেড়িবাঁধ, কেরানীগঞ্জ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, খুন ইত্যাদি কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। ২০১২ সালে শাহ আলী থানার বশির উদ্দীন বসু হত্যা মামলায় আদালত রুহুল আমিনকে যাবজ্জীবন সাজা দেন।
রুহুল আমীন বশির হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ততাসহ আরও পাঁচটি ডাকাতি মামলায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। হত্যাকাণ্ডের পরপরই তিনি আত্মগোপনে চলে যান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে গত ১০ বছর ধরে ছদ্মবেশে গাজীপুর, উত্তরা, টঙ্গী, বাড্ডা, রামপুরাসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে আসছিলেন। এসময় রুহুল আমীন ক্রমাগত পেশা পরিবর্তন করেন। গ্রেফতার রুহুল আমিনকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।