ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কাপ্তাইয়ে গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত স্বজনদের খুঁজছে ফারিয়া 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩০:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৬০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
মোঃ আজগর আলী খান, রাজস্থলী প্রতিনিধি :
অবিস্ফোরিত গ্রেনেড যন্ত্রাংশ বিস্ফোরণে নিহত বাবা, ভাই ও মৃত্যুশয্যায় চিকিৎসাধীন মাকে  খুুঁজে বেড়াচেছ ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া  ছোট শিশু ফারিয়া। আজ সোমবার বেলা ১১টায় দুর্ঘটনা এলাকা বাদশা মাঝির টিলায়   সরেজমিনে   গিয়ে দেখা যায় বিস্ফোরণে বেঁচে যাওয়া একমাত্র মেয়ে ইসরাত জাহান ফারিয়া(৮) খুজছে নিহত বাবা, ছোট ভাই ও মৃত্যুশয্যায় থাকা মাকে । ফারিয়া স্থানীয় দারুল আরকাম মাদরাসার ২য় শ্রেণীর ছাত্রী। দুর্ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণ আগে সে পাশের এক বাড়িতে সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল। ভাগ্যক্রমে সে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে নিহত ইসমাইলের ছোট বোন পারভিন আক্তার  ও বৃদ্ধ বাবা আশাদ উল্লাহ জানান, রবিবার পরিত্যক্ত অবস্থায়  বন হতে কুড়িয়ে পাওয়া অবিস্ফোরিত  পুরাতন কিছু গ্রেনেড যন্রাংশ নিহত ইসমাইল মিয়া  বাসায় নিয়ে আসে। এবং সন্ধ্যা ৬টায় কুড়িয়ে পাওয়া ঐ যন্রাংশ রান্নাঘরের পাশে রেখে চা খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ইসমাইল ও তার পরিবার। হঠ্যৎ গ্রেনেড যন্রাংশ বস্তুটি বিস্ফোরিত হয় ও বিকট শব্দে প্রকম্পিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। এ বিস্ফোরণে পাশে থাকা ইসমাইলের  হাতের কব্জি উড়ে যায়। শরীর ঝলসে যায়। এছাড়া পাশে থাকা তার সাড়ে ৪ বছরের শিশু রিফাতের মুখমণ্ডল ঝলসে গিয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। নিহত ইসমাইলের স্ত্রী সখিনা বেগম এ বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে চট্রগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে।
ইউপি সদস্য আবুল হোসেন জানান, বিস্ফোরণে নিহত ইসমাইলের ডান হাতের কব্জি উড়ে গেছে এবং পেট ঝলসে গেছে। ঘটনার পর হতে   গত দু’দিন যাবৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা, লোকাল প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিস্ফোরিত যন্ত্রাংশ উদ্ধার করে কাপ্তাই পুলিশ  ফাঁড়িতে নেয়া হয়েছে। লাশ সুরতহাল শেষে বিকাল ৫টায় বাদশা মাঝির টিলায়  পিতা-পুত্রের  দাফন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এএসপি সার্কেল রওশন আরা রব জানান, কিভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে তা এখন বলা যাচ্ছেনা। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তিনি আরো জানান, সৃষ্ট ঘটনায় কোন মামলা হয়নি, আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
বা/খ:জই
ছবি ও ক্যাপশন-  কাপ্তাইয়ে বিস্ফোরণে নিহত বাবা ভাই ও মৃত্যুশয্যায় চিকিৎসাধীন  মাকে খুজে বেড়াচেছ ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া ফারিয়া (কোলে)।বিস্ফোরিত রান্নাঘর।

নিউজটি শেয়ার করুন

কাপ্তাইয়ে গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত স্বজনদের খুঁজছে ফারিয়া 

আপডেট সময় : ০৭:৩০:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩
মোঃ আজগর আলী খান, রাজস্থলী প্রতিনিধি :
অবিস্ফোরিত গ্রেনেড যন্ত্রাংশ বিস্ফোরণে নিহত বাবা, ভাই ও মৃত্যুশয্যায় চিকিৎসাধীন মাকে  খুুঁজে বেড়াচেছ ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া  ছোট শিশু ফারিয়া। আজ সোমবার বেলা ১১টায় দুর্ঘটনা এলাকা বাদশা মাঝির টিলায়   সরেজমিনে   গিয়ে দেখা যায় বিস্ফোরণে বেঁচে যাওয়া একমাত্র মেয়ে ইসরাত জাহান ফারিয়া(৮) খুজছে নিহত বাবা, ছোট ভাই ও মৃত্যুশয্যায় থাকা মাকে । ফারিয়া স্থানীয় দারুল আরকাম মাদরাসার ২য় শ্রেণীর ছাত্রী। দুর্ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণ আগে সে পাশের এক বাড়িতে সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল। ভাগ্যক্রমে সে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে নিহত ইসমাইলের ছোট বোন পারভিন আক্তার  ও বৃদ্ধ বাবা আশাদ উল্লাহ জানান, রবিবার পরিত্যক্ত অবস্থায়  বন হতে কুড়িয়ে পাওয়া অবিস্ফোরিত  পুরাতন কিছু গ্রেনেড যন্রাংশ নিহত ইসমাইল মিয়া  বাসায় নিয়ে আসে। এবং সন্ধ্যা ৬টায় কুড়িয়ে পাওয়া ঐ যন্রাংশ রান্নাঘরের পাশে রেখে চা খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ইসমাইল ও তার পরিবার। হঠ্যৎ গ্রেনেড যন্রাংশ বস্তুটি বিস্ফোরিত হয় ও বিকট শব্দে প্রকম্পিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। এ বিস্ফোরণে পাশে থাকা ইসমাইলের  হাতের কব্জি উড়ে যায়। শরীর ঝলসে যায়। এছাড়া পাশে থাকা তার সাড়ে ৪ বছরের শিশু রিফাতের মুখমণ্ডল ঝলসে গিয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। নিহত ইসমাইলের স্ত্রী সখিনা বেগম এ বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে চট্রগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে।
ইউপি সদস্য আবুল হোসেন জানান, বিস্ফোরণে নিহত ইসমাইলের ডান হাতের কব্জি উড়ে গেছে এবং পেট ঝলসে গেছে। ঘটনার পর হতে   গত দু’দিন যাবৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা, লোকাল প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিস্ফোরিত যন্ত্রাংশ উদ্ধার করে কাপ্তাই পুলিশ  ফাঁড়িতে নেয়া হয়েছে। লাশ সুরতহাল শেষে বিকাল ৫টায় বাদশা মাঝির টিলায়  পিতা-পুত্রের  দাফন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এএসপি সার্কেল রওশন আরা রব জানান, কিভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে তা এখন বলা যাচ্ছেনা। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তিনি আরো জানান, সৃষ্ট ঘটনায় কোন মামলা হয়নি, আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
বা/খ:জই
ছবি ও ক্যাপশন-  কাপ্তাইয়ে বিস্ফোরণে নিহত বাবা ভাই ও মৃত্যুশয্যায় চিকিৎসাধীন  মাকে খুজে বেড়াচেছ ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া ফারিয়া (কোলে)।বিস্ফোরিত রান্নাঘর।