তাড়াশে পেয়াজ-রসুনের বীজের দাম বেশি, আবাদে কৃষকদের বাড়ছে খরচ
শস্যভান্ডারখ্যাত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কৃষকেরা এখন আগাম পেঁয়াজ ও রসুনের বীজ রোপণ করেছেন। কৃষকদের চাষাবাদ শেষে আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে ফসল ঘরে তোলা শুরু হবে। কৃষকেরা জানান, এবছর বীজের অস্বাভাবিক দাম ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের জন্য কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু বীজে যদি এত টাকা লাগে, তাহলে রাসায়নিক সার, কীটনাশক, ওষুধ, সেচ, কৃষি শ্রিিমকসহ অন্য খরচ জোগানো অনেকের সাধ্যের বাইরে চলে যায়।
কৃষি অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলাতে চলতি বছর রসুন ৬৫০ হেক্টর ও পেঁয়াজ ১০০ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের নাদোসৈয়দপুর গ্রামের কৃষক ইমান আলী জানান, চলনবিলের তাড়াশ উপজেলাসহ তিন উপজেলার যে আবাদ হবে, তার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বীজ বাজার থেকে কেনা। পেঁয়াজ-রসুন ওঠার পর কৃষক কিছু অংশ বাছাই করে বীজ হিসেবে রাখেন। এগুলো আট থেকে ৯ মাস বাড়িতে সংরক্ষণ করেন। সেগুলোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
জানা যায়, পেঁয়াজ-রসুনের বীজের জন্য চাঁচকৈড়, কাছিকাটা, নওগাঁ, হান্ডিয়াল, মির্জাপুর, সাইকোলা, ধামাইচ হাট, সিংড়া, কলম ও কালীগঞ্জ। এগুলোসহ ১৫ থেকে ২০টি সাপ্তাহিক হাট-বাজারে শুক্র ও শনিবার প্রতি মণ রসুন বীজ বিক্রি হয়েছে ৯ হাজার ৬০০ থেকে ১০ হাজার টাকায়। গত বছর ছিল সাড়ে ৭ হাজার টাকা। এ বছর পেঁয়াজ বীজ বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৮০০ টাকা মণ, যা গত বছর ছিল সাড়ে ৩ হাজার টাকা।
তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ হাটে বিজ বিক্রেতা নুর ইসলাম বলেন, এ বছর পেঁয়াজ-রসুনের দাম বেশি। সারা বছরই খাবারযোগ্য পেয়াজ -রসুনের চেয়ে বীজের দাম বেশি থাকে। সগুনা ইউনিয়নের বিন্নাবাড়ি গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ভালো ফলন হলে রসুন ৩৫ থেকে ৪০ মণ ও পেঁয়াজ ৮০মণ থেকে ৯০ মণ পাওয়া যায় ।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, পেঁয়াজ-রসুনের বীজের দাম কিছুটা চড়া। আবাদে ভালো ফলন হলে কৃষক পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাখ//এস