০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাগুরার শালিখার চটার বিলের জলাবদ্ধতায় কৃষকের সিমাহীন কষ্ট

নওয়াব আলী, মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়ার পূর্ব পাশের চটার বিলে জলাবদ্ধতার কারনে কৃষকের সিমাহীন কষ্ট সৃষ্টি হয়েছে। ফসল কাটা, ফসল ঘরে তোলা, নতুন ফসল উৎপাদনের বিঘ্ন হওয়ায় কৃযক অর্থনৈতীক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ মাঠের চারপাশের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো হলো

আড়পাড়া, দরিশলই, ফুলবাড়ী,আনন্দনগর, পুকুরিয়া ও কুমোর কোটা।এই ৭ গ্রামের মানুষ মাঠের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ধান কাটতে পারছে না।পানির মধ্যে ধান কাটলে একদিকে বিছালি হচ্ছেনা অপর দিকে ধান কাটা ও বাড়ীতে নিতে অতিরিক্ত শ্রমিকের বিল গুনতে হচ্ছে।বাড়ীতে ফসল নেয়ার পরও খড় থেকে ফসল ছড়ানো ও সংরক্ষণে নারীদের অধিক কষ্ট করতে হচ্ছে। পানি নিষ্কাশন না হওয়ার কারণে রবি মৌসুমেও পানি নিষ্কাশন না হওয়ার কারণে রবি ফসল উৎপাদন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।যা এই এলাকার কৃষক কে অর্থনৈতিকভাবে বড় রকম বিপর্যয়ের মুখে ফেলতে পারে।

এ ব্যাপারে আমাদের প্রতিবেদক পাশের বিভিন্ন গ্রামের নিম্নোক্ত কৃষকের সাথে আলোচনা করে। দরিশলই গ্রামের আনিচুর মোল্লা, আক্তার মোল্লা, ছাকা মোল্লা। আড়পাড়া গ্রামের আছাদ মোল্লা (০১৭২৭৯৬১৮৬১), কল্লোল শেখ, কায়েম মোল্লা। পুকুরিয়া গ্রামের সাবেক মেম্বার বজলুর রমমান, মনজুর রহমান বিশ্বাস, মীর মুসতাক আহম্মদ। আনন্দ নগর গ্রামের বারিক মোল্লা, লিটন মোল্লা, ওমর মাষ্টার। ফুলবাড়ী গ্রামের হামজা মুন্সি, মুতালেব বিশ্বাস, বিপ্লব মুন্সি, আক্তার মুন্সি ও কুমোর কোটা গ্রামের মাসুম শিকদার, জিল্লু শিকদার, বাবলু শিকদার।

তারা সকলেই জানান জলাবদ্ধতার কারণে ধান কাটতে পারছে না। শ্রমিক খরচ বেশী,বিছালী হচ্ছে না,নারীরা ফসল সারতে অধিক কষ্ট পাচ্ছে। রবি ফসল উৎপাদন অনিশ্চয়াতার মধ্যে পড়েছে।

তাদের কতৃপক্ষের কাছে দাবী খাল খনন অথবা বিকল্প ভাবে পনি নিস্কাশন ব্যবস্থা নেয়ে।তা নাহলে এলাকার কৃষকের অর্থনৈতিকভাবে বড় রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১০:১৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
৪৫ জন দেখেছেন

মাগুরার শালিখার চটার বিলের জলাবদ্ধতায় কৃষকের সিমাহীন কষ্ট

আপডেট : ১০:১৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়ার পূর্ব পাশের চটার বিলে জলাবদ্ধতার কারনে কৃষকের সিমাহীন কষ্ট সৃষ্টি হয়েছে। ফসল কাটা, ফসল ঘরে তোলা, নতুন ফসল উৎপাদনের বিঘ্ন হওয়ায় কৃযক অর্থনৈতীক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ মাঠের চারপাশের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো হলো

আড়পাড়া, দরিশলই, ফুলবাড়ী,আনন্দনগর, পুকুরিয়া ও কুমোর কোটা।এই ৭ গ্রামের মানুষ মাঠের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ধান কাটতে পারছে না।পানির মধ্যে ধান কাটলে একদিকে বিছালি হচ্ছেনা অপর দিকে ধান কাটা ও বাড়ীতে নিতে অতিরিক্ত শ্রমিকের বিল গুনতে হচ্ছে।বাড়ীতে ফসল নেয়ার পরও খড় থেকে ফসল ছড়ানো ও সংরক্ষণে নারীদের অধিক কষ্ট করতে হচ্ছে। পানি নিষ্কাশন না হওয়ার কারণে রবি মৌসুমেও পানি নিষ্কাশন না হওয়ার কারণে রবি ফসল উৎপাদন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।যা এই এলাকার কৃষক কে অর্থনৈতিকভাবে বড় রকম বিপর্যয়ের মুখে ফেলতে পারে।

এ ব্যাপারে আমাদের প্রতিবেদক পাশের বিভিন্ন গ্রামের নিম্নোক্ত কৃষকের সাথে আলোচনা করে। দরিশলই গ্রামের আনিচুর মোল্লা, আক্তার মোল্লা, ছাকা মোল্লা। আড়পাড়া গ্রামের আছাদ মোল্লা (০১৭২৭৯৬১৮৬১), কল্লোল শেখ, কায়েম মোল্লা। পুকুরিয়া গ্রামের সাবেক মেম্বার বজলুর রমমান, মনজুর রহমান বিশ্বাস, মীর মুসতাক আহম্মদ। আনন্দ নগর গ্রামের বারিক মোল্লা, লিটন মোল্লা, ওমর মাষ্টার। ফুলবাড়ী গ্রামের হামজা মুন্সি, মুতালেব বিশ্বাস, বিপ্লব মুন্সি, আক্তার মুন্সি ও কুমোর কোটা গ্রামের মাসুম শিকদার, জিল্লু শিকদার, বাবলু শিকদার।

তারা সকলেই জানান জলাবদ্ধতার কারণে ধান কাটতে পারছে না। শ্রমিক খরচ বেশী,বিছালী হচ্ছে না,নারীরা ফসল সারতে অধিক কষ্ট পাচ্ছে। রবি ফসল উৎপাদন অনিশ্চয়াতার মধ্যে পড়েছে।

তাদের কতৃপক্ষের কাছে দাবী খাল খনন অথবা বিকল্প ভাবে পনি নিস্কাশন ব্যবস্থা নেয়ে।তা নাহলে এলাকার কৃষকের অর্থনৈতিকভাবে বড় রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাখ//আর