মাগুরার শালিখাতে সরকারি রাস্তার গাছ বিক্রির অভিযোগ
মগুরার শালিখাতে ভূমি অফিসের সহযোগিতায় পাচকাহুনিয়া গ্রামে সরকারি রাস্তার গাছ কাটার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সুত্রে জানাযায় শালিখা উপজেলার পাঁচকাহুনিয়া গ্রামের অধিবাসী। এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, পাঁচকাহুনিয়া গ্রামের মধ্য কুতুব মিনার বাড়ির পাশের সরকারি রাস্তার পাশের সরকারি ১২টি মেহগনি গাছ ভূমি অফিসের সহযোগিতায় সোহেলুর জামান চঞ্চলের স্ত্রী রওশন জামিল লাকি ও তার শ্বশুর আসাদুজ্জামান বিক্রি করে নিয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা।
প্রথমে একটি গাছ কাটলে শতখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিস ওই গাছটি জব্দ করে। এর এক সপ্তাহ পরে গত শুক্রবার ৮ নভেম্বর ২০২৪ অবশিষ্ট গাছসহ পূর্বের কাটা গাছটিও বিক্রি করে ফেলে লাকি নামের ঐ নারী। ইতি পূর্বে অনেকবার গাছ গুলো সরকারী ভাবে মাপা হয়েছে আমরা গ্রামবাসী জেনেছি যে গাছগুলো সবই সরকারি।
বর্তমানে শতখালি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব মোহাম্মদ ইনামুল হক ও লাকি জোকসাঁজে এই গাছগুলি নাটকীয় কায়দায় মেপে বিক্রি করে দিয়েছে। গাছগুলি মাপার সময় ভূমি অফিসের লোকজন ও লাকি ছাড়া গ্রামের আর কেউ ছিলনা বলে অনেকে বলেন।
এ ব্যাপারে আমজাদ মাস্টারসহ অনেকেই বলেন, এ পর্যন্ত এ রাস্তায় প্রায় ২০ বার মাপা হয়েছে। প্রত্যেকবার গাছগুলি রাস্তার সীমানায় পড়েছে। যে কারণে ইতিপূর্বে বারবার চেষ্টা করেও গাছগুলো কাটতে পারেনি। পুনরায় গাছগুলো মাপার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তারা।
এ ব্যাপারে নায়েব এনামুল হক বলেন, প্রথমে একটা গাছ কাটলে পূর্বের নায়েব দাউদ হোসেন গাছটি আটকায় রেখে।তিনি অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যায়। গত শুক্রবারে আমরা রাস্তা মেপে দেখি যে রাস্তা আছে ১০ ফুট। গাছগুলো সম্পূর্ণ রাস্তার বাইরে। ম্যাপ করে এস কেস তৈরি করে মহিলাকে দিয়ে এসেছি। তবে সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়,অনেক গাছ কাঁচা রাস্তার উপরে ও গাছের শিকড় গুলো একেবারেই রাস্তার উপরে রয়েছে। পুনরায় মাপা হলে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছগুলি আত্মসাৎ এর আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
বাখ//আর