চাখার ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা টুকুকে অবরুদ্ধ করে মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চাখার ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকুকে অবরুদ্ধ করে তার মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকাল ৩ টার দিকে চাখার বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকু জানিয়েছেন।
অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে বলেও জানান তিনি। ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকু বলেন, চাখার বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় অগ্রনী ব্যাংকে তার হিসাব নম্বরের ষ্টেটমেন্ট (বিবৃতি) আনতে গিয়েছিলেন। ষ্টেটমেন্ট নিয়ে বের হওয়ার সময় নিচ থেকে একজন তাকে ফোন করে। সে তাকে জানায়, বের হলেই তার উপর হামলা হবে। তখন তিনি আর ব্যাংক থেকে বের হননি।
এক পর্যায় দেখতে পান ব্যাংকের সামনে থাকা তার মোটর সাইকেলটি অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পরে তিনি থানার ওসিকে ফোন করে তাকে উদ্ধারের অনুরোধ করেন। সন্ধ্যার দিকে ওসি এসে তাকে উদ্ধার করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, চাখার ইউনিয়ন যুবদল নেতা মনির সরদার, তার ছেলে নিহাল সরদার ও উপজেলা ছাত্রদলের বহিস্কৃত আহবায়ক রুবেলের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
বানারীপাড়া থানার ওসি মো. মোস্তফা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল ইসলাম টুকুকে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী ধাওয়া দেয়। তখন তিনি গিয়ে একটি ব্যাংকে আশ্রয় নেয়। তখন বিএনপির নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। তারা গিয়ে মোটরসাইকেলের আগুন নিভিয়ে ফেলেছে।
ওসি আরো জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সেখানে পাঠানো পুলিশ সদস্যদের সাথে আসতে সাহস পায়নি। তাই সন্ধ্যার পর গিয়ে ব্যাংক থেকে তাকে উদ্ধারকরে হেফাজতে নিয়েছেন। রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো.শাহ আলম মিঞা বলেন, তিনি (সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকু) একটি মামলার আসামী। তাই তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তার মোটরসাইকেল অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, এমন সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ আমি পায়নি। প্রসঙ্গত, এর আগে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে চাখার ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশ করে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকুর ওপর একই গ্রুপ হামলা করেছিল।
বাখ//এস