০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুয়াকাটায় হোটেলে হামলার অভিযোগ

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শ্রমিক দলের নেতৃত্বে হোটেল সাগরে হামলার অভিযোগ করেছেন হোটেল মালিক পৌর বিএনপি নেতা ডাঃ এম এ মান্নান চৌধুরী। অপরদিকে পাল্টা অভিযোগ করেন শ্রমিক দল। কুয়াকাটায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের রাজনৈতিক অবস্থান দিন দিন নষ্ট হচ্ছে দলের অন্তরদন্দের কারনে। কুয়াকাটা পৌর বিএনপির রাজনৈতিক ইমেজ এমন চলতে থাকলে যে কোন দিন ঘটতে পারে প্রাণহানীর মতো ঘটনা।
৫ আগষ্টের পরে রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তনের পরে বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটে কুয়াকাটা পৌর বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে। সর্বশেষ এমন ঘটনা ঘটে পৌর বিএনপির সহ সভাপতি ডাঃ এম এ মান্নান চৌধুরীর আবাসিক হোটেল সাগরে। হোটেল কতৃপক্ষ অভিযোগ করেন হোটেলে হামলা চালায়  কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জলিল চুকানী ও তার লোকজন। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে এমন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ডাঃ এম এ মান্নান চৌধুরী জানান, শিরু মোল্লার একটি সমস্যা মিমাংসা করার জন্য শালিশের মাধ্যমে সমাধান করতে সময় নির্ধারণ করে কুয়াকাটা পৌর বিএনপি। কিন্তু শালিসি শুরু হলে নির্দিষ্ট সময় এবং স্থানে শ্রমিক দলের কেউ আসেনি। এরপর শালিশী শেষ হলে রাস্তায় বের হতেই পৌর বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা হয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জলিল চুকানীর সঙ্গে। শালিশিতে উপস্থিত হয়নি কেন এমন প্রশ্নে শুরু হয় হট্টগোল। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের তোপের মুখে শটকে পড়ে।এটপর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এ ঘটনার পঁনেরো থেকে বিষ মিনিট পরে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি মোটরসাইকেল বহর এসে আমার মালিকানাধীন আবাসিক হোটেল সাগরে হামলা চালায় শ্রমিক দলের লোকজন।
এবিষয় কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জলিল চুকানী বলেন, আমাকে হোটেল সাগরের সামনে ডেকে মারধর করে এবং আটকানোর চেষ্টা করলে আমি নিজেকে বাঁচতে ওখান থেকে দৌড়ে পাশের হোটেল গাজি প্যালেসে যাই। পরে আমি ওখান থেকে বের হওয়ার জন্য আমার শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের আসতে বলি এবং তারা আসলে আমি বের হয়ে চলে যাই। এর বাইরে ওখানে আর কোন ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরো বলেন, আমার নামে যে সমস্থ অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমি বা আমার কোন লোকজন হোটেলে হামলা চালায়নি।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে ফোর্স পাঠাই এবং পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হই। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৪:০৪:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
৭৪ জন দেখেছেন

কুয়াকাটায় হোটেলে হামলার অভিযোগ

আপডেট : ০৪:০৪:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শ্রমিক দলের নেতৃত্বে হোটেল সাগরে হামলার অভিযোগ করেছেন হোটেল মালিক পৌর বিএনপি নেতা ডাঃ এম এ মান্নান চৌধুরী। অপরদিকে পাল্টা অভিযোগ করেন শ্রমিক দল। কুয়াকাটায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের রাজনৈতিক অবস্থান দিন দিন নষ্ট হচ্ছে দলের অন্তরদন্দের কারনে। কুয়াকাটা পৌর বিএনপির রাজনৈতিক ইমেজ এমন চলতে থাকলে যে কোন দিন ঘটতে পারে প্রাণহানীর মতো ঘটনা।
৫ আগষ্টের পরে রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তনের পরে বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটে কুয়াকাটা পৌর বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে। সর্বশেষ এমন ঘটনা ঘটে পৌর বিএনপির সহ সভাপতি ডাঃ এম এ মান্নান চৌধুরীর আবাসিক হোটেল সাগরে। হোটেল কতৃপক্ষ অভিযোগ করেন হোটেলে হামলা চালায়  কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জলিল চুকানী ও তার লোকজন। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে এমন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ডাঃ এম এ মান্নান চৌধুরী জানান, শিরু মোল্লার একটি সমস্যা মিমাংসা করার জন্য শালিশের মাধ্যমে সমাধান করতে সময় নির্ধারণ করে কুয়াকাটা পৌর বিএনপি। কিন্তু শালিসি শুরু হলে নির্দিষ্ট সময় এবং স্থানে শ্রমিক দলের কেউ আসেনি। এরপর শালিশী শেষ হলে রাস্তায় বের হতেই পৌর বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা হয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জলিল চুকানীর সঙ্গে। শালিশিতে উপস্থিত হয়নি কেন এমন প্রশ্নে শুরু হয় হট্টগোল। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের তোপের মুখে শটকে পড়ে।এটপর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এ ঘটনার পঁনেরো থেকে বিষ মিনিট পরে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি মোটরসাইকেল বহর এসে আমার মালিকানাধীন আবাসিক হোটেল সাগরে হামলা চালায় শ্রমিক দলের লোকজন।
এবিষয় কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জলিল চুকানী বলেন, আমাকে হোটেল সাগরের সামনে ডেকে মারধর করে এবং আটকানোর চেষ্টা করলে আমি নিজেকে বাঁচতে ওখান থেকে দৌড়ে পাশের হোটেল গাজি প্যালেসে যাই। পরে আমি ওখান থেকে বের হওয়ার জন্য আমার শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের আসতে বলি এবং তারা আসলে আমি বের হয়ে চলে যাই। এর বাইরে ওখানে আর কোন ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরো বলেন, আমার নামে যে সমস্থ অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমি বা আমার কোন লোকজন হোটেলে হামলা চালায়নি।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে ফোর্স পাঠাই এবং পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হই। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাখ//আর