রাউজানে অবৈধ চার ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর
চট্টগ্রামের রাউজানে অবৈধ চারটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। একই সাথে একটি ইটভাটাকে তিন লাখ টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে এ সস্থাটি।আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের রাবার বাগান সংলগ্ন মেলুয়া এলাকায়।
এই অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তার। এ সময় সেনাবাহিনী, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সহযোগিতায় এম.আর.সি, ডি.এন.সি, কে.বি ডাব্লিউ ও বি.বি.সি-২ নামের চারটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জে.বি.এল নামে একটি ইটভাটাকে তিন লাখ টাকা জরিমান প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন ইনকিলাবকে বলেন ইটভাটার চিমনী ১ শ ২০ ফুট উচ্চতা,রাবার বাগান ঘেঁসে ইটভাটা স্থাপন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় চারটি অবৈধ ইটভাটা সর্ম্পূণ ভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জে.বি.এল নামের ইটভাটার মালিক মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে পাহাড় কাটার অভিযোগে তিন লাখ টাকা অর্থ দন্ড দেওয়া হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, অবৈধ ইটভাটায় অভিযান আমাদের নিয়মিত অংশ। এ অভিযান অব্যহত থাকবে। বিগত সরকার আমলে আইনকে বৃদ্বাঙ্গুলী দেখিয়ে যারা অবৈধ ইটভাটা করেছে তাদের কেহ ছাড় পাবেনা। অনেকেই এ সময়ে এসে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে রাজনৈতিক কোলষ পাল্টাতে শুরু করেছেন বলে জানান বিগত সময় বিভিন্ন কায়দায় নির্যাতিত অনেক ব্যবসায়ি, রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা।
ইটভাটায় জড়িত অনেকেই বলেন ইটভাটা যেহেতু শিল্প প্রতিষ্টানের মত, সেখানে শত শত বেকার মানুষের কর্মসংস্থান হয়ে বেকারত্ব দুর হয়। সেক্ষেত্রে নিয়ম কানুনের মাধ্যমে ইটভাটাকে বাচিয়ে রাখতে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান তারা। ইটভাটার মাধ্যমে অনেক গরিব মানুষ, ট্রাক চালক, হেলপার, জিপ চালক, শ্রমিকের রুজি রুটির ব্যবস্থা হয়ে থাকে। সেটি বিবেচনায় রেখে ইটভাটার আইন সংস্কারের দাবী জানান ইটভাটা মালিকরা।
বাখ//এস