০৬:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে সাবেক কমিশনার-ডিআইজিসহ ২২১ জনের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার-ডিআইজিসহ ২২১ জনের নামে বিস্ফোরক আইনে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মামলাটি দায়ের করেছেন জেলার পবা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে মারুফ মর্তুজা। রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফয়সল তারেক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) তৎকালীন কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রেঞ্জ ডিআইজি আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বশাক, বোয়ালিয়া জোনের ডিসি বিভূতি ভূষণ ব্যানার্জি, আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এডিসি উৎপল কুমার চৌধুরী, ডিবির তৎকালীন ওসি মশিয়ার রহমান, বোয়ালিয়া থানার ওসি হুমায়ুন কবির, ওসি তদন্ত আমিরুল ইসলাম, কর্ণহার থানার ওসি কমল কুমার দেব, কাটাখালীর ওসি তৌহিদুর রহমান, বোয়ালিয়া থানার এসআই কিংকর, এয়ারপোর্ট থানার এসআই আবদুর রহিম, রাজপাড়া থানার এসআই কাজল নন্দি, বোয়ালিয়া থানার এসআই ইফতেখায়ের আলম, কাটাখালী থানার কনস্টেবল ফুলবাস, বোয়ালিয়ার কনস্টেবল আশরাফুল, রাজপাড়ার এসআই মানিক, মানিক এএসআই রাজপাড়া থানা, রাজপাড়া থানার এএসআই প্রণব, কর্ণহারের এএসআই তসলিম ও এএসআই সিরাজ নাম রয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তালাইমারি মোড় থেকে মারুফ মুর্তজা প্রায় দুই হাজার ছাত্র-জনতার সঙ্গে পশ্চিমে শহরের দিকে রওনা দেন। দুপুর সোয়া ১টার দিকে বোয়ালিয়া থানা এলাকার পৌঁছালে আরএমপির কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে করে মারুফ মুর্তজাসহ আরও অনেকে আহত হন।

এ সময় দুটি গুলি তার পায়ে এসে লাগে। পরে উপস্থিত ছাত্র-জনতা মারুফ মুর্তজাসহ অন্যান্য আহতদের নওদাপাড়ায় অবস্থিত ইসলামি ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। মারুফ চিকিৎসা শেষে আসামিদের নাম সংগ্রহ করে থানায় মামলা করতে গেলে ডিউটি অফিসার আদালতে মামলার পরামর্শ দেন। মামলার বাদী অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করেন।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৩:৪৩:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪
৯২ জন দেখেছেন

রাজশাহীতে সাবেক কমিশনার-ডিআইজিসহ ২২১ জনের নামে মামলা

আপডেট : ০৩:৪৩:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার-ডিআইজিসহ ২২১ জনের নামে বিস্ফোরক আইনে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মামলাটি দায়ের করেছেন জেলার পবা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে মারুফ মর্তুজা। রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফয়সল তারেক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) তৎকালীন কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রেঞ্জ ডিআইজি আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বশাক, বোয়ালিয়া জোনের ডিসি বিভূতি ভূষণ ব্যানার্জি, আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এডিসি উৎপল কুমার চৌধুরী, ডিবির তৎকালীন ওসি মশিয়ার রহমান, বোয়ালিয়া থানার ওসি হুমায়ুন কবির, ওসি তদন্ত আমিরুল ইসলাম, কর্ণহার থানার ওসি কমল কুমার দেব, কাটাখালীর ওসি তৌহিদুর রহমান, বোয়ালিয়া থানার এসআই কিংকর, এয়ারপোর্ট থানার এসআই আবদুর রহিম, রাজপাড়া থানার এসআই কাজল নন্দি, বোয়ালিয়া থানার এসআই ইফতেখায়ের আলম, কাটাখালী থানার কনস্টেবল ফুলবাস, বোয়ালিয়ার কনস্টেবল আশরাফুল, রাজপাড়ার এসআই মানিক, মানিক এএসআই রাজপাড়া থানা, রাজপাড়া থানার এএসআই প্রণব, কর্ণহারের এএসআই তসলিম ও এএসআই সিরাজ নাম রয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তালাইমারি মোড় থেকে মারুফ মুর্তজা প্রায় দুই হাজার ছাত্র-জনতার সঙ্গে পশ্চিমে শহরের দিকে রওনা দেন। দুপুর সোয়া ১টার দিকে বোয়ালিয়া থানা এলাকার পৌঁছালে আরএমপির কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে করে মারুফ মুর্তজাসহ আরও অনেকে আহত হন।

এ সময় দুটি গুলি তার পায়ে এসে লাগে। পরে উপস্থিত ছাত্র-জনতা মারুফ মুর্তজাসহ অন্যান্য আহতদের নওদাপাড়ায় অবস্থিত ইসলামি ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। মারুফ চিকিৎসা শেষে আসামিদের নাম সংগ্রহ করে থানায় মামলা করতে গেলে ডিউটি অফিসার আদালতে মামলার পরামর্শ দেন। মামলার বাদী অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করেন।

বাখ//আর