০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেমের টানে তুরস্কের যুবক শাহজাদপুরে!

জহুরুল ইসলাম
কথায় আছে প্রেম মানে না কোন বাধা আর কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ভালোবাসার জন্য বিশ্ব সংসার তন্নতন্ন করে খুঁজেছিলেন ১০৮টা নীল পদ্ম। তাইতো সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশী তরুণীর প্রেমের টানে তুরস্কের যুবক ছুটে এলেন বদ্বীপে।
বাংলাদেশের হেমন্তের শান্ত আবহাওয়া, কার্তিকের পলিমাটির উপর সবুজের থরোথরো কম্পন আর গ্রামের সহজসরল মানুষের জীবনযাপনে মুগ্ধ তুরস্কের এই যুবক। তাইতো হাজার হাজার মাইলের দূরত্ব ঘুচিয়ে ৩ বছরের প্রেমের সম্পর্ককে পরিণতি দিতে বিয়ে করে ফেললেন বাংলাদেশী তরুণী মল্লিকাকে।
মল্লিকা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের কাকিলামারি গ্রামের দলিল লেখক কামরুজ্জামান মানিকের কন্যা। ৩ বছর আগে   সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্ট্রাগ্রামে নিজের আইডিতে নিজের ছবি পোস্ট করেন মল্লিকা। সেই ছবি দেখে পছন্দ করে ফেলেন তুরস্কের যুবক মুস্তফা ফাইক। এরপর থেকে শুরু হয় ভাবের আদান প্রদান। তারপর শুরু হয় প্রেম।
দীর্ঘদিনের প্রেমের পরিণতি দিতে সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গত রবিবার (২ নভেম্বর)  বাংলাদেশে আসেন তুরস্কের যুবক মুস্তফা ফাইক। অবশেষে দুই পরিবারের সম্মতিতে মুস্তফা এবং মল্লিকা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সোমবার রাতে। ভিসা প্রসেসিং শেষে তুরস্কে পাড়ি দিবেন বলেও জানান এই দম্পতি।
মুস্তফা ফাইকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বাংলাদেশে এসেছেন প্রেমের টানেই এবং পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে করেছেন মল্লিকাকে।  তাকে বিয়ে করতে পেরে তিনি আনন্দিত ও উৎফুল্ল। সেইসাথে বাংলাদেশের মানুষ ও প্রকৃতি অনেক সুন্দর বলে জানান এই যুবক। এদিকে মল্লিকা তিন বছরের সম্পর্ক বিয়েতে পরিণতি পাওয়ায় খুশিতে আত্মহারা।  ভিসা প্রসেসিং শেষ হলেই পাড়ি জমাবেন তুরস্কে।
মল্লিকার মা ও স্বজনেরা এমন বিয়ে মেনে নিয়ে তারাও আনন্দ প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে এলাকাবাসী এ খবর পেয়ে দলে দলে ভীড় জমাচ্ছে মল্লিকার বাড়িতে। এলাকার সকলেই বিদেশি জামাই পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠেছে।
বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৭:১০:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
৩১৩ জন দেখেছেন

প্রেমের টানে তুরস্কের যুবক শাহজাদপুরে!

আপডেট : ০৭:১০:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
কথায় আছে প্রেম মানে না কোন বাধা আর কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ভালোবাসার জন্য বিশ্ব সংসার তন্নতন্ন করে খুঁজেছিলেন ১০৮টা নীল পদ্ম। তাইতো সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশী তরুণীর প্রেমের টানে তুরস্কের যুবক ছুটে এলেন বদ্বীপে।
বাংলাদেশের হেমন্তের শান্ত আবহাওয়া, কার্তিকের পলিমাটির উপর সবুজের থরোথরো কম্পন আর গ্রামের সহজসরল মানুষের জীবনযাপনে মুগ্ধ তুরস্কের এই যুবক। তাইতো হাজার হাজার মাইলের দূরত্ব ঘুচিয়ে ৩ বছরের প্রেমের সম্পর্ককে পরিণতি দিতে বিয়ে করে ফেললেন বাংলাদেশী তরুণী মল্লিকাকে।
মল্লিকা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের কাকিলামারি গ্রামের দলিল লেখক কামরুজ্জামান মানিকের কন্যা। ৩ বছর আগে   সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্ট্রাগ্রামে নিজের আইডিতে নিজের ছবি পোস্ট করেন মল্লিকা। সেই ছবি দেখে পছন্দ করে ফেলেন তুরস্কের যুবক মুস্তফা ফাইক। এরপর থেকে শুরু হয় ভাবের আদান প্রদান। তারপর শুরু হয় প্রেম।
দীর্ঘদিনের প্রেমের পরিণতি দিতে সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গত রবিবার (২ নভেম্বর)  বাংলাদেশে আসেন তুরস্কের যুবক মুস্তফা ফাইক। অবশেষে দুই পরিবারের সম্মতিতে মুস্তফা এবং মল্লিকা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সোমবার রাতে। ভিসা প্রসেসিং শেষে তুরস্কে পাড়ি দিবেন বলেও জানান এই দম্পতি।
মুস্তফা ফাইকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বাংলাদেশে এসেছেন প্রেমের টানেই এবং পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে করেছেন মল্লিকাকে।  তাকে বিয়ে করতে পেরে তিনি আনন্দিত ও উৎফুল্ল। সেইসাথে বাংলাদেশের মানুষ ও প্রকৃতি অনেক সুন্দর বলে জানান এই যুবক। এদিকে মল্লিকা তিন বছরের সম্পর্ক বিয়েতে পরিণতি পাওয়ায় খুশিতে আত্মহারা।  ভিসা প্রসেসিং শেষ হলেই পাড়ি জমাবেন তুরস্কে।
মল্লিকার মা ও স্বজনেরা এমন বিয়ে মেনে নিয়ে তারাও আনন্দ প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে এলাকাবাসী এ খবর পেয়ে দলে দলে ভীড় জমাচ্ছে মল্লিকার বাড়িতে। এলাকার সকলেই বিদেশি জামাই পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠেছে।
বাখ//আর