কুয়াকাটায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে
সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত লাগোয়া বেলাভূমি এবং সৈকতে যাওয়া সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১০ টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়। এ অভিযান চলবে আরো দুইদিন।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্দেশে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন এ অভিযান চালায়। এর আগে নোটিশ ও মাইকিং করে অবৈধ স্থাপনার সরিয়ে নিয়ে অন্য জায়গায় স্থানান্তরের জন্য বারবার অনুরোধ করা হলে অনেকে সরিয়ে নেয় তবে যারা সরিয়ে নেয়নি তাঁদেরকে গুড়িয়ে দেয়। কুয়াকাটা সৈকতের সৌন্দর্য ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সৈকত এলাকায় স্থায়ী ও অস্থায়ী ভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট ভেকু মেশিন দিয়ে ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়।জানা যায়, সৈকতের জিরো পয়েন্টের পশ্চিম ও পুর্বপাশে এলোমেলো ভাবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা চৌকি, বস্তা পলিথিন দিয়ে খাবার হোটেল, ঝিনুক, পানের দোকান এবং অস্থায়ী ব্যবসা করছিল। সৌন্দর্য বাড়ানোসহ পর্যটকরা যাতে সৈকত এলাকায় নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন এজন্য এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক কৌশিক আহমেদ এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, কুয়াকাটা পৌরসভা, মহিপুর থানা পুলিশ উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা করে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যেখানে সেখানে দোকানপাট, খাবার হোটেল ও অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে সরকারি জমি দখল করে ব্যবসা করছিল। সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষা এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এসব স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। তবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অস্থায়ীভাবে ট্যুরিজম পার্ক এর পুর্ব পাশে বসানো হয়েছে।
সরকারি ভূমিতে যথাযথ কতৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোন ধরণে স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ বেআইনি। বিশেষ করে সড়কের পাশের ভূমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ জনচলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। সড়কের দুপাশের সৌন্দয্য নষ্ট করে এমন জবরদখল চলতে দেয়া যায় না। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাখ//এস