০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিদিনের খোঁজে ভালোবাসা বাঁচে!

বাবা-মায়ের সাথে রোজ সময় করে কথা হয়? নিয়মিত খোঁজ নেন? যতগুলো ব্যপারে আক্ষেপ হবে তার মধ্যে বাবা-মায়ের সাথে কথা বলতে না পারাটা প্রধান হবে। আমাদের ব্যস্ততা যেন আমাদের থেকে রত্নদের হারিয়ে না দেয়!

তাদের নাম্বার ফোনে সেইভ করা থাকবে কিন্তু আর কল আসবে না! তারা নাই অথচ ফোনবুক থেকে নাম্বার ডিলেট দেয়ার সাহস হবে না! কী দুঃসহ যন্ত্রনা তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন যারা বাবাকে অথবা মাকে কিংবা উভয়কে হারিয়েছে। কল্যাণের বাগিচা থেকে বঞ্চিতদের মত হতভাগা আর কেউ নাই!

যত ব্যস্ত হোন, রোজ অন্তত একবার কথা বলুন। দু’টো বেশি কথা বলুন। তাদের কী দরকার, কী ইচ্ছা- জানতে চান! যদিও বলবে কিছুর দরকার নাই তবুও তাদেরকে সকাল-বিকাল খোঁজে রাখুন। আপনার ফোনে বিরক্ত হলেও কথা বলুন। পৃথিবীতে বাবা-মা কেবল সন্তাকে দেয়ার জন্যই এসেছে। আপনার রবের সন্তুষ্টি বাবা-মায়ের সন্তুষ্টির অতিরিক্ত নয়! হারিয়ে ফেলার আগে, কাঁদার আগে যত্ন নিন!

আর অল্প অল্প দিনের ব্যবধানেই আমাদের জেনারেশন বাবা-মা ডাকার অধিকার হারাবে! কী মায়াহীন হবে সেই দিনগুলো- আগাম অনুভব করা যায়? অথচ আজ বাবা-মায়ের খোঁজ নেই না! বরং এই বৃদ্ধ বয়সেও বাবা-মা আমাদের খোঁজ লয়! আমরা ব্যস্ততার অজুহাতে তাদের আবেগ ভেঙে দেই, আশা খুন করি! অথচ কী গুরুত্বপূর্ণ কাজ করি সেটা ওপরে রেকর্ড হয়!

প্রকৃতি একদিন সব একাকীত্ব, কথা বলতে না পারার দৃশ্য চৌগুন করে ফেরাবে! তাও প্রায়শ্চিত্ত-প্রতিশোধ কেনটাই হবে না! কথা না বলার, খবর না নেওয়ার কোন বিনিময় হয় না, হবেও না। বাবা বুঝুন, মাকে খুঁজুন। জায়নামাজে পাবেন। আপনার জন্যই বসা থাকেন!

এরা তো সেই বাবা-মা যারা কয়েকবার ফোন দিয়ে আপনাকে না পেলে বংশসহ মাথায় তোলেন! আপনি কেমনে পারেন? কেমনে থাকেন? কোনদিন সন্ধ্যার পরে বাইরে থাকলে বাবা দুশ্চিন্তায় পাগল হয়ে যেতো! অথচ আমরা?

[এই বিভাগের লেখা লেখকের একান্তই ব্যক্তিগত এ বিভাগের লেখার সাথে বাংলা খবর বিডির সামঞ্জস্য নাও থাকতে পারে]

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৫:১৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
১৭০ জন দেখেছেন

প্রতিদিনের খোঁজে ভালোবাসা বাঁচে!

আপডেট : ০৫:১৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

বাবা-মায়ের সাথে রোজ সময় করে কথা হয়? নিয়মিত খোঁজ নেন? যতগুলো ব্যপারে আক্ষেপ হবে তার মধ্যে বাবা-মায়ের সাথে কথা বলতে না পারাটা প্রধান হবে। আমাদের ব্যস্ততা যেন আমাদের থেকে রত্নদের হারিয়ে না দেয়!

তাদের নাম্বার ফোনে সেইভ করা থাকবে কিন্তু আর কল আসবে না! তারা নাই অথচ ফোনবুক থেকে নাম্বার ডিলেট দেয়ার সাহস হবে না! কী দুঃসহ যন্ত্রনা তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন যারা বাবাকে অথবা মাকে কিংবা উভয়কে হারিয়েছে। কল্যাণের বাগিচা থেকে বঞ্চিতদের মত হতভাগা আর কেউ নাই!

যত ব্যস্ত হোন, রোজ অন্তত একবার কথা বলুন। দু’টো বেশি কথা বলুন। তাদের কী দরকার, কী ইচ্ছা- জানতে চান! যদিও বলবে কিছুর দরকার নাই তবুও তাদেরকে সকাল-বিকাল খোঁজে রাখুন। আপনার ফোনে বিরক্ত হলেও কথা বলুন। পৃথিবীতে বাবা-মা কেবল সন্তাকে দেয়ার জন্যই এসেছে। আপনার রবের সন্তুষ্টি বাবা-মায়ের সন্তুষ্টির অতিরিক্ত নয়! হারিয়ে ফেলার আগে, কাঁদার আগে যত্ন নিন!

আর অল্প অল্প দিনের ব্যবধানেই আমাদের জেনারেশন বাবা-মা ডাকার অধিকার হারাবে! কী মায়াহীন হবে সেই দিনগুলো- আগাম অনুভব করা যায়? অথচ আজ বাবা-মায়ের খোঁজ নেই না! বরং এই বৃদ্ধ বয়সেও বাবা-মা আমাদের খোঁজ লয়! আমরা ব্যস্ততার অজুহাতে তাদের আবেগ ভেঙে দেই, আশা খুন করি! অথচ কী গুরুত্বপূর্ণ কাজ করি সেটা ওপরে রেকর্ড হয়!

প্রকৃতি একদিন সব একাকীত্ব, কথা বলতে না পারার দৃশ্য চৌগুন করে ফেরাবে! তাও প্রায়শ্চিত্ত-প্রতিশোধ কেনটাই হবে না! কথা না বলার, খবর না নেওয়ার কোন বিনিময় হয় না, হবেও না। বাবা বুঝুন, মাকে খুঁজুন। জায়নামাজে পাবেন। আপনার জন্যই বসা থাকেন!

এরা তো সেই বাবা-মা যারা কয়েকবার ফোন দিয়ে আপনাকে না পেলে বংশসহ মাথায় তোলেন! আপনি কেমনে পারেন? কেমনে থাকেন? কোনদিন সন্ধ্যার পরে বাইরে থাকলে বাবা দুশ্চিন্তায় পাগল হয়ে যেতো! অথচ আমরা?

[এই বিভাগের লেখা লেখকের একান্তই ব্যক্তিগত এ বিভাগের লেখার সাথে বাংলা খবর বিডির সামঞ্জস্য নাও থাকতে পারে]